BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Sunday, January 24, 2016

গেরুয়া গর্ভে অশ্বডিম্ব প্রসব! রহস্যের কাটা মুন্ডি ভুয়েঁ গড়ায়! কোনো তথ্যেই এটা স্পষ্ট নয় যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের পরেও বেঁচে ছিলেন কিংবা বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। ভারতে অসাম্প্রদায়িকতা এখন বাজে শব্দ: অমর্ত্য সেন নেতাজি মৃত্যুরহস্য প্রসঙ্গে নেহরুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নেতাজির নামে ভোট হইলেও হইতে পারে কিন্তু আখেরে কিছুই প্রমাণিত হইল না! ভারতীয় গোলাম বংশের বংশবদরা যাহা কিছুই বলিয়া বা করিয়া থাকুন,তাহাতে কিছু যায় আসেনি,মিত্রশক্তি অক্ষ তাহাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষিত করেছিল,তিনি বেঁচে থাকলে তাঁকে সহজে ছাড়া হইত না আর তখনও ভারতীয় নেতৃত্বের পর্তিবাদের ক্ষ্যামতা ছিল না! অতএব অমর্ত্য সেন হক কথা কইছেন,বুঝিতে হইব!অমর্ত্যবলেন, সুভাষ চন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্যের থেকেও তাঁর আদর্শ মেনে চলা অনেক বেশি জরুরি। অনেক আগেই ফাইল প্রকাশ করা উচিত ছিল। এমনটাই এদিন জানান বসু পরিবারের সদস্য কৃষ্ণা ও সুগত বসুর। ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমর্ত্য সেন বলেন, নেতাজি সমাজের অসমতা দূর করতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ভারতে বর্তমানে স্বাধীন সরকার আছে

গেরুয়া গর্ভে অশ্বডিম্ব প্রসব!

রহস্যের কাটা মুন্ডি ভুয়েঁ গড়ায়! কোনো তথ্যেই এটা স্পষ্ট নয় যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের পরেও বেঁচে ছিলেন কিংবা বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।


ভারতে অসাম্প্রদায়িকতা এখন বাজে শব্দ: অমর্ত্য সেন

নেতাজি মৃত্যুরহস্য প্রসঙ্গে নেহরুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নেতাজির নামে ভোট হইলেও হইতে পারে কিন্তু আখেরে কিছুই প্রমাণিত হইল না!

ভারতীয় গোলাম বংশের বংশবদরা যাহা কিছুই বলিয়া বা করিয়া থাকুন,তাহাতে কিছু যায় আসেনি,মিত্রশক্তি অক্ষ তাহাকে যুদ্ধ অপরাধী ঘোষিত করেছিল,তিনি বেঁচে থাকলে তাঁকে সহজে ছাড়া হইত না আর তখনও ভারতীয় নেতৃত্বের পর্তিবাদের ক্ষ্যামতা ছিল না!

অতএব অমর্ত্য সেন হক কথা কইছেন,বুঝিতে হইব!অমর্ত্যবলেন, সুভাষ চন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্যের থেকেও তাঁর আদর্শ মেনে চলা অনেক বেশি জরুরি। অনেক আগেই ফাইল প্রকাশ করা উচিত ছিল। এমনটাই এদিন জানান বসু পরিবারের সদস্য কৃষ্ণা ও সুগত বসুর।

ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমর্ত্য সেন বলেন, নেতাজি সমাজের অসমতা দূর করতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ভারতে বর্তমানে স্বাধীন সরকার আছে আমি তেমন মনে করি না। এছাড়া ভারতে নেতাজির মৃত্যুকে বিভিন্ন দলের রাজনীতিরও কড়া সমালোচনা করেন সেন।আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে ধর্মনিরপেক্ষতার ন্যায় নেতিবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। তিনি বলেন, আমি এমন একদিনের জন্য অপেক্ষা করছি; যেদিন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা শব্দ দুটি খারাপ শব্দ হিসেবে ব্যবহার হবে।


পলাশ বিশ্বাস

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেছেন, বর্তমানে ভারতে যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে মনে হচ্ছে, সাম্প্রদায়িতকার ভিত্তিতে একটি বিভক্তির বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণে 'অসাম্প্রদায়িকতা' এখন বাজে শব্দ হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। আর গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতা এরপরে এমনভাবে ব্যবহূত হতে পারে।

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে এক'শ গোপন নথি প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার দিল্লিতে ন্যাশনাল আর্কাইভ ভবনে নেতাজি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অনলাইনে নেতাজি সম্পর্কিত এসব নথি প্রকাশ করেন তিনি।

এসব নথি থেকে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য সমাধান ও বিমান দুর্ঘটনা তত্ত্ব উন্মোচিত হবে বলে আশা করছে সুভাষ চন্দ্র বসু'র উত্তরসূরীরা।

ইতিমধ্যে,দেশজোড়া কৌতুহল সত্বেও নেতাজি-ফাইলে রহস্য খুঁজতে নারাজ অমর্ত্য সেন। শনিবার নেতাজি ভবনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, সুভাষ চন্দ্রের অন্তর্ধান রহস্যের থেকেও তাঁর আদর্শ মেনে চলা অনেক বেশি জরুরি। অনেক আগেই ফাইল প্রকাশ করা উচিত ছিল। এমনটাই এদিন জানান বসু পরিবারের সদস্য কৃষ্ণা ও সুগত বসুর।

সংবাদ সংস্থার খবরঃনেতাজির মৃত্যু নিয়ে 'নিশ্চিত' ছিল ২১ বছর আগেকার নরসিমা রাও সরকারও! সম্প্রতি প্রকাশিত নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইল থেকে এমন তথ্যই সামনে এসেছে। ক্যাবিনেট সচিবালয়ের ২১ বছরের পুরনো একটি নথি অনুযায়ী, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন তৎকালীন নরসিমা রাও সরকার সে সময় মেনে নিয়েছিল, ১৯৪৫-এর অগস্টেই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। শুধু তা-ই নয়, ১৯৯৫-এর ফেব্রুয়ারিতে নেতাজির 'চিতাভষ্ম' নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে ম্যারাথন আলোচনা হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সহ শীর্ষ আমলাদের। এর পরই নরসিমা রাও সরকার স্থির করে, জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির 'চিতাভষ্ম' আনার বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়া হবে।এর আগে নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নেতাজি সংক্রান্ত ১০০টি গোপন ফাইল প্রকাশ করে মোদী সরকার। ফাইলে ক্যাবিনেট সচিবলয়ের 'নেতাজি অ্যাসেজ ইন টোকিও' নামক নোটে দাবি করা হয়েছে, নেতাজির 'চিতাভষ্ম' রয়েছে জাপানের বোস ইনস্টিটিউট-এ। তা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। যদিও নথিতে অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তা নিয়ে বিশেষ উত্সাহ দেখায়নি।

আনন্দ বাজারের খবরঃ


রহস্য আছে বলে তো মনে হয় না

নেতাজির মৃত্যু না মানার কারণ নেই, চলছে ছোট মনের রাজনীতি


নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সীমারেখায় বিভাজনের চাষাবাদ চলছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে পড়েছে যে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি খারাপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শনিবার কলকাতায় সুভাস বন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।


ভারতের প্রখ্যাত এ অর্থনীতিবিদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা পরবর্তীতে ধর্মনিরপেক্ষতার ন্যায় নেতিবাচক শব্দ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। তিনি বলেন, আমি এমন একদিনের জন্য অপেক্ষা করছি; যেদিন গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা শব্দ দুটি খারাপ শব্দ হিসেবে ব্যবহার হবে।


এ সময় ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে অমর্ত্য সেন বলেন, নেতাজি সমাজের অসমতা দূর করতে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ভারতে বর্তমানে স্বাধীন সরকার আছে আমি তেমন মনে করি না। এছাড়া ভারতে নেতাজির মৃত্যুকে বিভিন্ন দলের রাজনীতিরও কড়া সমালোচনা করেন সেন।


তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনাই কি নেতাজির মৃত্যুর কারণ? যদি না হয়, তাহলে কী পরিণতি হয়েছিল তাঁর? উত্তরের অপেক্ষায় কেন্দ্রের প্রকাশিত ১০০টি ফাইলের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। প্রবল উৎসাহ ঐতিহাসিকদের একাংশের মধ্যেও। কিন্তু দেশজোড়া কৌতুহলের মধ্যেই ভিন্ন সুর অমর্ত্য সেনের গলায়। নেতাজি-ফাইলে কোনও ধরনের রহস্য খুঁজতেই নারাজ নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ। একই ধারণা বসু পরিবারের সদস্য কৃষ্ণা বসু এবং সুগত বসুর। তবে কেন্দ্র কেন ধাপে ধাপে ফাইল প্রকাশ করছে, এদিন সেই প্রশ্নও তুলে ধরলেন দু'জনে। অনেক দেরিতে হলেও শেষপর্যন্ত ফাইলগুলি যে প্রকাশ্যে এল, তাতে অবশ্য খুশি বসু পরিবারের সদস্যরা। তবে কেন্দ্রের টপ সিক্রেট ফাইল থেকে রহস্যের পর্দা উঠবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷


গত বছরের অক্টোবরে নেতাজি পরিবারের সদস্য ও গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছিলেন, সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত গোপন নথির প্রকাশ শুরু হবে তাঁর জন্মদিনেই। সে প্রতিশ্রুতি রেখেই ১১৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাজি'র অজানা অনেক অধ্যায় তুলে ধরলো সরকার।

সরকারের কাছে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন নথিপত্র প্রকাশ্যে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল রাজনৈতিক টানাপড়েন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছে থাকা ৬৪টি গোপন ফাইল প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তখনই নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রের কাছে থাকা অন্য গোপন ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনতে মোদি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন মমতা। শনিবার নেতাজির গোপন নথির ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশের সময় সুভাষ পরিবারের ১২ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নেতাজির মৃত্যুরহস্য উন্মোচনে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তৃতীয় আরেকটি কমিটি এখনো কাজ করছে। দুটি কমিটিই তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন নেতাজি।

তবে নেতাজির পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্রা বোস শুক্রবার এনডিটিভিকে বলেন, 'আমি বিমান দুর্ঘটনা তত্ত্বে বিশ্বাস করি না। আজও আমরা সব উত্তর পাইনি। তবে আমি আশাবাদী প্রকাশিত গোপন নথিগুলো থেকে কিছু সূত্র পাওয়া যাবে।'


খবর ছিল যেমন,কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি : নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে কেন্দ্রের ফাইল প্রকাশের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই উঠে আসছে নানা রোমাঞ্চকর তথ্য। বাড়ছে বিতর্কও। দুই নেতাজি গবেষক পূরবী রায় ও অনুজ ধর বিতর্কে জড়িয়েছেন পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে। পূরবী রায় বলছেন, "সময় আসছে। খুব শিগগিরই রাশিয়ায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা জানাবেন।" অন্যদিকে, পূরবী রায়ের এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন সাংবাদিক-গবেষক অনুজ ধর। তাঁর পালটা প্রশ্ন, "এ বিষয়ে এক কুচিও প্রমাণ তাঁর কাছে থাকলে, এতদিন চুপ করেছিলেন কেন পূরবী রায়?"


২৩ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ৩৩টি ফাইল প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। ঠিক তার কয়েকদিন আগে পূরবী রায় জানান, "নেতাজি রাশিয়ায় মারা গিয়েছিলেন কি না, সেই সংক্রান্ত কাগজ খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে আনবেন। এদিকে, "গুমনামী বাবা" তথ্য সমর্থনকারী নেতাজি গবেষক অনুজ ধর ইনাডু বাংলার কাছে এই তথ্য সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, "নেতাজি যে রাশিয়ায় মারা গিয়েছিলেন, পূরবী রায়ের কাছে তার এক কুচিও প্রমাণ নেই। প্রমাণ থাকলে তিনি তা মুখার্জি কমিশনে জমা দিতেন।"


যদিও অনুজ ধরের এই চ্যালেঞ্জ উড়িয়ে দিয়েছেন পূরবী রায়। তিনি বলেন, "একজন সাংবাদিকের চ্যালেঞ্জ তিনি কোনওভাবেই গ্রহণ করবেন না।" ১৯৫৬ সালের পর রাশিয়ায় নেতাজি সম্পর্কে আর কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর নেতাজির রাশিয়ায় মৃত্যু হয়েছিল কি না, তা নিয়ে যাবতীয় তথ্য সঠিক সময়েই প্রকাশ করবেন।


সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পূরবী রায় যে দাবি করছেন, তাতে নেতাজি মৃত্যুরহস্য অন্য পথে মোড় নিতে পারে। এবং তা গবেষক ও অনুগামীদের কাছে বড় পাওনাও হবে। কিন্তু প্রশ্ন যেখানে কেন্দ্র, নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে ২৩ জানুয়ারি, সেখানে এর থেকে সঠিক সময় আর কী বা হতে পারে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।


ঘটনা হইল,সরকারি উদ্যোগে নেতাজির পরিবারের এই সদস্যদের দিল্লি আনা হয়। গতকাল সকালে তাঁরা প্রথমে যান সংসদ ভবনে। সেখানে বিভিন্ন দলের নেতারা নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় মহাফেজখানায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতাজির ফাইলের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর নেতাজির স্ত্রীকে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করায় নেতাজির কন্যা অনিতাকে বছরে ছয় হাজার রুপি করে পেনশন দেওয়া হতে থাকে। স্বাধীনতাসংগ্রামীর পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেওয়া হতো এই পেনশন। ১৯৬৫ সালে অনিতার বিয়ে হওয়া পর্যন্ত এই পেনশন চালু ছিল। এ ছাড়া প্রকাশিত ফাইলে রয়েছে জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির চিতাভস্ম দেশে ফেরত আনা-সংক্রান্ত চিঠিপত্র, নেতাজিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক, বিভিন্ন কমিশনের অপ্রকাশিত তথ্য প্রভৃতি।


কোনো তথ্যেই এটা স্পষ্ট নয় যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের পরেও বেঁচে ছিলেন কিংবা বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।


নেতাজির ফাইল প্রকাশ করার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে কি না, সেই বিতর্ক আগেও উঠেছিল, এবারও উঠল। কংগ্রেস সরাসরি অভিযোগ করেছে, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা গতকাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, যেভাবে এই উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে এর পেছনে রাজনীতি রয়েছে। তিনি বলেন, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে স্বাধীনতাসংগ্রামের বিরোধী শক্তি যারা, এ ফাইল প্রকাশের মধ্য দিয়ে তারা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এটা তাদের চক্রান্ত। জওহরলাল নেহরুর মতো কংগ্রেসের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের অবদান ছোট করে দেখানোই মোদি সরকারের উদ্দেশ্য।

যেমন জল্পনা আগেই জোরগরম ছিলঃরাজ্য সরকার নেতাজি ফাইল প্রকাশ্যে এনেছে। এবার কী করবে কেন্দ্রীয় সরকার ? তাদের হাতে রয়েছে একশো তিরিশটি ফাইল। নেতাজি গবেষকদের দাবি, সেইসব ফাইলে অনেক বিতর্কিত বিষয় থাকতে পারে। নেতাজি অন্তর্ধান সংক্রান্ত তথ্য সেইসব ফাইলে আরও বেশি করে পাওয়া যাবে।


মনে রাখা দরকার,নেতাজি-সম্পর্কিত যেসব তথ্য সরকারের কাছে আছে, তা প্রকাশ করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণ দেখিয়ে এতকাল সেই সব তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতে থাকা ৬৪টি ফাইল প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অক্টোবরে নেতাজির পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান। নিজের বাসভবনে সেই বৈঠকে বসু পরিবারের সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, সরকারের হাতে থাকা অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ করা হবে। গতকাল নেতাজির পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কথা রাখেন।


প্রকাশিত ফাইলগুলো থেকে এ কথা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি যে ৭০ বছর আগে ১৯৪৫ সালে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না। ১৯৬২ সালের ১৩ মে লেখা তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একটি চিঠি এই নথিগুলোর একটি। নেতাজির পরিবারের সদস্য সুরেশ বসুকে লেখা সেই চিঠিতে নেহরু জানান, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। যা আছে তা পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ। সেই পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল বলে তাঁর বিশ্বাস।উপরন্তু নেতাজির কন্যা অনিতা সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে জানান, তাঁর বিশ্বাস নেতাজি বিমান দুর্ঘটনাতেই মারা গিয়েছিলেন।উপরন্তু আশিষ রে লন্ডন থেকে তথ্য প্রমাণাদি সহ দাবি করেন ঔ বিমান দর্ঘটনায় ০ বছর আগে ১৯৪৫ সালে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল।


নেতাজির পরিবারের সদস্যরা অবশ্য এ কাজে খুশি। তাঁরা মনে করছেন, ৭০ বছর ধরে যা অপ্রকাশিত ছিল, তা প্রকাশ পাওয়াও একটা বড় বিষয়। নেতাজির পরিবারের সদস্য অর্ধেন্দু বসু বলেন, 'অন্তর্ধান-সংক্রান্ত ফাইলপত্র পাওয়া যাবে এমন আশা করিনি। তেমন কিছু থাকলে তা কেজিবি বা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাই দিতে পারবে।' চিত্রা বসু বলেন, এই শুরু হওয়াটাই বড় কথা। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, সব ফাইল প্রকাশিত হওয়ার পর নতুন করে একটি কমিশন যেন গঠন করা হয় রহস্য উন্মোচনে। চন্দ্র বসু বলেন, এত দিন সব সরকারই এসব তথ্য চেপে ছিল। মোদিই তা প্রকাশ করলেন। মোদির সরকারই সবচেয়ে স্বচ্ছ।


পশ্চিম বঙ্গ সরকারের প্রকাশিত ফাইলে নেতাজির শেষ বক্তৃতা ছিল,যা এই সময়ে যথাযথ প্রকাশিত হয়েছিল এবং তখন আমি হিন্দীতে লিখেছিলামঃ

हिंदुत्व को मुल्क और इंसानियत के लिए सबसे बड़ा खतरा बता रहे थे नेता जी,...

Amalendu Upadhyaya posted 2 updates.

देश को आजाद कराने के लिए क्यों छोड़ा नेताजी ने देश और क्यों सत्ता वर्ग ने उन्हें जिंदा दफना दिया? नेताजी ने तब बंगाली युवाजनों को चेता रहे थे कि...


সরকারি উদ্যোগে নেতাজির পরিবারের এই সদস্যদের দিল্লি আনা হয়। গতকাল সকালে তাঁরা প্রথমে যান সংসদ ভবনে। সেখানে বিভিন্ন দলের নেতারা নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় মহাফেজখানায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নেতাজির ফাইলের ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর নেতাজির স্ত্রীকে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করায় নেতাজির কন্যা অনিতাকে বছরে ছয় হাজার রুপি করে পেনশন দেওয়া হতে থাকে। স্বাধীনতাসংগ্রামীর পরিবারের সদস্য হিসেবেই দেওয়া হতো এই পেনশন। ১৯৬৫ সালে অনিতার বিয়ে হওয়া পর্যন্ত এই পেনশন চালু ছিল। এ ছাড়া প্রকাশিত ফাইলে রয়েছে জাপানের রেনকোজি মন্দির থেকে নেতাজির চিতাভস্ম দেশে ফেরত আনা-সংক্রান্ত চিঠিপত্র, নেতাজিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া নিয়ে বিতর্ক, বিভিন্ন কমিশনের অপ্রকাশিত তথ্য প্রভৃতি। কিন্তু কোনো তথ্যেই এটা স্পষ্ট নয় যে নেতাজি ১৯৪৫ সালের পরেও বেঁচে ছিলেন কিংবা বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।


নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্য উন্মোচনের দাবি অনিতা বসুর

দ্যা হিন্দু অবলম্বনে এস রহমান:   ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ে অনিতা বসু তাঁর বাবা-সংক্রান্ত নথি প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থাকা এসব নথি প্রকাশ পেলে নেতাজির মৃত্যুরহস্য উন্মোচিত হবে।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে ই-মেইলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনিতা বসু বলেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে ৬৪টি নথি প্রকাশ করেছে, সেসব এখনো তিনি দেখেননি।

অনিতা বসু বলেন, 'একজন গবেষক হিসেবে আমি মনে করি, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গোপন থাকা সব ধরনের পুরোনো নথি প্রকাশ করা উচিত। নেতাজির মেয়ে হিসেবে আমার দাবি, আমার বাবা-সংক্রান্ত সব নথি প্রকাশ করা হোক।'নেতাজির পরিবার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থাকা নেতাজি-সংক্রান্ত নথি প্রকাশের দাবি করে আসছেন অনেক দিন ধরে।

এ বিষয়ক নথিপত্র চেয়ে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া বা জাপান সরকারের কাছে আবেদন করবেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে অনিতা বলেন, ভারত সরকার যদি এসব দেশের সরকারের কাছে আবেদনটি করে তবে ভালো হয়। এসব তথ্য জানার অধিকার আছে তাদের। তবে নিজেরা আগে নথিগুলো প্রকাশ না করলে এ আবেদন করতে তাদের নৈতিক জোর থাকবে না।

জার্মানিতে থাকা অর্থনীতিবিদ অনিতা বলেন, 'আমি সত্যিই চাই বাবার মৃত্যুকে ঘিরে যে রহস্য আছে, তা উন্মোচিত হোক।'জাপানের তখনকার পত্রিকার খবর অনুযায়ী ১৯৪৫ সালের আগস্টে বিমানে চীন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় নিহত হন নেতাজি। তবে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক ও রহস্য রয়ে গেছে।



 মীডিয়ার খবরঃ সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ এক অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১১৯ তম জন্মদিনে নেতাজি সম্পর্কিত ১০০টি গোপন ফাইল প্রথমবার দেশের জনগণের সামনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ন্যাশনাল আর্কাইভ অফ ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা ফাইলগুলি দেশের জনগণের জন্য প্রকাশ্যে আনা হল। এই ব্যাপারে কয়েকমাস আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় নরেন্দ্র মোদির। সেই বৈঠকে মোদি আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, নেতাজি সম্পর্কিত গোপন ফাইলগুলি ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজির ১১৯ তম জন্মদিনে প্রকাশ্যে জনগণের সামনে আনা হবে। পাশাপাশি দেশবাসীরও দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই ফাইলগুলি প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সেটাই করলেন মোদি সরকার। যাতে সাধারণ মানুষ এই ফাইলগুলো স্বচক্ষে দেখতে পারেন। ভবিষ্যতে গবেষকরাও এই ফাইলগুলি থেকে অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্যই পেতে পারেন বলে জানানো হয়। ফাইলগুলির ডিজিটাল কপিও প্রকাশিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্যরা। নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইলগুলি প্রকাশ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, শুধু ফাইলপ্রকাশ নয়, নেতাজি জীবিত না মৃত সেই ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ফাইলগুলি ন্যাশনাল আর্কাইভ অব ইন্ডিয়ার অধীনে ছিল। তৃণমূল নেতা সুগত বসু বলেন, ফাইলগুলি এইভাবে ধাপে ধাপে প্রকাশ না করে একবারে প্রকাশ করা উচিত ছিল। তবে অনেকের আশঙ্কা অতিগোপন ফাইলগুলি হয়ত প্রকাশ্যে আনা হবে না। এখন দেখার এতদিনে দেশবাসীর কাছে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের কিনারা কি না।


তাইহোকুতেই মৃত্যু নেতাজির : ব্রিটিশ সাইট

আন্তর্জাতিক

333ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, এবিনিউজ : মনে হচ্ছে মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছে, এবার একটু ঘুমোতে চাই মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে তাইহোকুর নানমোন মিলিটারি হাসপাতালে শুয়ে চিকিৎসককে এই কথাটাই বার বার বলছিলেন তিনি। তৈরিই ছিল ইঞ্জেকশন। মুহূর্তের মধ্যেই ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। তবে সেই রাতটা আর পেরোয়নি। ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট রাত ১১টা নাগাদ সেখানেই মারা যান তিনি। ঘুম আর ভাঙেনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। নেতাজি-অন্তর্ধান রহস্য আরও এক বার উস্কে দিয়ে আজ এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ একটি ওয়েবসাইট। তাদের দাবি, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং ঘনিষ্ঠদের বয়ানে পাওয়া তথ্যে অন্তর্ধান রহস্যের জট খুলেছে।

ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ. নেতাজিফাইলস.ইনফো নামে ওই ওয়েবসাইট জানিয়েছে, লন্ডনের এক সাংবাদিকের হাতে আসা এই তথ্য প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে উদ্ধৃত ৫ সাক্ষীর মধ্যে রয়েছেন দুই চিকিৎসক, এক দোভাষী এবং এক নার্স। চিকিৎসকদের মধ্যে রয়েছেন তানেওয়েসি যোশিমি। যিনি ১৯৪৫ সালে নেতাজির চিকিৎসা করেছিলেন বলে আগেও দাবি করেছেন। তার কথায়, 'নোনোমিয়া নামে এক সেনাকর্তা আমাকে বলেছিলেন ইনিই মিস্টার বোস। যে কোনও মূল্যে ওঁর প্রাণ বাঁচাতে হবে।' কিন্তু ক্রমশ নেতাজির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

যোশিমি জানিয়েছেন, বসুর জন্য আনা হয়েছিল এক দোভাষীকে। সুরুতা নামে হাসপাতালের আর এক চিকিৎসক জানান, নেতাজি জিজ্ঞেস করেছিলেন, সারা রাত সুরুতা তার পাশে বসে থাকবেন কি না। কিন্তু সন্ধের পর বসুর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ওই সাইটে উদ্ধৃত হয়েছেন সান পি সা নামে এক নার্সও। তার কথায়, 'প্রমাণ করতে পারি, উনি এখানেই মারা গিয়েছেন।' এই তথ্য সামনে আসায় ফের শুরু হয়েছে বিশ্বাস আর ইতিহাসের দ্বন্দ্ব। গত কালই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাইহোকুতে নেতাজির মৃত্যুর তত্ত্ব মানেন না তিনি।

ইতিহাসবিদ থেকে নেতাজির পরিবার— মৃত্যুরহস্য নিয়ে মতভেদ রয়েছে সব মহলেই। নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র ইতিহাসবিদ সুগত বসু যদিও মনে করেন, তাইহোকুতেই মারা গিয়েছিলেন নেতাজি। যদিও কয়েক জন ইতিহাসবিদ মনে করেন, তাইহোকুতে নেতাজির মৃত্যুর তত্ত্ব সত্যি হলে অধরা থেকে যায় বেশ কিছু প্রশ্ন। আগামী ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ করার কথা মোদী সরকারের। তার আগেই ব্রিটিশ সাইটের এই দাবি ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। সুগতবাবু আগেই বলেছেন, ইতিহাস শুধু প্রমাণ নিয়ে কথা বলে। এবার সেই প্রমাণই পেশ করল ব্রিটিশ সাইট।

এবিএন/রবি-১ম/ফরিদুজ্জামান/মুস্তাফিজ/শংকর



--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...