BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Wednesday, August 7, 2013

[গুরুচন্ডা৯ guruchandali] পুরানো একটা লেখা থেকে রোশন গিরি আর বিমল গুরুং এর...



Ipsita Pal
Ipsita Pal 10:53pm Aug 6
পুরানো একটা লেখা থেকে রোশন গিরি আর বিমল গুরুং এর সাক্ষাৎকারের অংশটুকু রইলো ঃ

' ...মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও প্রায় একই ধরণের বক্তব্য আমাদের জানান। সঙ্গে আরও কয়েকটি নতুন কথাও বলেন। আপনাদের আন্দোলনের পরিণতিতে জাতিদাঙ্গা হতে পারে কি? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যে, পাহাড়ে অনেক ধরণের লোক আছেন। বাঙালি থেকে মারোয়াড়ি পর্যন্ত। তাঁরা কখনই মনে করেন না, যে, পাহাড়ে শুধু গোর্খারা থাকবে। এই বাঙালি/মারোয়াড়িরা পাহাড়ের অংশ। খুব এক আধটি ঘটনা ছাড়া এঁদের উপর একটিও হামলা হয়নি। বরং সমতলেই পাহাড়ের মানুষের উপর আক্রমণ হয়েছে। প্রশান্ত তামাং এর ঘটনা দিয়ে যা শুরু। এবং সেই ঘটনায় পাহাড়ে মানুষ কখনই আক্রমণকারী ছিলেন না। অর্থনীতি, বা প্রস্তাবিত রাজ্যের সামগ্রিক নীতিসমূহ কি হবে, এ নিয়ে তিনিও বিশেষকিছু আলোকপাত করতে পারেন নি। আমাদের এই যাত্রার একদম শুরুতে অভিজিত মজুমদার যে কথাগুলি বলেছিলেন, যে, নতুন রাজ্যের অ্যাজেন্ডা ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থনীতিবিষয়ক ধ্যানধারণা মোর্চার নেই, সেই একই কথা রোশন গিরি এবং আনমোল প্রসাদের সঙ্গে আলোচনা থেকেও বেরিয়ে আসে। তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে কোনো কথা বলেননি। ভাবনার ধরণটা অনেকটা এরকম, যে, আগে রাজ্য পাওয়া গেলে, বাকি সমস্যাগুলি নিয়ে তার পরে ভাবা যাবে।

যাইহোক, এরপর আমরা মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা-নেতা বিমল গুরুং এর সঙ্গেও দেখা করি। দীর্ঘক্ষণ অনেকগুলি বিষয়ে কথাবার্তা হয়। তার সবটা এখানে লেখা সম্ভব নয়। ছোটো আকারে তাঁর বক্তব্যটি এখানে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ইস্যুতে। (বাক্যগুলি তাঁর নিজস্ব নয়। পুরোটা রেকর্ডও করা নেই। ছোটো করে শুধু সারসংক্ষেপটুকু তুলে ধরা হচ্ছে। প্রশ্নোত্তরের আকারে। স্মৃতি থেকে।)

প্রশ্নঃ জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে এলেন কেন?

-- আমি ৮৬ সালের আন্দোলনে অংশীদার ছিলাম। ঘিসিং এর সঙ্গেই ছিলাম। ঘিসিং যখন পার্বত্য পরিষদে রাজি হয়ে যান তখন থেকেই আস্তে আস্তে আমি নিজেকে সরিয়ে নিতে থাকি। নিজের মতো করে কাজকর্ম করছিলাম। নির্দল হিসাবেই দার্জিলিং থেকে কাউন্সিলার নির্বাচিত হই। কিন্তু ঘিসিং এর উপরে আস্থা নষ্ট হয়ে যায়। ঘিসিং ঠিকেদার নির্ভর, আমলাতান্ত্রিক। তাঁর আমলে প্রাপ্তি বলতে শুধু ঠিকেদার রাজ।

ষষ্ঠ তফশীলের ব্যাপারেও ঘিসিং আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ঘিসিং এর সঙ্গে পাহাড়ের প্রতিনিধি হয়ে আমরা কজন এ ব্যাপারে কথা বলতে কলকাতা গিয়েছিলেম। আমাদের আলাদা জায়গায় বসিয়ে বুদ্ধবাবু ও ঘিসিং আলাদা ঘরে বসে আলোচনা করেন। আমাদের ছাড়াই আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। তখন সেই সিদ্ধান্তের কথা আমরা জানতে পারিনি। ফেরার পথে বাগডোগরা পৌঁছে ঘিসিং বলেন পাহাড়ে বাজি টাজি ফাটাও। আমরা ষষ্ঠ তফশীল পেয়ে গেছি। আমরা অবাক হয়ে যাই। এবং এটা মেনে নিতে পারিনি। কয়েকদিন পরে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘিসিং এর সঙ্গে দেখা করি। বলি, আপনি যেটা করলেল আমি সেটা মেনে নিতে পারছিনা। আমি আর আপনার সঙ্গে নেই। ঘিসিং আমাকে বলেন তোমার অস্তিত্ব কিন্তু এতে বিপন্ন হয়ে যাবে। আমি জবাবে বলি, মানুষ আমার সঙ্গে থাকলে অস্তিত্ব বিপন্ন হবেনা। না থাকলে হবে। এর পরেই অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে মোর্চা বানাই।

প্রশ্নঃ আপনি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে এক মাসের মধ্যেই আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের সঙ্গে বসেছেন। এক মাসের মধ্যেই। নতুন রাজ্য কবের মধ্যে আদায় করতে পারবেন? এরকম কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে?

-- এখন আমাদের দাবীর যে ভিত্তি তার স্বপক্ষে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একটি টিম তৈরি হচ্ছে। আন্দোলন সঠিকভাবে চালাতে পারলে ২০১০ এর মধ্যেই নতুন রাজ্য আদায় করতে পারব।

প্রশ্নঃ আন্দোলনের পন্থা কি হবে?

-- অহিংস আন্দোলন। আমরা নিজেদের গান্ধীবাদী বলে মনে করি।

প্রশ্নঃ সমস্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনই একসময় সশস্ত্র হয়। এটাকে এড়াবেন কিকরে?

-- সারা পৃথিবীতে যে গোর্খারা ছড়িয়ে আছেন, তাদের সবার কাছে আমরা সাহায্যের আবেদন রাখছি। সারা পৃথিবীতে আবেদন জানাচ্ছি। গোর্খা বুদ্ধিজীবীরা আমাদের সঙ্গে আছেন। সরকার যদি আমাদের উপর দমন নামিয়ে আনে, সশস্ত্র আন্দোলনে যেতে বাধ্য করে, তাহলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আমরা সশস্ত্র পন্থায় যথেষ্ট পারদর্শী। ধরুন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে আমাদের নিজেদের গোর্খা রেজিমেন্ট আছে। (কথার কথা), তেমন প্রয়োজনে, তারাও তো বেরিয়ে আসতে পারে।

প্রশ্নঃ প্রশান্ত তামাং নিয়ে যেভাবে দাঙ্গা হয়েছে, সেটা তো আরও বাড়বে।

-- রাজ্যের দাবীটা শুধু গোর্খাদের দাবী নয়। সার্বিক ভাবে যারা পাহাড়ের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন সবাই গোর্খালি। বাঙালি, গির্খালি, মারোয়াড়ি; তাদেরকেও সংগঠিত করার চেষ্টা করছি। তাদের নিয়েও সমাবেশ হচ্ছে।

প্রশ্নঃ নেপালে সদ্য যে আন্দোলন হয়ে গেল, পাহাড়ের আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক আছে? সরাসরি না থাকলেও, অন্ততঃ এই আন্দোলন আপনাদের উৎসাহ জুগিয়েছে কি?

-- কোনো সম্পর্কই নেই।

প্রশ্নঃ ঘিসিং এর বিরুদ্ধে আপনাদের অনেক অভিযোগ। কিন্তু আপনারাও আরেকটি ঘিসিং হয়ে উঠবেন না তার গ্যারান্টি কোথায়?

-- আমরা নিচুতলার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। মানুষের মতামত নিয়েই চলেছি। ঘিসিং এর মতো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রাসাদে বাস করছিনা। এইটাই গ্যারান্টি। ।।।।। '

http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=9&pid=co
ntent/bulbulbhaja/1217132502365.htm#.UgEtwJJvOLE

View Post on Facebook · Edit Email Settings · Reply to this email to add a comment.

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...