BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Thursday, May 16, 2013

বাংলাদেশে আছড়ে পড়ল মহাসেন‘গরু- মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যামু না’Cyclone ‘Mahasen’ hit Patuakhali coast with wind speed up to 90 kilometres per hour on Thursday morning. Control room says one elderly man died, crushed by a tree, at Bhola’s Lalmohan Upazila.

Cyclone 'Mahasen' hit Patuakhali coast
with wind speed up to 90 kilometres per
hour on Thursday morning.
Control room says one elderly man died,
crushed by a tree, at Bhola's Lalmohan
Upazila.

People carry their belongings while moving to a shelter as Cyclone Mahasen approaches, in Cox's Bazar May 15, 2013. REUTERS-Stringer

Cyclone Mahasen started crossing Bangladesh's low-lying coast on Thursday, bearing down on the ports of Chittagong and Cox's Bazar, as tens of thousands of people huddled in shelters from a storm which the United Nations says threatens 4.1 million people.

Winds up to 100 kph (60 mph) lashed the coast and whipped up waves, with an expected 2.1 metres (seven feet) storm surge and heavy rain expected to cause widespread flooding.

"It started to cross and is approaching towards Chittagong and Cox's Bazar coasts," said a Bangladesh meteorological department official.

The storm first hit Khepupara on Bangladesh's southern coast and was tracking northeast towards the two ports on the eastern coastline near Myanmar.

Eyewitnesses said low-lying coastal areas were covered in waist-deep water as the storm crossed and trees were uprooted and houses damaged. Two people were reported killed, one crushed by a falling tree and another as he made his way to a shelter.

Bangladesh raised its storm warning to seven, on a scale with a maximum of 10, as Mahasen approached one of the poorest countries in Asia.

The storm killed at least seven people and displaced 3,881 in Sri Lanka as it tracked across the Bay of Bengal towards Bangladesh.

A boat carrying Rohingya Muslims in neighbouring Myanmar capsized at around midnight on Monday after hitting rocks off Pauktaw in Rakhine State while evacuating ahead of the storm. Official media said 42 people were rescued, but 58 were missing.

"The government has ordered the evacuation of about one million people from 15 coastal districts," said the U.N. Office for Coordination of Humanitarian Affairs (OCHA).

"As per the latest storm trajectory, 4.1 million people have been identified as living in at risk areas in the districts of Chittagong and Cox's Bazar," it said in its latest update.

The port in Chittagong, which has a population of about three million, and the airport in Cox's Bazar were closed on Wednesday.

Meteorologists said Mahasen should weaken quickly into a tropical rain depression over land.

"Mudslides will also be a concern as the heavy rain spreads farther north and east on Thursday night and Friday into easternmost India and northern Myanmar," said meteorologists at Accuweather.com storm forecasters.

"PRAY TO ALLAH"

Bangladesh has more than 1,400 cyclone-proof buildings on standby, but across its eastern border in Myanmar tens of thousands of people on the coast were sheltering in makeshift camps and huts made of timber and palm fronds.

In 2008, Cyclone Nargis killed up to 140,000 people in Myanmar's Irrawaddy delta, south of the main city, Yangon.

The U.S.-based Tropical Storm Risk said Mahasen should track northeast after hitting Chittagong, missing Myanmar.

The Myanmar government had planned to move 38,000 internally displaced people, most of them Rohingya Muslims, by Tuesday but many have refused to relocate from camps in Rakhine State in the west of the country, afraid of the authorities' intentions.

At least 192 people were killed in June and October last year in violence between ethnic Rakhine Buddhists and Rohingyas, who are denied citizenship by the government in Myanmar and considered by many Buddhists to be immigrants from Bangladesh.

At a camp near the sea on the outskirts of Sittwe, the capital of Rakhine State, several people told Reuters on Wednesday they would rather perish in the storm than evacuate.

"We arrived here last year because of the clashes between Rakhine and Muslims. I lost everything. Both my mother and my two young daughters died," said Hla Maung, 38, a Muslim. "If the cyclone hits here, I will pray to Allah. Everyone here wants to die in the storm because we lost everything last year."

Myanmar is a mainly Buddhist country but about 5 percent of its 60 million people are Muslims. They face a growing anti-Muslim campaign led by radical Buddhist monks. A Reuters Special Report found apartheid-like policies were segregating Muslims from Buddhists in Rakhine State. 

অবশেষে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। আজ সকাল নটা নাগাদ পটুয়াখালির খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে মহাসেন। অসমর্থিত সূত্রে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মুহুর্তে ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, ঝড়ের ব্যাস ৪০০ কিলোমিটার। 

আপাতত উপকূল ঘেঁষে উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে মহাসেন। গতি বজায় থাকলে দুপুরে মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আছড়ে পড়বে ঝড়। ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের উপকূল এলাকায় তিন নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিঘায় পুলিসের তরফে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। পর্যটকদের সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় আশি থেকে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 

মহাসেন: বরগুনায় নিহত ১

:: বরগুনা প্রতিবেদক :: 
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'এর প্রভাবে বরগুনায় এক জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলায় প্রচণ্ড বেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া।

বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আখতার জানিয়েছেন, জেলার পূর্ব রানীপুর এলাকায় সৈয়দ আলী খান (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ বুধবার শেষ রাতে গাছ চাপায় মারা গেছেন।

তিনি আরো জানান, বুধবার রাত থেকেই জেলার অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় প্রথম আঘাত হানে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরগুনার নিচু এলাকায় ছয় থেকে সাত ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বরগুনা শহরের কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।

জেলা প্রশাসন বলছে, বরগুনার ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।


চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে মহা‍সেন
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালী অতিক্রম করে এখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম এ তথ্য জানান।

শাহ আলম বলেন, "মহাসেন বঙ্গোপসাগর থেকে তেতুলিয়া এবং মেঘনা নদী দিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা হয়ে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঝড়ের গতিবেগ কমে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে সমতলে এলে ঝড়ের গতি আরো কমে আসবে।"
 
শাহ আলম বলেন, "ঝড়ের প্রভাবে সারা দেশে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। তবে খেপুপাড়ার প্রবল বর্ষণ এখন অনেকটাই কমে এসেছে। পটুয়াখালী থেকে ঝড়টি মংলার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তা ক্রমশ সেখান থেকে সরে যাচ্ছে।" 

তিনি আরও বলেন, "ইতোমধ্যে মহাসেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৪০ কি.মি. সীমানার মধ্যে প্রবেশ করেছে। যে কোনো সময় তা আঘাত হানতে পারে। তবে দুঃখজনক বিষয় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে সৈকত প্লাবিত হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।" 

সমুদ্র সৈকত থেকে নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৩
এমএইচপি/এটি/ সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর 
     
'মহাসেন' এর সবশেষ খবর জানতে আপনার রবি নম্বর থেকে ডায়াল করুন ৮৮৭৭ নম্বরে


পিরোজপুরে বাড়ছে পানির উচ্চতা, আশ্রয় কেন্দ্রে ফাটল


সন্দ্বীপে আঘাত হানছে 'মহাসেন'


নোয়াখালীর উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা, উদ্ধার অভিযানে সেনা সদস্য

নোয়াখালীর উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা, উদ্ধার অভিযানে সেনা সদস্য

হাতিয়ায় মহাসেনের আঘাতে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত


ঢাকা : উপকূল ঘেঁষে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'। ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর খেপুপাড়া অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়টি।

 

তবে খেপুপাড়ায় এখনও অব্যাহত রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। সেখানে থেমে থেমে প্রচণ্ড গতিতে দমকা হাওয়া বইছে। ক্রমেই বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টা থেকে ঝড়ের গতি সহিংস আকার ধারণ করছে।

 

এরআগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে ৩-৪ ফুট পানি জমেছে। এতে তলিয়ে গেছে মাঠের সব ফসল। ঝড়ের আঘাতে গাছপালা, ছোট ছোট ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ৩২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫  কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০  কিলোমিটার  দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

 

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) তাদের সর্বশেষ সংবাদে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরে এর কেন্দ্রটি বাংলাদেশের উপকুলের উপর রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বিকেলের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

 

এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরসমূহকে এখনও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। উপকূলীয় জেলা  কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী,  চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আর মংলা সমূদ্র বন্দরকে এখনও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত  দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

 

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

(ওএসআর/ইউসি/এসআর/মে ১৬, ২০১৩)


ঢাকা : পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ও ভোলার চরফ্যাশনের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপকূলীয় এই দুই জেলায় প্রথম আঘাত হানে 'মহাসেন'। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ খবর জানা যায়।

 

৪০০ কিলোমিটার ব্যাপ্তি নিয়ে মহাসেন অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আলম জানিয়েছেন।

 

তিনি জানান, খেপুপাড়ায় ২৩২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১২২ মিমি, বরিশালে ৯৫ মিমি, ভোলায় ৭৮, ফেনীতে ৭৫ মিমি, হাতিয়ায় ৫৪ মিমি, চট্টগ্রামে ৩৭ ও কক্সবাজারে ১৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

 

এছাড়া মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ২২৫ কিলোমিটার এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি ৩৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগুচ্ছে।

 

আমাদের বাগেরহাট ও পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, ওই দুই জেলার কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বাগেরহাটে মধ্যরাত থেকেই ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'র প্রভাবে উপকূলের কয়েকটি জেলায় ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে।

 

(এসআর/ইউসি/এএইচ/মে ১৬, ২০১৩)


'গরু- মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যামু না'


'গরু- মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যামু না'

:: হারুন অর রশিদ রাজিব :: 
"আমরা যদি গরু মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যাই তাইলে আমাদের এই গুলারে কে দেখবো। তার চাইতে ভালো বাঁচলে বাঁচবো, মরলে মরবো, নিজ ঘরে থাকমু" এভাবেই বলছিলেন নোয়াখালীর চরাঞ্চলের বাসিন্দা লোকমান আলী।

ঘূর্ণিঝড় মহাসেন যে কোন সময় নোয়াখালীর উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের সর্বত্র বিরাজ করছে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। ঝড়ের চিন্তায় রাত কাটলেও এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ লুটপাটের আশঙ্কায় জীবনের ঝুঁকি থাকা স্বত্ত্বেও বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নোয়াখালীতে প্রচুর বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইছে। ফলে থেমে যাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরানোর কাজ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, নোয়াখালীর মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে।

বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কে মানুষ রাত জেগে বসে ছিল।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ বাড়িতে আছেন বলে জানান চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন।

এআইএম/এএসটি


মহাসেন আপডেটস্ (রাত ৪টা ১৬ই মে, ২০১৩) :

**মহাসেন এখন ঘন্টায় প্রায় ২০ কি.মি গতিতে এগুচ্ছে। বুধবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। কক্সবাজার থেকে এর দূরত্ব ছিলো ৫০০ কিলোমিটার। মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এটি ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ছিলো।

**আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' খেপুপাড়া-টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বৃহস্পতিবার দুপুরে। 

**চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর মংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত।

**উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে। 

**পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেত প্রযোজ্য হবে।

**চাঁদপুরের চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়ন ইব্রাহীমপুর, রাজরাজেশ্বর ও নীলকমল ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন তাদের বসত-ভিটার মায়া ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না। 

**ভোলায় ভোলায় ১৩ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়া আসা হয়েছে। চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড ও সাগর উপকূলের বিচ্ছিন্ন চরগুলোতে ২৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

**কক্সবাজারের উপকূলীয় মহেশখালী-কুতুবদিয়া এলাকায় ১৫ মে গভীর রাত পর্যন্ত অন্তত একলাখ লোক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন ভাবে নিরাপদ স্থানে রয়েছে আরো ৫০ হাজার লোক। রাতেই মহেশখালীতে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ
মহাসেন শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ আপডেটস্:

**বৃহস্পতিবার দুপুর দু'টার দিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। 

**হাতিয়ার দক্ষিণদিকে দমকা হাওয়া বইছে। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের দিকের অংশটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে পানির উচ্চতা পাঁচ ফুট বেড়ে গিয়েছে। 

**বরগুনা ও ভোলার উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজনের গাছচাপায় মৃত্যু হয়েছে।

**ঘূর্ণিঝড় `মহাসেন' চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আঘাত হানছে। ওই উপজেলার উড়িরচর আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও গাছ-পালা উপড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেঁড়িবাধ ডিঙ্গিয়ে উপজেলার কাজীপাড়া এলাকা দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের পানি জনবসতিতে ঢুকে পড়ছে।

**বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে।

মহাসেনের আগমনে আমরা সবাই আতংকিত, উদ্বিগ্ন। এই সময়ে চলুন চট করে পরিচিত হই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বাঙালি কিছু ঝড়ের সাথে। আমরা এখন মহাসেন নিয়ে যেটুকু উদ্বিগ্ন, পাকবাহিনীকে তার চেয়ে শত কোটি গুণ টেনশনে রাখতো ক্র্যাক প্লাটুন নামের এই বাঙালি ঝড়।

ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত দল, যারা তৎকালীন সময় একটি কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। এই গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে "হিট এন্ড রান" পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ত্রাসের সঞ্চার করেন।

==বাহিনীর গেরিলাদের পরিচয়==

এই গেরিলা দলটিতে যারা যছিলেন তাঁরা হলেন:

* আবুল বারক আলভী
* শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল, বীর বিক্রম
* আযম খান
* আলী আহমেদ জিয়াউদ্দিন, বীর প্রতীক
* ইশতিয়াক আজিজ উলফাত
* কাজী কামালউদ্দিন, বীর বিক্রম
* কামরুল হক স্বপন, বীর বিক্রম
* গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক
* চুলু
* জহির উদ্দিন জালাল
* জহিরুল ইসলাম
* নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু
* নীলু
* পুলু
* ফতেহ চৌধুরী
* শহীদ বদিউজ্জামান
* বদিউল আলম বদি, বীর বিক্রম
* মতিন - ১
* মতিন - ২
* শহীদ মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ
* মাহবুব
* মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম
* মাযহার
* রাইসুল ইসলাম আসাদ
* লিনু বিল্লাহ
* শহীদ শফি ইমাম রুমী
* শহীদুলাহ খান বাদল
* শাহাদত চৌধুরী
* সামাদ
* হাবিবুল আলম, বীর প্রতীক
* হিউবার্ট রোজারিও
* হ্যারিস

==নামকরণ==

খালেদ মোশাররফের নির্দেশনা ছিলো হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশী সাংবাদিক ও অতিথিরা থাকাকালীন ঢাকা শহরের পরিস্থিতি যে শান্ত নয় এবং এখানে যুদ্ধ চলছে তা বোঝানোর জন্য শহরের আশে-পাশে কিছু গ্রেনেড ও গুলি ছুড়তে হবে; কি

ন্তু দু:সাহসী এই তরুণেরা ঢাকায় এসে ৯ জুন তারিখে[৫] সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করেন বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে যা ছিলো অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ও অচিন্তনীয় কাজ। সন্ধ্যায় বিবিসির খবর থেকে খালেদ মোশাররফ এই অপারেশনের কথা জানতে পেরে বলেন, 'দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল! বললাম, ঢাকার বাইরে বিস্ফোরণ ঘটাতে আর ওরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এসেছে।' তিনিই প্রথম এই দলটিকে "ক্র্যাক" আখ্যা দেন; যা থেকে পরবর্তীতে এই প্লাটুনটি "ক্র্যাক প্লাটুন" নামে পরিচিত হয়।[৬]

==প্লাটুন গঠনের ইতিহাস==

এই দলটি গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম] এবং এটিএম হায়দার, বীর উত্তম।এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নং সেক্টরের অধীন একটি স্বতন্ত্র গেরিলা দল যারা মূলত গণবাহিনীর অংশ বলে পরিচিত। এই বাহিনীর সদস্যরা ভারতের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষনে গ্রেনেড ছোড়া, আত্ম-গোপন করা প্রভৃতি শেখানো হতো।

==অপারেশন==

পাঁচ হতে ছয় জনের এক একটি গ্রুপ তৈরী করে এই গেরিলা দলটি অপারেশনে অংশ নিতো। ঢাকা শহরে তাঁরা মোট ৮২টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

* অপারেশন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল
* অপারেশন গ্যানিজ পেট্রল পাম্প
* অপারেশন দাউদ পেট্রল পাম্প
* অপারেশন এলিফ্যান্ট রোড পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন যাত্রাবাড়ী পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন উলন পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন ফার্মগেট চেক পয়েন্ট
* অপারেশন তোপখানা রোড ইউএস ইনফরমেশন সেন্টার
* অ্যাটাক অন দ্য মুভ

কৃতজ্ঞতাঃ ছবির মত দেশ

Cyclonic storm `Mahasen` hits Bangladesh coastlines - Zee News - India

Zee News - ‎47 minutes ago‎
"The cyclonic storm 'Mahasen' started crossing the coast near Patuakhali (Khapupara). The coast grazing cyclone is likely to move northeasterly direction further and may cross Chittagong-Cox's Bazar coast by noon of May 16," the latest bulletin from ...

Mass evacuation ordered as Cyclone Mahasen nears Bangladesh - IBNLive

IBNLive - ‎4 hours ago‎
Chittagong: Bangladesh is evacuating one million people with Cyclone Mahasen expected to hit its low-lying delta coast on Thursday evening, said the United Nations, which estimated 4.1 million people were at risk due to gale-force winds, heavy rain and ...

Cyclone rips into Bangladesh after mass evacuations

Hindustan Times - ‎1 hour ago‎
But fears of widespread damage receded as Mahasen appeared to have lost some of its power after languishing over the Bay of Bengal for several days, and made landfall packing winds of up to 90 kilometres (56 miles) per hour. "Cyclone Mahasen started...

Cyclone Mahasen to hit Bangladesh at 4 pm today: Forecast

Zee News - ‎4 hours ago‎
Dhaka: Cyclone Mahasen is moving closer to Bangladesh in north east direction and is likely to hit Chittangong on Thursday at 4 pm, bringing heavy rains and stormy winds at the speed of 80-90 km/hour, forecast reports said. As the country looks poised for a ...

Myanmar minority resist Cyclone Mahasen evacuation

NDTV - ‎4 hours ago‎
Nearly half the displaced live in coastal areas considered highly vulnerable to storm surges and flooding from Cyclone Mahasen, which is expected to make landfall early Friday. "They say they'll take us someplace safe," said Kyaung Wa, a cycle-rickshaw...

Cyclone Mahasen crosses Bangladesh coast, two dead

India Today - ‎2 hours ago‎
Cyclone Mahasen started crossing Bangladesh's low-lying coast on Thursday, bearing down on the ports of Chittagong and Cox's Bazar, as tens of thousands of people huddled in shelters from a storm which the United Nations says threatens 4.1 million ...

Cyclone Mahasen to bear down on Bangladesh coast tonight

Hindu Business Line - ‎2 hours ago‎
Cyclone Mahasen has begun its last full-day run over the warm waters of the North Bay of Bengal ahead of landfall over the Chittagong coast in Bangladesh tonight. The cyclone had taken shape as a low-pressure area five days ago, and had clambered up ...

Cyclone: Bangla, Myanmar evacuate people

Indian Express - ‎7 hours ago‎
The United Nations has warned that more than eight million people could be at risk from Cyclone Mahasen, which is expected to make landfall Thursday or Friday somewhere near the border between the two countries. Bangladesh told hundreds of thousands ...

Cyclone slams Bangladesh

Business Standard - ‎1 hour ago‎
Xinhua reported that cyclone "Mahasen" made landfall in Bangladesh's extreme southeastern Patuakhali district Thursday morning as a category 1 storm with top wind speeds of 100 kph, where authorities warned that the slow-moving storm could hit inland ...

Bangladesh evacuates one million ahead of cyclonic storm 'Mahasen'

Zee News - ‎15 hours ago‎
Bangladesh evacuates one million ahead of cyclonic storm 'Mahasen' Dhaka: Bangladesh on Wednesday ordered the evacuation of about one million people from its coastline as the cyclonic storm 'Mahasen' in the Bay of Bengal was poised to cross the ...

Cyclone Mahasen strikes southern Bangladesh

BBC News - ‎51 minutes ago‎
The storm hit Patuakhali district on Thursday with winds of up to 100km/h (60mph), and was heading for the ports of Chittagong and Cox's Bazar. One person has been reported dead, Bangladeshi officials say. Hundreds of thousands of people have been ...

Cyclone Mahasen buffets Bangladesh coast, five dead

Reuters - ‎4 minutes ago‎
CHITTAGONG, Bangladesh (Reuters) - Cyclone Mahasen buffeted Bangladesh's low-lying coast on Thursday, bearing down on the ports of Chittagong and Cox's Bazar, as tens of thousands of people huddled in shelters from a storm the United Nations says ...

Cyclone Mahasen hits coast of Bangladesh, sending 1 million people fleeing

Washington Post - ‎32 minutes ago‎
COX'S BAZAR, Bangladesh — The outer bands of Cyclone Mahasen struck the southern coast of Bangladesh on Thursday, lashing remote fishing villages with heavy rain and fierce winds that flattened mud and straw huts and forced the evacuation of more ...

Myanmar authorities work to evacuate camps as cyclone nears

Firstpost - ‎5 hours ago‎
Cyclone Mahasen has already killed at least seven people and displaced 3,881 in Sri Lanka, its Disaster Management Center said on Tuesday. The storm is moving north over the Bay of Bengal and is expected to reach land on Thursday, hitting north of...

Cyclonic storm `Mahasen`: Bangladesh begins massive evacuation campaign

Zee News - ‎18 hours ago‎
Cyclonic storm `Mahasen`: Bangladesh begins massive evacuation campaign Dhaka: Bangladesh on Wednesday launched a massive evacuation campaign as weathermen warned that cyclonic storm 'Mahasen' had moved further towards the coast.

Distrustful Rohingya resist cyclone evacuation in Myanmar

The Hindu - ‎20 hours ago‎
Nearly half of those displaced are in coastal areas considered highly vulnerable to storm surges and flooding from Cyclone Mahasen, which is expected to make a landfall early Friday. Outside the State capital of Sittwe on Wednesday, one community of ...

Cyclone Mahasen lashes Bangladesh coast with heavy rain

CNN International - ‎2 hours ago‎
(CNN) -- Tropical Cyclone Mahasen began to lash the coast of Bangladesh with heavy rain Thursday, bringing the risk of flooding and landslides to densely populated, low-lying communities. Bangladeshi authorities relocated hundreds of thousands of people ...

Bangladesh orders evacuation as cyclone nears coast

Times of India - ‎20 hours ago‎
Cyclone Mahasen is still classified as the lowest-level category one on a one-to-five scale and packing winds of up to 88 kilometres (55 miles) per hour at its centre, Shamsuddin Ahmed, deputy chief of Bangladesh Meteorological Department, said. But as a ...

Cyclone fear triggers mass evacuations in B'desh, Myanmar

Hindustan Times - ‎13 hours ago‎
Cyclone Mahasen, expected to make landfall on Thursday or Friday somewhere near the border between the two countries. Bangladesh people living in low-lying areas to move to cyclone shelters, while Myanmar announced plans to relocate roughly 1...

Evacuation drive underway as cyclone approaches Bangladesh

Business Standard - ‎16 hours ago‎
Bangladesh today launched a massive evacuation drive as the Met Office issued 'Danger Signal No 7' in a scale of 10 for northeastern coastlines, saying that the cyclonic storm 'Mahasen' approached further towards the coast. "The evacuation campaign has ...

UN helping Bangladesh, Myanmar prepare for Mahasen - India Blooms

indiablooms - ‎2 hours ago‎
May 16 (IBNS): United Nations aid agencies are working with the Governments of Bangladesh and Myanmar to prepare for Tropical Cyclone Mahasen, which is expected to make landfall within the next 24 to 36 hours, possibly threatening millions of people ...

Cyclone Mahasen: Thousands evacuated in Bangladesh

NDTV - ‎12 hours ago‎
Dhaka: Around 200 cyclone centres have been set up across Bangladesh and thousands of residents in coastal areas evacuated following forecast of cyclone Mahasen hitting the country on Thursday at 4 pm. Local TV channels reported that Mahasen was ...

Cyclone Mahasen approaches Bangladesh coast

Deutsche Welle - ‎4 hours ago‎
Though weakening, Mahasen remained a category 1 cyclone. The storm is also expected to cross Myanmar, with similar evacuation efforts in process in the western Rakhine state. Moving north over the Bay of Bengal, the cyclone prompted mass evacuation ...

As Rain From Cyclone Falls, Myanmar Minority Stay

ABC News - ‎4 hours ago‎
Even as rain and wind from the edges of Cyclone Mahasen began to pelt the coast near the city of Sittwe on Thursday morning, most people camped there appeared to be staying put. Some, however, were taking down their tents and hauling their belongings ...

Cyclone Mahasen likely to hit Bangladesh on Thursday

Livemint - ‎20 hours ago‎
Cyclone Mahasen is about 450km from Orissa's Paradip coast and is moving in a north-east direction, on track to make landfall on Thursday in Chittagong in Bangladesh. The cyclone has gained strenght in the last 24 hours, but will hit with wind speeds of ...

Cyclone Mahasen to hit NE in 72 hrs

Times of India - ‎May 14, 2013‎
GUWAHATI/KOHIMA: Tropical cyclone Mahasen is expected to hit northeast India in the next 72 hours with heavy rains and thunderstorms expected in the region. On May 16, the cyclone is expected to cross the Bangladesh coast between Khepupara and ...

Nearly 70000 evacuated in Myanmar western state amid storm threat

Xinhua - ‎5 hours ago‎
YANGON, May 16 (Xinhua) -- A total of 69,789 local people in Myanmar's western Rakhine state have been evacuated to safer places as of Wednesday to avoid possible danger of cyclone " Mahasen", official media reported Thursday. The local people are...

Flights suspended as cyclone heading towards Bangladesh

The Hindu - ‎22 hours ago‎
Bangladesh on Wednesday suspended operations at two airports and a port as cyclone Mahasen headed towards its coastline, officials said. "We have asked suspension of all flights to and from Shah Amanat International Airport from 4 pm (1000 GMT) and ...

Cyclone hits Bangladeshi coast - Mizzima News

Mizzima News - ‎53 minutes ago‎
"Cyclone Mahasen started crossing the Patuakhali coast at 9:00 am (0300 GMT) Thursday," Shamsuddun Ahmed, deputy director of the Bangladesh Meteorological Department, told AFP, adding he expected the storm to cause little damage. "It is not a severe ...

Cyclone weakens but Bangladesh, Myanmar on alert: United Nations

NDTV - ‎May 15, 2013‎
Cyclone Mahasen is moving northeastwards over the Bay of Bengal and expected to make landfall on Friday morning north of the Bangladeshi city of Chittagong, sparing Myanmar's restive Rakhine state from its full fury, the UN said. "The cyclone does appear ...


হালনাগাদ: ৩ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড আগে

  • সন্দ্বীপে আঘাত হানছে 'মহাসেন'
  • ভোলায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে নিহত ১
  • কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ
  • পটুয়াখালী উপকূল অতিক্রম করছে মহাসেন
  • কক্সবাজারে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত
  • মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বাতিল
  • বিএনপি নেতা জাহিদ, আমান, শাহজাহানের ৬ মাসের জামিন

ঢাকা, বৃহস্পতিবার

Poriborton
  •  
  •  
  •  
  •  

জামায়াতের রক্ষাকবচ প্রথম আলো!

জামায়াতের রক্ষাকবচ প্রথম আলো!

প্রভাষ আমিন 

আমার অবস্থা হয়েছে মেরিনা ইয়াসমিনের মত। একসময় চাকরি সূত্রে, বর্তমানে বৈবাহিক সূত্রে প্রথম আলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক। প্রথম আলো ভালো কিছু করলে প্রশংসার বানে ভেসে যান, কলার নেড়ে নেড়ে তা গ্রহণ করেন। আবার খারাপ কিছু করলে সবার সমালোচনার ঝাপটাটাও তাকে সইতে হয়। এই যেমন আমি প্রথম আলো কিছু করলে মেরিনা আপাকে ফোন করি। উনি চালাক মানুষ, বুঝে যান, ফোন ধরেই বলেন, আমি প্রথম আলোর কেউ না। আমাকে ফোন করছিস কেন।

আমার অবস্থাও তার মতই। একসময় দীর্ঘদিন প্রথম আলোতে কাজ করেছি। সেই সুবাদে প্রথম আলোর কিছু হলে অনেকেই আমাকে ফোন করেন। প্রশংসা-নিন্দা দুটিই জোটে। প্রথম আলোতে কাজ করেছি- শুধু এটুকু বললে মনে হয় কম বলা হয়। প্রথম আলোর গড়ে ওঠার কালে ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া বাকি পুরোটা সময় প্রথম আলোকেই দিয়েছি। ছুটি, ডে অফ বলে যে কিছু আছে, তখনও সেটা বুঝতাম না। স্ত্রী-সন্তানের সময়ও প্রথম আলোকে দিয়েছি। মেধার ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতাম সময়, আন্তরিকতা আর পরিশ্রম দিয়ে। কেউ যেন ভেবে বসবেন না, আমি নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছি। আমি আসলে প্রথম আলোর খুব সামান্য একজন কর্মী ছিলাম। আজকে প্রথম আলো যে মহাসমূদ্রের নাম, আমার অবদান তাতে বড় জোর আধা ফোটা শিশির। স্ত্রী-সন্তানকে প্রথম আলোর কারণে বঞ্চিত করলেও তারা দুজনই আবার আমার মত প্রথম আলোর ভক্ত ও নিয়মিত পাঠক। ছেলে পড়ে খেলার পাতা, আর স্ত্রী মুক্তি তো আমার চেয়ে বেশি রাজনীতির অলিগলির খোঁজ রাখে। আমার স্ত্রী আসলে প্রথম আলোর আগে মতি ভাইয়ের ভক্ত, সেই সূত্রেই প্রথম আলো। প্রথম দেখায় মতি ভাই তাকে বলেছিলেন, আমি সবসময় বোনদের পক্ষে। যে কোনো সমস্যায় আমাকে জানাবেন। কথার কথা নয়, মতি ভাই তার প্রমাণও রেখেছেন।

আমি সংসদ অধিবেশন কাভারে ব্যস্ত থাকতে থাকতে মিরপুরের বাসায় গাড়ি পাঠিয়ে আমার অসুস্থ ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে আবার বাসায় পাঠিয়েছেন। আমি কিছুই জানতে পারিনি। জেনেছি গভীর রাতে বাসায় ফেরার পর। এমন অনেক উদাহরণ আছে। প্রথম আলো ভালো কিছু করলে আমার স্ত্রী খুব খুশী হয়। বিশেষ বিশেষ আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে একাধিকবার সে অফিসে গিয়ে মতি ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছে। মতি ভাইয়ের প্রতি আমারও ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। সেটা এই পরিসরে লেখা সম্ভব নয়।

মতি ভাইয়ের প্রতি আমাদের পারিবারিক কৃতজ্ঞতা আছে, থাকবে। কিন্তু প্রথম আলোর প্রতি মুগ্ধতাটা বোধহয় আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। টুকটাক সমালোচনা, ফিসফাস ছিলই। বড় ধাক্কাটা খেয়েছি গত ১৪ এপ্রিল নববর্ষ সংখ্যায় হাসনাত আবদুল হাইয়ের উদ্দেশ্যমূলক গল্প 'ক্যামেরার সামনে মেয়েটি' পড়ে। ছোটগল্প হিসেবে ছাপা হলেও হাসনাত আবদুল হাইয়ের লেখাটিকে আমার কাছে গল্প মনে হয়নি। আমি ভুলও হতে পারি। অত বড় লেখকের সাহিত্য বিচারের যোগ্যতা হয়তো আমার নেই। কিন্তু যারা বিচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেননি। সবাই হাসনাত আবদুল হাই নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে পার পেয়ে গেছেন অদিতি ফাল্গুনী। একই সংখ্যায় 'উন্মাদিনী কাল' নামে তারও একটি গদ্য ছাপা হয়েছে। সেটিকেও ছোটগল্প বলে দাবি করা হয়েছে। আমি জানি না এই সময়ে ছোট গল্পের সংজ্ঞা বদলে গেছে কিনা। যে কোনো হিজিবিজি লিখে ওপরে পরিচিত লেখকের নাম দিয়ে দিলেই কী তা গল্প হয়ে যায়?

তবে এই ক্ষেত্রেও আমার ভুল হতে পারে। বিখ্যাত সাহিত্যিক কমলকুমার মজুমদার এবং তার ভাবশিষ্য আমার বন্ধু রোকন রহমান- এই দুজনের গদ্যই আমার মাথায় ঢোকে না, মাথার অনেক ওপর দিয়ে যায়। হয়তো অদিতি ফাল্গুনীর গল্পটিও তেমন উচ্চমার্গের, আমার মাথার ওপর দিয়ে গেছে। নয়তো অতি নিম্নমার্গের, প্রথম আলো কেন বাংলাদেশের কোনো পত্রিকাতেই এটি ছাপা হওয়ার যোগ্য নয়। আমার পক্ষপাত নিম্নমার্গের দিকে। যদি উচ্চমার্গেরও হয়, তাও তা প্রথম আলোতে ছাপা ঠিক হয়নি। প্রথম আলো তো আমাদের মত আম পাঠকের জন্য, এটি তো শাহবাগ থেকে প্রকাশিত লিটল ম্যাগাজিন নয়। আমপাঠক বুঝবে না, এমন একটি গল্প প্রথম আলোর মত বহুল প্রচারিত দৈনিক ছাপবে কেন? সমস্যা কিন্তু গদ্য দুটির সাহিত্য মূল্য নিয়ে নয়। সমস্যা হলো উদ্দেশ্যে। একই সংখ্যার দুটি গল্পে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের চেতনায় আঘাত করা হয়েছে, অপমান করা হয়েছে, হেয় করা হয়েছে। হাসনাত আবদুল হাই নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর তার গল্প নামের নোংরা গদ্যটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর প্রথম আলো নামকাওয়াস্তে ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেছে। কিন্তু চোখের আড়ালে থাকা অদিতির নোংরাতম গদ্যটি রয়েই গেছে। তারমানে সেটি প্রথম আলোর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যায়। তারমানে পরিস্কার সম্পাদকীয় নীতি টিতি কিছু না, প্রথম আলো শক্তের ভক্ত। চাপে পড়েই হাসনাত আবদুল হাইয়ের গদ্যটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঠিকমত চাপ দিতে পারলে অদিতিরটাও প্রত্যাহার করা হতো। শাহবাগীরা নিছক 'গান্ধিবাদী' বলে সে যাত্রায় বেঁচে গেছে প্রথম আলো। নইলে একই সংখ্যায় একটি চেতনাকে আঘাত করে দুটি গদ্য ছাপা কাকতালীয় তো নয়ই, অসাবধানতাও হতে পারে না।

এটি অবশ্যই পরিকল্পিত, আমার ধারণা দুই লেখককেই এসাইনমেন্ট দিয়ে লেখানো হয়েছে। হাসনাত আবদুল হাই ইস্যুর পর আমি 'গরু মেরে জুতো দান' শিরোনামে একটি লেখা লিখেছিলাম। পড়ে অনেকেই বলেছেন, ভাই আপনি প্রথম আলোর পেছনে লেগেছেন কেন? তাদের বলেছি, আমি প্রথম আলোর পেছনে লাগিনি, পাশে দাঁড়িয়েছি। সমালোচক দুই কিসিমের- বন্ধু সমালোচক, শত্রু সমালোচক। আমি বন্ধু সমালোচক। আমি প্রথম আলোর ভুলটা ধরিয়ে দিতে চাই। কোনটা ভুল, কোনটা অপরাধ; কোনটা অসাবধানতা, কোনটা ইচ্ছাকৃত- তা ধরিয়ে দিতে চাই। প্রথম আলোতে যারা কাজ করেন, তাদের অনেকেই ফোন করে আমার সেই লেখার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু চাকরি করেন বলে তা প্রকাশ্যে বলতে পারেননি। এমনকি মতি ভাই যখন সবার নাম পাল্টে দিলেন (ডাক নাম বা নামের শেষাংশ কর্তন), চাকরির মায়ায় তখনও তারা কিছু বলতে পারেননি। তাদের দোষ দেই না। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি মতি ভাইয়ের মুখের ওপর কিছু বলা প্রায় অসম্ভব। আমি যখন চাকরি করেছি, তখনও মুখ বুজে অনেক অন্যায় সয়েছি। তাই তো প্রথম আলো আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় হলেও, প্রথম আলো ছাড়ার পরই সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। বাবা-মায়ের কড়া শাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ওঠার স্বাধীনতার মত। আমার ধারণা একই অনুভূতি প্রথম আলোর সকল সাবেক সহকর্মীদের।

যেটা বলছিলাম, প্রথম আলোর বর্তমান কর্মীরা না পারলেও আমরা যারা সাবেক কর্মী তাদের প্রথম আলোকে ঠিক পথে রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। ধান ভানতে অনেক লম্বা শিবের গীত গাওয়া হলো। এবার মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। যে ধাক্কা দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তার চেয়েও বড় ধাক্কা দিলো প্রথম আলো। এবার গল্প নয়, জনমত জরিপ আকারে। গত ১১ মে প্রথম আলোর উদ্যোগে ওআরজি-কোয়েস্ট পরিচালিত জরিপের ফলাফল ছাপা হয়েছে পত্রিকাটির প্রথম পাতায়। প্রথম আলো প্রায় নিয়মিত জরিপ করে। বাংলাদেশে জরিপ নিয়ে নানান গল্প চালু আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বসে শত শত জরিপের ফরম পূরণ করার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। তবু আমি ওআরজি-কোয়েস্ট পরিচালিত জরিপের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। আমি ধরেই নিচ্ছি তারা ৩ হাজার ব্যক্তির কাছেই গেছে প্রশ্ন নিয়ে। আমার আপত্তি প্রথম আলোর হঠাৎ জরিপের উদ্দেশ্য নিয়ে, নির্ধারিত প্রশ্ন নিয়ে। দেশ যখন সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে জটিল এবং সঙ্কটকাল অতিক্রম করছে, তখন এমন একটি উদ্দেশ্যমূলক জরিপ সে সঙ্কটে নতুন প্যাচ তৈরি করবে শুধু। সাধারনত সরকারের বর্ষপূর্তি বা বছরের শুরুতে বা কোনো নির্বাচনের আগে জরিপ করা হয়। কিন্তু হঠাৎ ৯-২০ এপ্রিল জরিপ করে তা ১১ মে ছাপতে হবে কেন?

প্রিয় পাঠক, একটু খেয়াল করে দেখেন প্রথম আলোর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে ৯-২০ এপ্রিল আর হাসনাত আবদুল হাই ও অদিতি ফাল্গুনীর গল্প ছাপা হয়েছে ১৪ এপ্রিল। তারমানে জরিপ আর নববর্ষ সংখ্যা- দুটির পরিকল্পনা হয়েছে একই সময়ে। হয়তো এক টেবিল থেকে, হয়তো এক মাথা থেকে। টার্গেট খুব পরিস্কার- শাহবাগের চেতনাকে ধ্বংস করে দাও। শুরু থেকেই প্রথম আলো শাহবাগের বিরুদ্ধে। প্রথম দিন মানে ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম পাতায় কাদের মোল্লার 'ভি' চিহ্নের ছবি আর দুই কলামে শাহবাগের প্রতিবাদের কথা ছেপে অনেক নিন্দা কুড়িয়েছে প্রথম আলো। সেদিন শাহবাগে অনেকে প্রথম আলো পুড়িয়েছে, পাড়িয়েছে। পরে কর্মীদের চাপে আর অংশগ্রহণের সংখ্যাধিকের কারণে প্রথম আলোতে শাহবাগ কিছুটা গুরুত্ব পেয়েছে। আসলে এত বড় জনসমাবেশ উপেক্ষার উপায়ও ছিল না। যদিও এই প্রথম কোনো ইস্যুতে প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকাগুলো প্রথম আলোর চেয়ে এগিয়ে ছিল। শাহবাগকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি প্রথম আলো রাস্তা আটকে গণজাগরণ মঞ্চ করা, হাসপাতালের রোগীদের অসুবিধা নিয়ে রিপোর্ট করতেও ছাড়েনি। প্রথম আলো বলতে পারে, আমরা কাউকে ছেড়ে কথা কই না। সত্য বলতে ভয় পাই না। কিন্তু এটা কী সব ক্ষেত্রে সত্যি? প্রথম আলোর বেশির ভাগ কর্মীকেই আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাদের ৯৯ ভাগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। প্রথম আলোর অনেকের সঙ্গে রাত চারটার সময় শাহবাগে আড্ডা মেরেছি, অনেকে অফিস সময়টুকু বাদ দিয়ে বাকি সময়টা শাহবাগেই কাটিয়েছেন। তাহলে প্রথম আলো শাহবাগের বিরুদ্ধে লাগলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। অনেকে অনেক কথা বলেন। প্রথম দিনের পোড়ানো-পাড়ানোর একটা ক্ষোভ তো থাকতেই পারে। তবে আমার কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে, প্রথম আলো ছাড়াই যে বাংলাদেশে ভালো একটা কিছু হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে শাহবাগ। আর তাতে আঘাত লেগেছে প্রথম আলোর অহং-এ। আমি নিশ্চিত শাহবাগীরা যদি মতি ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আন্দোলন শুরু করতেন। আর যদি আন্দোলনের নাম হতো 'গ্রামীণফোন-প্রথম আলো গণজাগরণ মঞ্চ' তাহলেই আর সমস্যা থাকতো না।

কিন্তু শাহবাগে যে স্বতস্ফুর্ত গণজাগরণ হয়েছে তাতো কোনো দলের নয়, কোনো একটি পত্রিকার নয়; গোটা দেশের। সারাবিশ্বের সকল বাঙালির ঘরে ঘরে পৌছে গেছে শাহবাগের ডাক। মতি ভাই ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০এর গণ আন্দোলনের মাঠের সৈনিক। কিন্তু ২০১৩এর গণজাগরণে তাকে এক সেকেন্ডের জন্যও দেখিনি। কেন? এমন তো নয় মতি ভাইয়ের অনেক বয়স হয়ে গেছে কোথাও যান না। বরং পত্রিকার স্বার্থে অনেক অগুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও তাকে যেতে দেখি। মতি ভাইদের গণ অভ্যুত্থান অনেক মহৎ ছিল। গণ অভ্যুত্থানের বছর জন্ম বলে আমি অনেক গর্ব করি। কিন্তু তাই বলে আমাদের নতুন প্রজন্মের গণ জাগরণের মহত্বও তো কম নয়, অন্তত মতি ভাইয়ের না যাওয়ার মত অত খারাপ না।

প্রথম আলোর শাহবাগের বিরোধিতা করার আরেকটা যৌক্তিক কারণ আছে। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ সার্কুলেশনের হিসাবটা খুব ভালো বোঝেন। তাই তো তারা অপ্রতিদ্বন্দ্বী এক নাম্বার। কিন্তু শাহবাগের গণজাগরণ শুরুর পর প্রথম আলোর সার্কুলেশন কমে যায়, বেড়ে যায় আমার দেশের সার্কুলেশন। তাই তো সার্কুলেশন পুনরুদ্ধারের জন্য আমার দেশ বেঁচে থাকলে যা যা করতো তার সবই করছে প্রথম আলো। ভালো তো, ভালো না?

হায়, সার্কুলেশনই কী সব। আদর্শ, চেতনা বলে বুঝি কিছু কি থাকতে নেই?!

আবার আসি জরিপ প্রসঙ্গে। সারাবিশ্বেই জরিপ হয়। তার অনেককিছু কাছাকাছি মিলেও যায়। কিন্তু জরিপের আবার একটি হাস্যকর দিকও আছে। যেমন মেরিল-প্রথম আলো তারকা জরিপ। একসময় এই জরিপ ইভেন্টের বাধা রিপোর্টার ছিলাম আমি। কে প্রথম হবে, সেটা জানতে দারুণ কৌতুহল নিয়ে বসে থাকতাম। এখন অবশ্য তারকাদের খোঁজ নেয়ার খুব একটা সময় পাই না। পেলেও মেরিল-প্রথম আলো জরিপে কে প্রথম হবেন তা নিয়ে কৌতুহল দেখাবো না। কারণ আমি বিশ্বাস করি এটা পূর্ব নির্ধারিত। না না পাঠকের ভোট নিয়ে কারচুপি হয়, এমন নয়। কে প্রথম হবেন, সেটা আপনিও জানতে পারবেন যদি পুরস্কার ঘোষণার আগের কয়েক মাসের প্রথম আলোর আনন্দ পাতা ফলো করেন। প্রথম আলো কাকে প্রথম বানাবে, তা ঠিক হয়ে যায় আগেই। তারপর চলে আনন্দ পাতায় তার ব্যাপক কাভারেজ। পাঠক মুগ্ধ হয়ে যান, সেই তারকার নানা গুণের কথা জেনে, চমৎকার সব ছবি দেখে। প্রথম আলোর পাঠকদের তাই মানসিকভাবে অন্য কাউকে ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে না। তাই পাঠকদের ভোটও যেমন সত্যি, আবার প্রথম আলোর পূর্ব নির্ধারিত তারকার পুরস্কার প্রাপ্তিও সত্যি। তবে রাজনৈতিক জরিপের ক্ষেত্রে বিষয়টি অত সহজ নয়। তবু জরিপ থেকে আপনি কী ফলাফল চান, সেটা আগেই ঠিক করে রেখে; সম্পুর্ণ সততার সঙ্গে জরিপ চালিয়েও সেই ফলাফলই তুলে আনা সম্ভব। আপনি কী উত্তর চান প্রশ্নটা সেভাবে করলেই পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত উত্তর। অনেক সময় প্রশ্নেই লুকিয়ে থাকে উত্তর। আপনি কী এখনও আগের মত বউ পেটান? এই প্রশ্নের উত্তর কী।

আমি বিশ্বাস করি ওআরজি-কোয়েস্ট ৩ হাজার লোকের কাছেই গেছে। প্রথম আলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে ৩০টি জেলা শহর ও গ্রামের ৩ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে। এই ৩ হাজার মানুষের মধ্যে ৫০১ জন (১৬.৭ ভাগ) মানুষ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। শাহবাগের পক্ষে থাকতে পারেন, বিপক্ষে থাকতে পারেন, নিশ্চুপ থাকতে পারেন। কিন্তু বাংলাদেশে বাস করে শাহবাগ সম্পর্কে কিছু জানে না, এমন এলিয়েনদের ওপর চালানো জরিপের ফল প্রথম আলো প্রথম পাতায় বড় করে ছাপবে, আর প্রতিক্রিয়াশীলরা সেই জরিপ নিয়ে নিয়ে উল্লাস করবে। হায় জরিপ, হায় প্রথম আলো।

আমার কাছে টাকা থাকলে আমি এই ওআরজি-কোয়েস্টকে দিয়েই ৬ হাজার লোকের ওপর একটি জরিপ করাতাম। আমার প্রশ্ন থাকতো দুটি: ১. আপনি কী মনে করেন, হাসনাত আবদুল হাইয়ের গল্প ছেপে প্রথম আলো অপরাধ করেছে এবং এই অপরাধে দায়ী ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত? ২. আপনি কী মনে করেন জামায়াতকে বাঁচাতে জরিপ করে প্রথম আলো অপরাধ করেছে এবং এই অপরাধে দায়ী ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত? আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ৮০ ভাগ লোক 'হ্যা' উত্তর দেবে। আর আমি শিরোণাম করবো 'দেশের ৮০ ভাগ লোক প্রথম আলোর শাস্তি চায়।'

সত্যি আমি বিশ্বাস করি, প্রথম আলো জামায়াতকে বাঁচাতেই এই জরিপ করেছে। জরিপে মোট ৯টি প্রশ্নের একটি ছিল 'জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি কি নিষিদ্ধ করা উচিত?' ৬৪.৮ ভাগ লোক জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে! ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৩ হাজার মানুষের (তাদের মধ্যে আবার ৫০১ জন এলিয়েন আছেন) ওপর জরিপ চালিয়ে আপনি ফলাফল দেবেন, ৬৪.৮ ভাগ মানুষ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে। এটা হওয়া উচিত না। প্রথম আলোর স্লোগান হলো 'যা কিছু ভালো তার সঙ্গে প্রথম আলো। 'দেশের ৬৪.৮ জামায়াতকে ভালো বলেছে, প্রথম আলো নিশ্চয়ই তাদের সঙ্গে থাকবে। জামায়াতের এখন অস্তিত্বের সঙ্কট। তাদের শীর্ষ নেতারা সবাই জেলে। দুজন ফাঁসির রায় নিয়ে কনডেম সেলে দিন গুণছে। একজনের যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে। বাকিদের বিচার চলছে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে জোরেসোরে। সংগঠন হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় জামায়াতের বিচারের আইনী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সময়ে প্রথম আলোর মত বহুল প্রচারিত একটি দৈনিকের কাছ থেকে এত বড় একটি সার্টিফিকেট তাদের কাছে লাস্ট লাইফলাইন হিসাবে বিবেচিত হবে।

অনেকে বলছেন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে, এই আশঙ্কায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেক মানুষও চায় না, জামায়াত নিষিদ্ধ হোক। অকাট্য যুক্তি। কিন্তু ভাই জামায়াত গত কয়েক মাসে দেশজুড়ে যে তাণ্ডব করেছে, আন্ডারগ্রাউন্ডে গেলে এরচেয়ে বেশি আর কি করবে। বাংলাদেশে এর আগে কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি কি এরচেয়ে বেশি তাণ্ডব করেছে? জামায়াত ভয় দেখাচ্ছে, আর সেই ভয়ে কাবু হয়ে তাদের পক্ষ নিয়ে নিতে হবে? ব্যথা লাগবে সেই ভয়ে কী অপারেশন না করে ক্যান্সারের পিণ্ড শরীরে বয়ে বেড়াবো? যে জরিপের ৬৪.৮ ভাগ মানুষ জামায়াতের পক্ষে সে জরিপের বেশিরভাগ মানুষ তো শাহবাগের বিপক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মাত্র ৫৭.৫ ভাগ মানুষ শাহবাগের বিপক্ষে কেন? জামায়াতের পক্ষের ৬৪.৮ ভাগের সবারই তো শাহবাগের বিপক্ষে থাকার কথা। মাঝখানের এই ২১৯ এলিয়েন কোত্থেকে এলো যারা জামায়াতের পক্ষে কিন্তু শাহবাগের বিপক্ষে না। হা হা হা।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেনি, যুদ্ধাপরাধের রায় পরবর্তী পরিস্থিতি সরকার মোকাবিলা করতে পারেনি- এ সবই তো বাস্তবতা। আওয়ামী লীগ সরকারের এই ব্যর্থতা চিহ্নিত করতে জরিপ করা লাগে না। সবাই দেখছে। কিন্তু প্রথম আলোর আসল লক্ষ্য তো জামায়াতকে বাঁচানো। তাই বাকি ডামি প্রশ্নগুলো আনা হয়েছে। সবসময়ই এটা নিয়ম- মূল লক্ষ্যকে ঠিক রাখতে আপনাকে অনেক কৌশলে অনেক ক্যামোফ্লেজ তৈরি করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের রায় পরবর্তী পরিস্থিতি সরকার মোকাবেলা করতে পেরেছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ৮১.১ ভাগ মানুষ বলেছে, পারেনি। আসলে ৯৯ ভাগ মানুষের বলা উচিত ছিল পারেনি। এক্ষেত্রে তো সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাদের কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। কিন্তু যুদ্ধাপরাধের রায়ের পর জামায়াত-শিবির যা করেছে তা সমর্থন করেন কিনা এমন প্রশ্ন কিন্তু জরিপে ছিল না। কারণ চালাক প্রথম আলো জানে এমন একটি প্রশ্ন করলে জামায়াতের বিপক্ষে রায় চলে আসবে।

আচ্ছা, জরিপের ফলাফল হাতে পাওয়ার পর যদি প্রথম আলো জামায়াতের রাজনীতি আর শাহবাগের আন্দোলনের প্রশ্ন দুটি চেপে যেতো, তাহলে তাদের কী ক্ষতি হতো। আমরা তো কেউ গিয়ে তাদের গলা চেপে ধরতাম না, কেন তোমরা জরিপে কারচুপি করলে? কারণ আমরা তো জানিই না কী প্রশ্নে জরিপ হয়েছে। বা এই দুটি পশ্ন না রাখলেই কী হতো। প্রথম আলো বলতে পারে, বর্তমান সময়ের আলোচিত এই দুটি প্রসঙ্গ বাদ দেয়া সম্ভব ছিল না। তাহলে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা জরিপে নাই কেন? জরিপ পরিচালিত হয়েছে ৯-২০ এপ্রিল। আর হেফাজত ১৩ দফা দিয়েছে ৫ এপ্রিল। তাহলে জরিপের আগে সর্বশেষ সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টিই জরিপে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। কেন? কারণ প্রথম আলো জানে, ৯০ ভাগ লোক যেমন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে, তেমনি ৯০ ভাগ লোক ১৩ দফার বিপক্ষে হবে। প্রথম আলো হয়তো হেফাজতে ইসলামের বিপক্ষে গিয়ে সার্কুলেশন খোয়াতে বা বায়তুল মোকাররমে গিয়ে মাফ চেয়ে আসার মত পরিস্থিতিতে আর পরতে চায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ যখন এলই তখন ছোট্ট একটা ভবিষ্যদ্বাণী করে রাখি। মিলে গেলে কেউ কাউসার আহমেদ চৌধুরী ভেবে আমার কাছে হাত দেখাতে আইসেন না যেন। জরিপে দেখা গেছে, ৯০ ভাগ লোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তার মানে, হয় দেশের ৯০ ভাগ লোক আওয়ামী লীগের বিপক্ষে অথবা আওয়ামী লীগারদের অনেকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান। হতে পারে। সবাই যেভাবে বর্তমান সঙ্কটের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুপস্থিতিতে দায়ী করছেন, তাতে বেশিরভাগ লোক এর পুনর্বহাল চাইতেই পারেন। কিন্তু ছোট মুখে বড় কথা হলো, ৯০ ভাগ লোক চাইলেও আগের স্টাইলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না বাংলাদেশে। তাই বলে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেও নির্বাচন হবে না।

আগের লেখায় লিখেছিলাম, ফরহাদ মজহারের ভাবশিষ্যরা প্রথম আলোর সাহিত্য পাতার ভাবগুরু। এখন দেখছি শুধু সাহিত্য পাতা নয়, গোটা প্রথম আলোকেই গিলে খেতে চাইছে সেই অশুভ চক্রটি। যার হাত দিয়ে হাসনাত আবদুল হাই আর অদিতি ফাল্গুনীর নোংরা গদ্য ছাপা হয়েছে, তার নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হয়েছে এই জামায়াতি জরিপ। জরিপের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এমন সংশয়পূর্ণ অবস্থা তৈরি হয় যে জরিপের পটভূমি ব্যাখ্যা করতে হয়েছে, পত্রিকার শীর্ষস্থানীয় একজনকে। তিনি আবার বিভিন্ন টেলিভিশনে ঘুরে ঘুরে সেই জরিপের যৌক্তিকতা প্রমাণের চেষ্টা করেন। না হয় জামায়াতের এসাইনমেন্টেই জরিপটি হয়েছে। তাই বলে যেই জরিপে ৬৪.৮ ভাগ মানুষ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হোক তা চায় না, সেই জরিপের পক্ষে আবার সাফাইও গাইতে হবে? মানুষের লজ্জা, ঘেন্না জাতীয় অনুভূতিগুলো কি উঠে গেলো নাকি। কেউ কেউ বলছেন, আগেরবার মহা অপরাধ করেও শুধু ক্ষমাতে পার পেয়ে যাওয়ায় অপরাধীরা সাহস পেয়ে গেছেন। তারা বুঝে গেছেন অহিংস শাহবাগীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াতে কোনো ঝূঁকি নেই। তাই তারা এবার আরো বড় অপরাধ করেছেন। ভবিষ্যতে হয়তো আরো করবেন। তবে তাদের কাছে হয়তো জামায়াতের পক্ষে অবস্থান নেয়াটা অপরাধ নয়, গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথম আলোর জামায়াতের পক্ষে দাঁড়ানোটা এক ধরনের অপরাধই। প্রথম আলো বড় পত্রিকা, বিশ্বজুড়ে তার পাঠক। সেই পাঠককে প্রভাবিত করার জন্য নানা আয়োজনও করেন তারা। তাই তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেক সোচ্চার বন্ধুকে জানি যারা ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দিয়েই বিপ্লব করে ফেলতে চান। কিন্তু প্রথম আলো প্রসঙ্গ এলেই চুপ মেরে যান, বলেন, ইনবক্সে আসেন বা ফোন করেন। তাদের ধারণা প্রথম আলোকে ক্ষেপানো যাবে না। এমনে এমনে যতটুকু কাভারেজ পাওয়া যায় ততটুকুই ভালো। এতবড় পত্রিকা একেবারে শাহবাগের বিপক্ষে চলে গেলে বিপদ। কিন্তু ভাইয়েরা প্রথম আলো যখন আমার দেশ-এর শুন্যস্থান পূরণ করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তাকে ঠেকাতে ক্ষেপানোর ঝূঁকি নিতেই হবে। অতিবিপ্লবী অনেকে আবার প্রথম আলো বর্জনের ডাক দেন। বর্জন করে কী আমরা প্রথম আলোকে জামায়াতের কোলে তুলে দিবো? প্রথম আলোর যেন মতিভ্রম না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ৯৯ ভাগ কর্মীর শ্রমে ঘামে তৈরি প্রথম আলোকে জামায়াতের রক্ষাকবচ বানাতে দেয়া যাবে না। প্রথম আলোর পেছনে লাগা নয়, প্রথম আলোর পাশে দাঁড়াতে হবে।

 

প্রভাষ আমিন

probhash2000@gmail.com

১৫ মে ২০১৩

[মতান্তরে প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্ত নিজস্ব]

http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=19801

87Like ·  · 
Like ·  · 

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...