BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Monday, May 13, 2013

ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মহাসেনকে মোকাবিলায় আমাদের করণীয়: (দয়া করে ছড়িয়ে দিন)


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মহাসেনকে মোকাবিলায় আমাদের 



করণীয়: (দয়া করে ছড়িয়ে দিন)



by Musa Ibrahim (Notes) on Sunday, May 12, 2013 at 10:26am

একেকটা দুর্যোগ আসে, আর আমরা বাংলাদেশের মানুষ তার প্রতিফল-কে মোকাবিলা করতে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এই মানুষগুলোকে কেউ আহ্বান করে না, কেউ দিন শেষে তাদেরকে 'মহাতারকা' খেতাবও দেয় না। কিন্তু জীবনের প্রয়োজনে, আরেকজনকে নিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক-ভালো থাকার আশায় এই মহানায়কেরা নিজের জীবন বিলিয়ে দিতেও পিছপা হন না। এই মহাতারকা বা মহানায়কদেরকে স্যালুট।

দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজেও আমরা সকলে মিলে সাধ্যমতো সহায়তা করি। সবাই চেষ্টা করি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোকে আবারও জীবনের জয়গানে ফিরিয়ে আনা যায়। এই চেষ্টাটাও অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় ব্যতিক্রম।

তবে এখানে একটা বিষয় প্রণিধানযোগ্য: দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যদি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে, তাহলে যেকোনো দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনা যায়। প্রাণহীন মৃতদেহ উদ্ধার করাটা বেশি সাফল্যের, না কি কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে, কোনো ক্ষতির সম্মুখীন যাতে কেউ না হয়, সেই প্রস্তুতি নেয়াটা বেশি কার্যকর? হ্যাঁ বন্ধুরা, এই প্রস্তুতিটাই আমাদের জন্য অনেক বেশি জরুরি যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায়।

বন্ধুরা এমনই একটি দুর্যোগ মনে হয় আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।

তাহলো ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মহাসেন।



আগামী মঙ্গল বা বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে এটি ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন 'মহাসেন'-এ পরিণত হবে (যা আবহাওয়াবিদদের কাছে ০১বি নামে পরিচিত) এবং তা মঙ্গলবার আমাদের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।


আসুন, সবাই মিলে যে যার অবস্থান থেকে এই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মহাসেন'কে মোকাবিলা করি-

আজ থেকেই:
১. উপকূলীয় এলাকায় লোকজন এবং জেলেদেরকে সতর্ক করার জন্য টেলিভিশনে এই ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সংক্রান্ত স্ক্রল দেয়া শুরু করি;
২. জাতীয় বেতারের মাধ্যমে এই ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সংক্রান্ত প্রতি ঘণ্টায় বিশেষ বুলেটিন দেয়া শুরু করি;
৩. কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে এই ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সংক্রান্ত নিরাপত্তাবার্তা উপকূলীয় মানুষদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি এবং সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে আসার জন্য সচেষ্ট করি;
৪. গবাদি পশু, অস্থাবর সম্পত্তি ইত্যাদি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনি;
৫. আমাদের উপকূলে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কিত সব ধরনের বার্তা শেয়ার করি;
৬. সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা দায়িত্ব নিয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কিত জরুরি বার্তা উপকূলীয় অঞ্চলে থাকা মানুষগুলো কাছে যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দিয়ে তাদের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমানোর চেষ্টা করি।


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মহাসেনকে মোকাবিলা করা এবং এই দুর্যোগ থেকে নিজেকে ও নিজের সহায়-সম্পত্তি রক্ষার জন্য আমরা কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারি। আসুন জেনে নেয়া যাক ধাপগুলো:


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন মৌসুম শুরুর আগে:

* সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা নির্ভরশীল কারও সঙ্গে আলাপ করে যাচাই করুন যে আপনার বাড়িটি সাইক্লোন স্ট্যান্ডার্ড মেনে বানানো হয়েছে কি না?
* আপনার বাড়ির দেয়াল, ছাদ এবং ছাদের ওপরিভাগটা নিরাপদ কি না তা যাচাই করুন।
* আপনার বাড়ির ওপরে কোনো গাছ থাকলে গাছের যে ওপরিভাগ বা ডালপালা বাড়ির ওপরে এসে পড়ে, তা ছেটে ফেলুন। মোদ্দাকথা সাইক্লোন এরিয়া'তে বাড়িকে গাছের ডালাপালামুক্ত রাখুন। 
* সাইক্লোন এরিয়া'র বাড়িগুলোর যে অংশে কাঁচের স্থাপনা আছে, সেখানে 'শাটার' স্থাপন করুন বা নিদেনপক্ষে ধাতবপর্দা লাগিয়ে নিন যাতে ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচ ভেঙ্গে তা আপনার ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
*  সাইক্লোন এরিয়া'র বাড়িগুলোর চারদিকে থাকা আলগা স্থাপনা সরিয়ে ফেলুন। কারণ তীব্র বা প্রচণ্ড বাতাস শুরু হলে তা এদিক-ওদিক উড়ে হয়তো আপনাকে আহত করতে পারে বা অন্য যেকোনো জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
* সাইক্লোন এরিয়া'য় যদি কোনো জলোচ্ছ্বাস বা উঁচু ঢেউ বা অন্য কোনো বন্যা সম্পর্কিত কোনো সতর্কবার্তা দেয়া হয়, তাহলে আপনার নিকটবর্তী উঁচু জায়গার খোঁজ এবং সেখানে সহজতম পথে পৌঁছানোর উপায় জেনে নিন।
* সাইক্লোন এরিয়া'য় বসবাসকারীরা একটা 'ইমারজেন্সি কিট' সঙ্গে রাখতে পারেন, যাতে থাকবে-

          - একটি বহনযোগ্য ব্যাটারি রেডিও, টর্চ ও বাড়তি ব্যাটারি;
          - পানির বোতল বা 'কন্টেইনার', শুষ্ক ও প্যাকেটজাত খাবার;
          - দেয়াশলাই বা গ্যাস লাইটার, কেরোসিন বাতি বা কুপি, বহনযোগ্য স্টোভ, রান্না ও খাওয়ার সরঞ্জাম, এবং
          - ফার্স্ট এইড কিট ও ম্যানুয়াল, ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ ঠিকঠাক রাখার জন্য মাসকিং টেপ।
* জরুরি ফোন নাম্বারগুলো সহজে চোখে পড়ে, এমন কোনো জায়গায় ঝুলিয়ে রাখুন।
* প্রতিবেশীদের খোঁজ নিন, বিশেষ করে যারা মাত্র আপনার এলাকায় এসেছেন। তারাও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত কি না, তা নিশ্চিত করুন।


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন উৎপত্তির পূর্বাভাষ জারি হলে:
* আপনার সহায়-সম্পত্তি পুনরায় চেক করুন যে কোনো বস্তু বা জিনিস আলগা থেকে গেল কি না। যেকোনো আলগা বস্তু, বড় বা হালকা জিনিস (হতে পারে তা নৌকা বা বাড়ির চালা) থাকলে তাকে শক্ত করে বেধে নিন। সম্ভব হলে পানি ভরে নিন।
* গাড়ি বা নৌকার ইঞ্জিনের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ভরে জ্বালানি নিন। ইমারজেন্সি কিট ঠিকঠাক আছে কি না দেখুন এবং পানির পাত্র ভরে পানি নিন।
* বাড়ির কোন জায়গাটা সবচেয়ে মজবুত, এটা যেন বাড়ির প্রতিটি সদস্য জানে - এটা নিশ্চিত করুন। সাইক্লোন সতর্কতা বা আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ি ছাড়ার সময় ঠিক কি করতে হবে, এটাও বাড়ির সদস্যদেরকে জানিয়ে দিন।
* ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে পরবর্তী তথ্য, করণীয় বা সতর্কবার্তা জানতে রেডিও বা টিভির দিকে চোখ রাখুন।
* আপনার প্রতিবেশীরা এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জানে কি না এবং তারা প্রস্তুত কি না, সে ব্যাপারে খোঁজ নিন এবং তাদেরকে প্রস্তুত হতে সহায়তা করুন।


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন সতর্কবার্তা জারি হলে:
যদি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কোনো অফিসিয়াল পরামর্শ দেয়, তাহলে যা করা যেতে পারে-
* স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করলে স্কুল বা চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে আপনার ছেলেমেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনুন।
* হ্যান্ড ব্রেক দিয়ে এবং গিয়ারে রেখে গাড়ি পাকা ও মজবুত কোনো আশ্রয়ে পার্ক করুন।
* ঘরের বাইরে থাকা যেকোনো কাঠের বা প্লাস্টিক আসবাব ঘরের ভেতরে নিয়ে আসুন।
* সকল ধরনের জানালার 'শাটার' বন্ধ করুন বা জানালাকে বোর্ড দিয়ে বন্ধ করুন অথবা এটা সম্ভব না হলে শক্ত মোটা টেপ দিয়ে তা মুড়ে দিন। পর্দা নামিয়ে দিন এবং দরজা বন্ধ রাখুন।
* গরম কাপড়, প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র, শিশুখাদ্য ও শিশুর কাপড়চোপড় দিয়ে একটি জরুরি 'ইভাকুয়েশন কিট' তৈরি করুন।
* প্রয়োজন হলে দামী জিনিসপত্র, গুরুত্বপূর্ণ কাগজ বা দলিল, ছবি ইত্যাদি ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগে করে প্রস্তুত রাখুন, যাতে সঙ্গে নিতে পারেন।
* ইমারজেন্সি কিট বা বড়সড় ও ভারি দামী জিনিসপত্র কোনো শক্তিশালী ও নিরাপদ আলমারির মধ্যে রাখতে পারেন।
* পোষা পশুপাখি নিয়ে ঘরের মধ্যেই থাকুন। ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে পরবর্তী তথ্য, করণীয় বা সতর্কবার্তা জানতে রেডিও বা টিভির দিকে চোখ রাখুন।


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনে বাড়িঘর বা স্থানীয় আশ্রয় ছাড়ার সতর্কবার্তা জারি হলে:
* সাইক্লোন এরিয়া'য় অনুমেয় বাতাসের গতি এবং জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে বাড়িঘর বা স্থানীয় আশ্রয় ছাড়তে হতে পারে। তবে এজন্য নিরাপদ পথ কোনটা এবং কখন বাড়িঘর ছাড়তে হবে, তা জানতে স্থানীয় রেডিও/টিভির দিকে চোখ রাখুন।
* নিজেকে রক্ষার জন্য ভালো দেখে কাপড় এবং শক্তপোক্ত/শক্তিশালী জুতা পরে নিন (চপ্পল নয়)।
* দরজায় তালা দিন; বিদ্যুত, গ্যাস বা পানির সরবরাহ লাইন 'অফ' করে দিন (বন্ধ করুন) এবং সঙ্গে ইমারজেন্সি কিট নিয়ে নিন।

* যদি শহর ছেড়ে অনতিদূরে কোথাও যেতে হয়, তাহলে আপনার পোষা পশুপাখি নিয়ে আগেভাগেই বেরিয়ে পড়ুন যাতে ট্র্যাফিক জ্যাম বা হঠাৎ বন্যা ও বাতাসের দুর্ভোগ আপনি এড়াতে পারেন।
* আর যদি পাবলিক আশ্রয়কেন্দ্র বা উঁচু কোনো জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়, তাহলে পুলিশ ও সরকারি ইমারজেন্সি সার্ভিস নির্দেশনা মেনে চলুন।
* যদি কোনো পাবলিক আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়, তাহলে সঙ্গে বিছানাপত্র নিতে পারেন, শিশুদের জন্য বই বা খেলার সরঞ্জাম নিতে পারেন।
* যদি পোষা পশুপাখিকে ছেড়ে যেতে হয়, তাহলে সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন, পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

* সাইক্লোন সতর্কবার্তা জারি হলে সরকারি সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়াই ভালো।


ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন আঘাত হানলে:
* সব ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও'র মাধ্যমে আপডেট শুনতে থাকুন।
* ভবনের সবচেয়ে শক্তিশালী স্থানে, বা আশ্রয়স্থলের ভেতরেই থাকুন (জানালা থেকে দূরে থাকুন)। সঙ্গে 'ইমারজেন্সি কিট' রাখুন।

* নিজ বাড়িতে খাকাকালে যদি সেই ভবন ভাংতে শুরু করে, তাহলে নিজেকে ম্যাট্রেস বা তোষক বা কম্বল দিয়ে মুড়ে শক্তিশালী কোনো টেবিল বা বেঞ্চ বা কোনো স্থায়ী স্থাপনার (যেমন পানির পাইপ) মধ্যে নিজেকে সুরক্ষিত করুন।
* সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সময়ে ঘূর্ণির বৃত্তে বাতাস অত্যন্ত শক্তিশালী থাকে, কিন্তু কেন্দ্রের চোখে বাতাস থাকে শান্ত। এই শান্ত অবস্থা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। বাতাস পড়ে গেলেও মনে করবেন না যে ঘূর্ণিঝড় শেষ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের যেহেতু আমাদের পৃথিবীর মতো দু'টি গতি আছে - একটি নিজ অক্ষে (লাটিমের মতো), আরেকটি চলমান গতি (সূর্যের চারদিকে) - কাজেই যদি আপনি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে পড়েন, তাহলে সেই কেন্দ্রের শান্ত অবস্থার পর কিন্তু আরেকটি বাতাসের দমক আসার সম্ভাবনা আছে। কাজেই সে সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। অফিসিয়াল 'অল ক্লিয়ার'-এর জন্য অপেক্ষা করুন।
* যদি এ সময়ে আপনি গাড়ি চালানো অবস্থায় থাকেন, তাহলে থামুন (হ্যান্ডব্রেক অন করুন এবং গাড়ি গিয়ারে রাখুন)। সমুদ্র থেকে সর্বোচ্চ দূরত্বে থাকুন, গাছ, বিদ্যুতের তার এবং ঝরনা থেকে দূরে থাকুন। গাড়ির মধ্যেই থাকুন।



ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন শেষ হয়ে গেলে:
* আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণায় নিরাপদ না বলা পর্যন্ত বাড়ি বা আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে যাবেন না।
* গ্যাস সংযোগ কোথাও 'লিক' করেছে কি না, তা খোঁজ নিন। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ভেজা থাকলে তা ব্যবহার করবেন না।
* অফিসিয়াল সতর্কবার্তা বা পরামর্শের জন্য স্থানীয় রেডিও শুনতে থাকুন।
* যদি আপনার বাড়িঘর ছাড়তে হয়, বা ঘূর্ণিঝড়ের আগেই তা ছেড়ে থাকেন, তাহলে কর্তৃপক্ষের পরামর্শ ছাড়া ফিরবেন না। যে পথে ফেরার পরামর্শ দেয়া হয়, সে পথেই ফিরুন এবং তাড়াহুড়া করবেন না।
* ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুত লাইন, ব্রিজ-কালভার্ট, বিল্ডিং, গাছপালা থেকে সতর্ক থাকুন এবং বন্যার পানিতে নামবেন না।
* সকল সতর্কবার্তার দিকে নজর রাখুন এবং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে (সাইটসিয়িং) যাবেন না। বরং প্রতিবেশীর খোঁজ নিন এবং প্রয়োজনে সম্ভব হলে তাদেরকে সহায়তা করুন।
* অপ্রয়োজনীয় টেলিফোন কল করা থেকে বিরত থাকুন।

ফুটনোট: সকল রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল ইত্যাদির ম্যানেজারদের কর্তব্য হলো পর্যটকদের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে জানানো এবং তাদেরকে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনে করণীয় কি, সে সম্পর্কে অবহিত করা।

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...