BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Wednesday, July 1, 2015

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়ন চ্যাটার্জি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
নয়ন চ্যাটার্জি
আজ ১লা জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দিনটিকে পালন করতে মধ্যরাত থেকেই নিচের কার্জন হলের মতো গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে বর্ণিল সাজে। কিন্তু আজ থেকে ৯৪ বছর আগে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখনকার ইতিহাস আমরা কয়জন জানি? আসুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রমেশ মজুমদারের 'জীবনের স্মৃতিদীপে' বই থেকে জেনে নিই সেসব উত্তাল দিনের কথা-
১) "আশ্চর্যের বিষয় এত বড় বড় অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও ঢাকা শহরের হিন্দু অধিবাসীরা সাধারণতঃ বিশ্ববিদ্যালয়কে আদৌ ভালো চোখে দেখতো না। প্রথম থেকেই তাদের মনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি খুব বিদ্বেষভাব ছিল। তার একটি কারণ যে- হিন্দুরা কোনোদিনই ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাটা পছন্দ করেনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকাটাই তাদের ইচ্ছা ছিল।" (সূত্র: জীবনের স্মৃতিদীপে, পৃষ্ঠা ১১৭,https://goo.gl/sh47CQ)
২) "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের (গভর্নিং বডির) সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কানুন তৈরি, বাজেট পাস এবং সাধারণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সমস্ত বিষয়ের আলোচনা এবং বিতর্ক হতো। এই কোর্টে স্থানীয় হিন্দুদের একটি বড় দল ছিল। কোর্টের মিটিংয়ে প্রায় সব বিষয়েই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতো এবং নানা প্রস্তাব আনতো।" (সূত্র: জীবনের স্মৃতিদীপে, পৃষ্ঠা ১১৮, https://goo.gl/DroJE8)
৩) "রমনায় যেসব বড় বড় বাড়ি দখল করে আমরা শিক্ষকেরা বসবাস করছিলাম এটাতেই তাদের (হিন্দুদের) ঘোর আপত্তি ছিল। একবার তাদের বলেছিলাম যে- আমরা না এলে এ বাড়ি তো আপনাদের দিতো না। সুতরাং হিংসা করেন কেন? কিন্তু বহুদিন পর্যন্ত এ মনোভাবের পরিবর্তন ঘটেনি। কোর্টের অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনেক প্রস্তাব ও বক্তৃতা হতো। ভাইস চ্যান্সেলার হার্টগ সভাপতি থাকতো। আমাদের কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ সমর্থন করার জন্য বাকযুদ্ধে নামতে হতো। অবশ্য ভোটের সময় জয়লাভের ব্যাপারে আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত ছিলাম। কারণ মুসলমান সভ্যেরা আমাদের পক্ষেই থাকতেন। মুসলমান এবং শিক্ষক সদস্যেরা একত্রে হিন্দুদের চেয়ে অনেক বেশি ছিলেন।" (সূত্র: জীবনের স্মৃতিদীপে, পৃষ্ঠা ৫৩,https://goo.gl/pgzEh0 )
সুতরাং আসুন আমার মুসলমান ভাইয়েরা, আমরা আজ অতীত ইতিহাস ভুলে অসাম্প্রদায়িক হওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের সরকারদলীয় মন্ত্রী মহাশয়ের মতে, এভাবেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি পরিণত হবো এক ও অভিন্ন রাষ্ট্রে। সবাইকে নমষ্কার!

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...