BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Saturday, June 29, 2013

সরকারের পরামর্শদাতারা সংবিধান পড়লে এ ভাবে রাজ্যের মুখ পুড়ত না

সরকারের পরামর্শদাতারা সংবিধান পড়লে এ ভাবে রাজ্যের মুখ পুড়ত না

সোমনাথ চ‌ট্টোপাধ্যায়
(লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার)

আমি ইদানীং রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না৷ তবু বলতে বাধ্য হচ্ছি, রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাঁদের পরামর্শ শোনেন, তাঁরা সঠিক দিশা দিচ্ছেন না৷ সঠিক পরামর্শ দিলে সরকারের এ ভাবে মুখ পুড়ত না৷ সাধারণ মানুষও এমন উদ্বেগ, উত্কণ্ঠা ও দুর্ভোগের শিকার হতেন না৷ পঞ্চায়েত মামলার রায় কী হবে, তা নিয়ে আমার কোনও সংশয় ছিল না৷ আমি নিশ্চিত ছিলাম, দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই দাঁড়াবে৷ কারণ, আদালতও সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়৷ এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত দু'টি কথার সংবিধানে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে৷ তার একটি হল, লোকসভা, বিধানসভার মতো পঞ্চায়েত ভোটও পাঁচ বছর অন্তর করতে হবে৷ দ্বিতীয়টি হল, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা৷ লোকসভা, বিধানসভার ক্ষেত্রে ভারতের নির্বাচন কমিশন, পঞ্চায়েত, পুরভোটের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷

সরকারের তরফে যাঁরা কমিশনের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে এই অনাবশ্যক লড়াইয়ে সামিল হলেন, তাঁরা যদি সংবিধানটা একটু চোখ বুলিয়ে নিতেন, তা হলে ভালো হত৷ আমি খুব খুশি হয়েছি, যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কালক্ষেপ না করে মামলার রায় দিয়েছেন৷ তাই পঞ্চায়েত ভোট এ বার সম্পন্ন হতে চলেছে৷ আমাদের দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের অন্যতম দিক হল নির্বাচন৷ ভোটের মধ্যে দিয়েই জনমত প্রতিফলিত হয়৷ পঞ্চায়েত হল তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক অধিকার সুনিশ্চিত করার প্রশাসনিক কাঠামো৷ তাই এই নির্বাচনের গুরুত্ব সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যথার্থই উপলব্ধি করেছেন৷ আমি বৃহস্পতিবার বলেছিলাম, কলকাতা হাইকোর্টের উচিত ছিল আরও আগেই এই মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়া৷

অনেকেই অবাক হবেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা কী ভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করে দিলেন৷ এটা সম্ভব হয়েছে কারণ, সর্বোচ্চ আদালতই ইতিপূর্বে বলেছে, সংবিধানের ২৪৩ (কে) ধারায় নির্বাচন কমিশনের অধিকার এবং পরিধি নিয়ে যা বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলিকে তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে৷ আমি সেই কারণেই এর আগেই বলেছিলাম, বিতর্কটা অনভিপ্রেত, অবিবেচনাপ্রসূত৷ শেষ পর্যন্ত আদালত গণতন্ত্র রক্ষায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করল৷ ভোট হচ্ছে এবং পর্যান্ত নিরাপত্তারক্ষীও থাকছে৷ এই মুহূর্তে এর থেকে ভালো খবর আর কিছু হতে পারে না৷ এই বিতর্কে শেষ পর্যন্ত সংবিধানই শেষ কথা বলল৷ জয় হল সংবিধানের৷ আমি আশা করব, হার-জিত ভুলে সকলেই এই মামলা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...