BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Saturday, October 11, 2014

বাংলাদেশ নয়, ইন্ডিয়ার সমাজের গভীরেই লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদের বীজ?পলাশ বিশ্বাস

 বাংলাদেশ নয়, ইন্ডিয়ার সমাজের গভীরেই লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদের বীজ?
পলাশ বিশ্বাস

  পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী  অভিযানের প্রসঙ্গে যে তীব্র রাজনীতিক হানাহানি ও সাম্প্রদাযিক মেরুকরণ হচ্ছে,তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বাংলাদেশে ।ভারতে সন্ত্রাসবিরোধী কারক্যকলাপকে প্রশ্রয় না দেওয়ার হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতি ভারত বাংলাদেশ সুসম্পর্কের ভিত্তি।অথচ ভারতে কোথাও সন্ত্রাসবাদীআক্রমণ হলে,বিনা তদন্তে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেওয়া হয়৤পশ্চিমবঙ্গে বরধমানে বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে অবিরাম প্রচার অভিযান শুরু হয়েছে,তার তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমে
যেমন পশ্চিমবঙ্গের একটি ঘটনায় সব মুসলমানই সন্ত্রাসবাদী হয়ে যায় না কিন্তু রাজনীতি ঐ অর্থেই সাম্পরদায়িক ধর্মোন্মাদি মেরুকরণ করছে সর্বান্তকরণে।ঠিক তেমনিই বাংলাদেশি প্রচারমাধ্যমে সেখানকার ভারত বিরোধী শক্তিসমুহের ছায়া থাকছেই।আমরা এই দুই দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে।স্ন্ত্রাসকে সমর্থন করার প্রশ্ন ওঠে না,কিন্তু ধর্মীয় কারণে নিরপরাধকে সন্ত্রাসবাদী সাজানো বা মিত্র দেশকে সন্দেহের খাতায় নথিঙুক্ত করাও যুক্তিপূর্ণ নয়৤

বাংলাদেশি যুক্তি হল , বাংলাদেশ নয়, ইন্ডিয়ার সমাজের গভীরেই লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদের বীজ।
তথ্যের প্রয়োজনে পুরো লেখাটিই যথাযথ দেওয়া হলঃ

এই ইন্ডিয়া
​ ​
টিকবে তো?

ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ওঝা এবং পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য সরকার সাপ! আর সাপ-ওঝা নাটকের দর্শক সারিতে জোর করে বসিয়ে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশকে। এইভাবে চলছে বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে ইন্ডিয়ার 'সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম'। ইন্ডিয়ার গোয়েন্দারা বোঝানর চেষ্টা করছে যে, বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনের অর্থায়ন ও যোগসাজশেই বর্ধমানের ওই বাড়ীটিতে বোমা বানান হতো। এবং ইন্ডিয়ায় সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনগুলোর ভূমিকা রয়েছে। বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে গোয়েন্দা অনুসন্ধানের নাটকীয়তা আর আনুষ্ঠানিকতার বাড়-বাড়ন্তের মধ্য একটি নিদারুণ সত্য গোপন করছে ইন্ডিয়া। তা হচ্ছে, ইন্ডিয়ায় সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠার জন্য বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠনের অর্থায়ন কিংবা যোগসাজোশ প্রয়োজন হয় না। বরং নানান কারণে ইন্ডিয়ার সমাজ সন্ত্রাসপ্রবণ। ইন্ডিয়া সমাজের যে কোন অংশ, যে কোন সময় জড়িয়ে পড়তে পারে সন্ত্রাসবাদে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, গত আট বছরে ইন্ডিয়ায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি। আর ওই সাম্প্রদায়িক সংঘাতে নিহত হয়েছেন ৯৬৭ জন ইন্ডিয়ার নাগরিক। আহত হয়েছেন ১৮,০০০ এরও বেশি মানুষ। ফলে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিবিহীন ইন্ডিয়া প্রকৃতপক্ষে বিস্ফোরণ-উন্মুখ টাইম বোমা। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে হিন্দু—মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই ভয়ঙ্করভাবে অপরাধ প্রবণ হয়ে পড়ছে।

ইন্ডিয়ার লোকসভায় দেওয়া ভাষণে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খারগে বলেন, নরেন্দ্র মোদি নির্বাচিত হওয়ার পরের দুই মাসের মধ্যেই ইন্ডিয়ায় কমপক্ষে ৬০০ সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি প্রত্যক্ষভাবে ভারতকে দ্বিধা-বিভক্ত করতে চাইছে। মল্লিকার্জুনের মতামত হচ্ছে, আরএসএসের মতো চরমপন্থী সংগঠনগুলো অনেক স্বাধীনভাবে ইন্ডিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনাশ করছে এবং হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বৈরীতা তৈরী করছে। এই চরমপন্থী সংগঠনগুলো বিজেপির শাসনাধীনে নিজেদেরকে অনেক বেশি নিরাপদ মনে করছে।

খোদ পশ্চিম বঙ্গেই চরমপন্থী সংগঠন আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়িয়ে আসছে। এই সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামী ধর্মীয় নেতাদের খুনের অভিযোগ উঠে অহরহ।

ইন্ডিয়ার সাধারণ হিন্দুদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করান হচ্ছে যে, দেশটি অচিরেই 'মুসলিম প্রধান' রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এবং ইন্ডিয়ার আসাম ও পশ্চিম বঙ্গ রাজ্য সবার আগে মুসলমানদের 'দখলে' চলে যাবে। এছাড়া, পশ্চিম বঙ্গ ও আসামের মতো রাজ্যগুলোতে হিন্দুদেরকে জোর করে মুসলমানে পরিণত করা হয় বলেও প্রচার করা হচ্ছে। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের বিরুদ্ধেও রয়েছে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ। বিশেষ করে বর্ধমানেই মুসলমানদের দ্বারা জোরপূর্বক হিন্দুদের ভূমি দখল ও শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে। এই ধরণের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রয়োগ ঘটাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ইন্ডিয়ার শাসক গোষ্ঠী। পশ্চিম বঙ্গে একের পর এক মুসলিম ধর্মীয় নেতা খুনের ঘটনা ঘটলেও অপরাধীদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির সরকার। ফলে, ইন্ডিয়ায় সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। আর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইন্ডিয়ায় বাড়ছে জিহাদী আন্দোলন। তাই বর্ধমানের বোমা বিস্ফোরণ ইন্ডিয়ার এই জিহাদী আন্দোলনেরই অংশ হতে পারে।

ইন্ডিয়ার সরকার নিজেদের এই নিগুঢ় বাস্তবতা আড়ালে রেখে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কূটনীতির প্রতিই বেশি মনযোগী হচ্ছে। বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া-বাংলাদেশ থেকে তথ্য নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা ইন্ডিয়াকে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি-মুক্ত করবে না। কেননা, বাংলাদেশ নয়, ইন্ডিয়ার সমাজের গভীরেই লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদের বীজ।
​​


__._,_.___

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...