BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Tuesday, June 17, 2014

সিবিআই হেফাজতে কুণাল-সুদীপ্ত, বিরোধী দল যেমন মনে করেছে, এই কাণ্ড সিবিআই দিয়ে তদন্ত করালেই বেরিয়ে পড়বে সব রহস্যের বিড়াল।রহস্যের বিড়ালরা সবে ঝুলি থেকে গুটু গুটু পায়ে বোরোনো শুরু হল এবং দল মত নির্বিশেষ রাজারাজড়ার আজব খেল তামাশায় জনগণ রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা।ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।ষড়যন্ত্র বৃহত্তর,সিবিআই বলছে।বফর্স,কমনওয়েল্থ,গুচ্ছের প্রতিরক্ষা কেলেন্কারি,সুইস ব্যান্কে টাকা, বেহিসেবি আয়,আইপিএল কেসিনো,টেলিকাম,কয়লা কত কেলেন্কারিই না হল,দোষীদের সাজা নৈব নৈব চ।শুধু গরুর খাদ্যে জেলে গেলেন লালু। शारदा फर्जीवाड़े में सीबीआई जांच औपचारिकता। दिग्गजों को घेरे बिना मामला फिर दफा रफा।

সিবিআই হেফাজতে কুণাল-সুদীপ্ত, বিরোধী দল যেমন মনে করেছে, এই কাণ্ড সিবিআই দিয়ে তদন্ত করালেই বেরিয়ে পড়বে সব রহস্যের বিড়াল।রহস্যের বিড়ালরা সবে ঝুলি থেকে গুটু গুটু পায়ে বোরোনো শুরু হল এবং দল মত নির্বিশেষ রাজারাজড়ার আজব খেল তামাশায় জনগণ রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা।ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।ষড়যন্ত্র বৃহত্তর,সিবিআই বলছে।বফর্স,কমনওয়েল্থ,গুচ্ছের প্রতিরক্ষা কেলেন্কারি,সুইস ব্যান্কে টাকা, বেহিসেবি আয়,আইপিএল কেসিনো,টেলিকাম,কয়লা কত কেলেন্কারিই না হল,দোষীদের সাজা নৈব নৈব চ।শুধু গরুর খাদ্যে জেলে গেলেন লালু।


शारदा फर्जीवाड़े में सीबीआई जांच औपचारिकता।

दिग्गजों को घेरे बिना मामला फिर दफा रफा।


এক্সকেলিবার স্টিভেন্স বিশ্বাস


সিবিআই হেফাজতে কুণাল-সুদীপ্ত, বিরোধী দল যেমন মনে করেছে, এই কাণ্ড সিবিআই দিয়ে তদন্ত করালেই বেরিয়ে পড়বে সব রহস্যের বিড়াল।রহস্যের বিড়ালরা সবে ঝুলি থেকে গুটু গুটু পায়ে বোরোনো শুরু হল এবং দল মত নির্বিশেষ রাজারাজড়ার আজব খেল তামাশায় জনগণ রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা।ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।ষড়.ন্ত্র বৃহত্তর,সিবিআই বলছে।বফর্স,কমনওয়েল্থ,গুচ্ছের প্রতিরক্ষা কেলেন্কারি,সুইস ব্যান্কে টাকা, বেহিসেবি আয়,আইপিএল কেসিনো,টেলিকাম,কয়লা কত কেলেন্কারিই না হল,দোষীদের সাজা নৈব নৈব চ।শুধু গরুর খাদ্যে ঝেলে গেলেন লালু।




সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত হলেই সত্যিটা বেরিয়ে আসবে৷ বহরমপুরের সভায় বললেন রাহুল গান্ধী৷ শনিবার বহরমপুরে সেখানকার বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরির সমর্থনে জনসভায় অংশ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন রাহুল৷.


সব বিরোধী দলের একটাই দাবি ছিল রাজ্যব্যাপী, এবং দেশব্যাপীও, সারদা-কাণ্ড তদন্ত করাতে হবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই দিয়ে। বিরোধীরা রাজ্য সরকারের পুলিশের তদন্তের ওপর আস্থা রাখতে পারছিলেন না। রাজ্য সরকারও অনড়—সারদা ইস্যু যাতে সিবিআই পর্যন্ত না গড়ায়। বিরোধী দল যেমন মনে করেছে, এই কাণ্ড সিবিআই দিয়ে তদন্ত করালেই বেরিয়ে পড়বে সব রহস্যের বিড়াল।রহস্যের বিড়ালরা সবে ঝুলি থেকে গুটু গুটু পায়ে বোরোনো শুরু হল এবং দল মত নির্বিশেষ রাজারাজড়ার আজব খেল তামাশায় জনগণ রীতিমত ভ্যাবাচ্যাকা।ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়।ষড়.ন্ত্র বৃহত্তর,সিবিআই বলছে।বফর্স,কমনওয়েল্থ,গুচ্ছের প্রতিরক্ষা কেলেন্কারি,সুইস ব্যান্কে টাকা, বেহিসেবি আয়,আইপিএল কেসিনো,টেলিকাম,কয়লা কত কেলেন্কারিই না হল,দোষীদের সাজা নৈব নৈব চ।শুধু গরুর খাদ্যে ঝেলে গেলেন লালু।


সারদা কাণ্ডে সুপ্রিমকোর্টে সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। সুপ্রিমকোর্টের এ রায় রাজ্য সরকারের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। তাদের দাবি, সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে শাসক দলের নেতারাই জড়িত। তাই সরকারি তদন্তে কোনোদিনই আসল সত্য সামনে আসত না।


সারদা-কাণ্ডে শেষেমেশ সিবিআইয়েরহেফাজতে গেল সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ, দেবযানী মুখোপাধ্যায় সহ আরও তিন অভিযুক্ত। যদিও সিবিআইয়েরতরফে অভিযুক্তদের ১০দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। শুনানি শেষে অভিযুক্তদের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। এই সাতদিন কুণাল ঘোষ, সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়দের জেরা করবে সিবিআই। সাতদিনের পর ফের আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তদের। এই রাজ্যের সারদার মোট ৭৯টি মামলা একত্রিত করে তদন্ত করবে সিবিআই। সাতদিনের সিবিআই তদন্তে রাজ্যের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে আসতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। যথাযথ প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতার করাও হতে পারে বলে খবর।

সোমবার সকালেই আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কুণাল ঘোষ, সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায় সহ আরও তিন অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সূচী মেনে আলিপুর আদালতে তোলা হয় ছয় অভিযুক্তকে। কুণাল ঘোষ ছাড়া সবাই জামিনের আবেদন করে। কিন্তু, কারোর জামিন মঞ্জুর করে না আদালত। কুণাল ঘোষ জামিনের আবেদন না করায় শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও আদালতে তোলার সময়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সারদা-কাণ্ডে সিবিআই চেয়েছিলাম। অবশেষে তা হয়েছে। কাণ্ডের পুরো বিষয়টি জানাতে চাই সিবিআইকে। ফলে, এখনই কোনও জামিনের আবেদন করব না।

এই সময়ের প্রতিবেদনঃসারদা-কাণ্ডে প্রথমবার অভিযুক্তদের হেফাজতে পাওয়ার দিনই এই আর্থিক দুর্নীতিতে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে বলে উইটনেস-বক্সে উঠে অভিযোগ তুললেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার৷ শুধু 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র'ই নয়, সারদা-র 'নিয়ন্ত্রক' গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি থেকে আসা সিবিআই দল৷ সোমবার সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ-সহ সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত ছ'জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার আগে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার ও আইনজীবীদের এহেন অভিযোগের জেরে এক বছরের দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা কার্যত নতুন মাত্রা পেল৷ অন্য দিকে, সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত এবং সাসপেন্ডেড তৃণমূল সাংসদ কুণাল দু'জনেই এ দিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একাধিকবার জানিয়েছেন, সিবিআই-কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁরা৷ সিবিআই-কে দীর্ঘ চিঠি লেখা সুদীপ্ত ও কুণালের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায় সিবিআই তদন্তে এবার শাসকদল এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠ কেউ-কেউ সমস্যায় পড়বেন কি না, এ দিনের ঘটনার পর আবারও উঠেছে সে প্রশ্ন৷ ঘটনাচক্রে সুদীপ্ত অথবা কুণাল--কারও আইনজীবীর তরফেই এ দিন আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করা হয়নি৷


এ দিন সকাল ১০টা বেজে ৪৪ মিনিটে আলিপুর আদালতের পুলিশ লক-আপের সামনে একটি প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয় সুদীপ্তকে (ওই ভ্যানে তিনি একাই ছিলেন)৷ বিরাট পুলিশি আয়োজনে এরপর একে-একে দেবযানী মুখোপাধ্যায়, মনোজ নাগেল, অরবিন্দ সিং চওহান, কুণাল এবং সোমনাথ দত্তকে তোলা হয় লক-আপে৷ ১১টা বেজে ৩১ মিনিটে প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে হাসিমুখ কুণালের প্রশ্ন ছিল, 'আর্জেন্টিনার রেজাল্ট কী?' '২-১' উত্তর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দ্বিতীয় জিজ্ঞাসা, 'মেসি দিয়েছে তো?'


দুপুর ২টোর সময় অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হারাধন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হয় অভিযুক্তদের৷ শুরু হয় সিবিআই এবং অভিযু্ক্তদের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদ৷ অভিযুক্তদের চার আইনজীবীর তরফে মূলত দু'টি অভিযোগ করা হয়: (এক) সিবিআই-এর তরফে 'শোন অ্যারেস্ট'-এর যে আবেদন করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন৷ আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা (মনোজ, অরবিন্দ ও দেবযানীর আইনজীবী) ও শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় (সোমনাথের আইনজীবী) দু'জনেই বারবার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাগুলিকে 'ট্রান্সফার' অর্থাত্‍ অন্যত্র সরানোর কথা বলা হয়েছে৷ ৪ মে সিবিআই সারদা-কাণ্ডে যে নতুন মামলাটি করে--আইনজীবীদের বক্তব্য অনুযায়ী--সেগুলি ইতিমধ্যে হওয়া ৫৫টি মামলার 'ক্লাব' (সম্মিলিত যোগফল)৷ প্রসঙ্গত, হেফাজতে থাকাকালীন যদি অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা এক বা একাধিক অভিযুক্তকে নতুন করে গ্রেপ্তার করতে চায়, তখন 'শোন অ্যারেস্ট'-এর আবেদন করতে হয় আদালতে৷ (দুই) এমতাবস্থায় নতুন মামলা বা এফআইআর রুজু করার যৌক্তিকতা কোথায়? আইনজীবীদের বক্তব্য, সেই মামলাগুলির কোনওটিতে অভিযুক্তেরা পুলিশি বা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থেকেছেন, কোনও ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, কোনও মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে নতুন মামলা হলে আবার তাঁদের মক্কেলদের হেফাজতে যেতে হবে৷ অনির্বাণবাবু বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ বাজেয়াপ্ত করার কারণ দর্শিয়ে সিবিআই-এর তরফে নতুন এফআইআর করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা স্ববিরোধী৷ কারণ এর অর্থ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্তকারী সংস্থাগুলি সে সব নথি বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তাহলে কি গত এক বছরে তদন্তই হয়নি?' এ দিন সুদীপ্ত ও কুণালের আইনজীবী হিসেবে যথাক্রমে উপস্থিত ছিলেন নরেশ বালোড়িয়া ও সৌমজিত্‍ রাহা৷


অভিযুক্তদের প্রথম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই-এর আইনজীবীদের যুক্তি, সারদায় 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে৷ পুনরায় তদন্তের স্বার্থে তাই নতুন এফআইআর করা যায়৷ দিল্লি থেকে সিবিআইএ-র তরফে এসেছিলেন আইনজীবী ভি কে শর্মা ও তদন্তকারী অফিসার (আইও) ফণীভূষণ করণ৷ সিবিআই-এর বক্তব্য শোনার জন্য আইও-কে উইটনেস বক্সে ডাকেন ম্যাজিস্ট্রেট৷ নিজেদের বক্তব্যের সাপেক্ষে মোট তিনটি বক্তব্যের উল্লেখ করেন কারনাল৷ (এক) সারদা-কাণ্ডে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে৷ (দুই) টাকা শেষমেশ কোথায় গেল, তা এখনও জানা যায়নি এবং (তিন) সারদা-র 'নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী' (রেগুলেটরি বডি)-র ভূমিকা সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে৷


শেষমেশ ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করার পর ছয় অভিযুক্তকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময় দু'টি পৃথক প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর সুদীপ্ত ও কুণাল দু'জনেই কার্যত একই সুরে কথা বলেছেন দু'বার৷ সুদীপ্ত বলেন, 'সঠিক তদন্ত হোক৷ মানুষ টাকা ফেরত পান৷ সিবিআই-কে সর্বোতভাবে সহযেগিতা করব৷ আপনাদের কাছে (সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে)-ও যদি কোনও তথ্য থাকে, সিবিআই-কে দিন৷' কুণাল বলেন, 'সিবিআই তদন্তই চেয়েছিলাম৷ আমি খুশি৷' সংবাদমাধ্যমকে যে নামগুলি বলেছেন, সেগুলি সিবিআই-কে বলবেন তিনি? সুদীপ্তর মতো তাঁরও উত্তর, 'যা বলার, সিবিআই-কেই বলব৷'


आखिरकार सीबीआई के शिकंजे में हैं शारदा फर्जीवाड़े के सिलसिले में पहले से गिरफ्तार सारे मुख्य अभियुक्त।सीबीआई ने अभी हाई फाई लोगों के खिलाफ जांचशुरु की नहीं है,जाहिर सी बात है कि इसमें कानूनी कम राजनीतिक जटिलताएं और समीकरण ज्यादा सरदर्द का सबब है।अब इस कार्रवाई से जांच की औपचारिकता तो पूरी हो सकती है,लेकिन दिग्गजों को घेरे बिना मामला फिर दफा रफा है।


मसलन कुणाल घोष और सुदीप्त देवयानी अब पुलिसकब्जे से बाहर सीबीआई हिफाजत में हैं।लेकिन पक्ष विपक्ष के दिग्गजों से पूछताछ हुई नहीं है।बंगाल क्या ओड़ीशा और दूसरे राज्यों के तमाम नेताओं मंत्रियों समेत पूर्व केंद्रीय वित्तमंत्री तक आरोपों के घेरे में हैं।क्यों राज्यों और केंद्रीयएजंसियों ने देशभर में हजारों की तादाद में पोंजी चिटफंड कंपनियों के कारोबार का अब तक संरक्षण किया,जांच का पहला मुद्दा तो यही होना चाहिए जो नहीं है।सहारा श्री जो जेल हिरासत में है,उसका ताल्लुक निजी बैंकिंग के नये कारोबार में उन्हें हाशिये पर रखकर उनसे बड़े खिलाड़ियों के हक में पेनाल्टी शूट का मामला है।सुदीप्त भी राजनीतिक वजह से गिरफ्तार हुए हैं और ऐसा इस प्रकरण में अन्तम अभियुक्त राजायसभा सदस्य कुणाल घोष का आरोप है।लेकिन बाकी देश में सहारा और शारदा को छोड़ बाकी कंपनियों के कारोबार में न सेबी का कोई दखल है और न दूसरी केंद्रीय एजंसियां कोई खोज खबर कर रही हैं।


बंगाल में पिछले चुनावों में शारदा मामले को चुनावी मुद्दा बनाने में राष्ट्रीय नेताओं ने कोई कसर बाकी नहीं छोड़ा।सत्ता समीकरण सध जाने के बाद सत्ता गलियारे में अब सन्नाटा है।सक्रिय है सीबीआई।लेकिन वृहत्तर साजिश का जो हवाला सीबीआई दे रही है ,उसे खोलने के लिए तो सरगना कौन है,उसी को पकड़ना जरुरी है।यह तय है कि कम से कम शारदा मामले में साजिश का सरगना न शारदा समूह के मालिक सुदीप्त हैं और न समूह के मीडिया प्रमुख कुणाल घोष।देश विदेश में नकदी जो अबाध राजनीतिक खातों में हस्तांतरित हो गयी और लाखों लोगों का सर्वस्व लूट लिया गया,उस खजाने की तलाश अबी बाकी है।


वैसे भी बंद पिंजड़े के तोता का रिकार्ड बहुत बेहतर नहीं है।विदेशों में कालाधन, बेहिसाब संपत्ति,बोफर्स समेत तमाम रक्षा घोटालों,आईपीएल,कामनवेल्थ,टेलीकाम,कोयला जैसे मशहूर घोटालों में सीबीआई किसी दोषी को अब तक सजा दिलाने में नाकाम रही है।खाते में महज एकमात्र उपलब्धि है चारा घोटाले में लालू को सजा दिलाने कीष


वैसा ही अपवाद शारदा फर्जीवाड़े मामले के हो जाने के आसार लेकिन कम है,क्योंकि इस घोटाले केतार देश विदेश में हैं और पोंजी कारोबार मुक्ता बाजार के पोंजी बंदोबस्त में खत्म करना न राज्य सरकार का इरादा है और न केंद्र सरकार का।जांच और नियमन एजंसियां आखिरकार राजनीति संचालित होती है।


बहरहाल शारदा चिट फंड घोटाले के सरगना सुदीप्त सेन और निलंबित तृणमूल कांग्रेस के सांसद कुणाल घोष समेत छह आरोपियों को अदालत ने सोमवार को 7 दिन की सीबीआई हिरासत में भेज दिया। आरोपी के वकील ने यह जानकारी दी।

शारदा ग्रुप के सहायक सेन और घोष के अलावा, अन्य आरोपियों में मुख्य सहयोगी और कर्मचारी देवजानी मुखर्जी, मनोज नागेल, सोमनाथ दत्ता हैं। करोड़ों के इस घोटाले की जांच करने वाली सीबीआई की हिरासत में इन्हें भेज दिया गया है।

आरोपी के वकील ने कहा, सीबीआई के वकील सौम्यजीत राहा ने सभी आरोपियों की सात दिन की हिरासत की मांग की थी, लेकिन अभियोजन और बचाव पक्ष को सुनने के बाद अदालत ने सीबीआई को सात दिनों की हिरासत दी।

अप्रैल 2013 को सेन और मुखर्जी को कश्मीर से गिरफ्तार किया गया था। समूह की मीडिया शाखा को देखने वाले घोष को पिछले साल नवंबर में राज्य पुलिस द्वारा गिरफ्तार किया गया था। बाकी तीनों को इसके बाद गिरफ्तार किया गया था।

पार्टी विरोधी गतिविधियों के लिए तृणमूल से निलंबित घोष ने राज्य के इस सबसे बड़े घोटाले में कई पार्टियों के लोगों की संलिप्तता का आरोप लगाया है।

अदालत ले जाते समय घोष ने कहा, मैं अदालत से आज जमानत नहीं मांगूंगा। सीबीआई की हिरासत में जाने को मैं उत्सुक हूं। जो कुछ मैं जानता हूं उन्हें बताऊंगा। पिछले साल अप्रैल में सामने आने वाले इस घोटाले में 20 लाख से ज्यादा लोगों को ठगा गया है।


তদন্তের শুরুতেই সারদা-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাংলার বস্ত্রশিল্প রপ্তানির নামে বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন সুদীপ্ত সেন। সারদা এ'পোর্ট লিমিটেড নামে একটি ভুয়ো সংস্থা খুলে আমানতকারীদের কোটি কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে স্পেনের মাদ্রিদে বলে প্রমাণ পেল সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।  ‌

সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১০ সালে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভায় সারদার এ'পোর্ট সংস্থা খোলার কথা ঘোষণা করেন কর্ণধার সুদীপ্ত সেন।‌ সেদিন থেকেই এজেন্ট, আমানতকারীদের টাকা সরানোর ছক কষেন সারদা কর্তা। এরপর পরেই কোম্পানির নামে তিনি কয়েকটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলেন। এমনকি,‌ স্পেনের মাদ্রিদেও একটি অফিস নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় এজেন্টদের।‌ সারদার সেই এ'পোর্ট লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলার বস্ত্রশিল্প রপ্তানি করা হচ্ছে বলে তিনি বিভিন্ন সভায় ঘোষণা করেন৷‌ এ বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে সি বি আই।‌

সুদীপ্ত, দেবযানী-সহ ৬ জনকে হেফাজতে পাওয়ার পর, ধাপে ধাপে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এ রাজ্যে সারদা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাঁচশোরও বেশি মামলা রয়েছে। ধীরে ধীরে প্রত্যেকটি মামলার বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এমনকি, আগামীকাল সোমবার ধৃত দুজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরেই এই বিষয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই আধিকারিকদের আশা, সোমবার সারদা কাণ্ডে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে পাবেন।

সারদা কাণ্ডে সিবিআই দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সকাশে বাম সাংসদরা

On 11 Dec, 2013 At 11:07 PM | Categorized As Prodhan Khobor | With 0 Comments

chitfund2নয়াদিল্লি, ১১   ডিসেম্বর৷৷ অর্থলগ্ণি সংস্থা সারদার জালিয়াতির ঘটনা ঘিরে ফের উত্তপ্ত জাতীয় রাজধানী৷ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বাম সাংসদরা৷ তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের গ্রেফতারের পর সারদাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের দাবিতে জোরালোভাবে সরব হয়েছে বামেরা৷ কয়েকদিন আগেই সংসদ ভবনের বাইরে ধর্নায় বসেন বাম সাংসদেরা৷ সেখানে যোগ দেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি মুলায়ম সিং যাদবও৷ বামেদের পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল৷ এবার তৃণমূলের ওপর চাপ আরও বাড়াতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন বাম সাংসদরা৷

সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত না করেই রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্তেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা৷ বাম আমলের ঘটনাও সিবিআই তদন্তের আওতায় এলে তাঁদের আপত্তি নেই বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান শ্যামল চক্রবর্তী৷ বাম প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী বদ্ভ্রেলন, সিবিআই তদন্তের বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারে৷ এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তেমন কিছু করার নেই৷ তবে, বামেদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাম সাংসদদের সাক্ষাতের তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল দলীয় সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বাম আমলেই বেআইনি অর্থলগ্ণি সংস্থাগুলির রমরমা বেড়েছে তাই তাদের এই আন্দোলনের কোনও অধিকার নেই৷ সারদাকাণ্ডে কৌশল-পাল্টা কৌশল রাজধানীর বুকে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে রাজ্যের শাসক-বিরোধীরা লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজধানীর বুকে দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

- See more at: http://www.jagarantripura.com/news/2013/12/4170#sthash.StoZFmfY.dpuf



সি বি আই হেফাজতে সারদা-কাণ্ডের ৬ অভিযুক্ত, ৫৫ মামলা নিয়েই জেরা

সুদীপ্তই নাটের গুরু, বলছেন তদম্তকারীরা


সব্যসাচী সরকার

অবশেষে সারদা-কাণ্ডের ৬ জন অভিযুক্তকেই নিজেদের হেফাজতে নিল সি বি আই৷‌ সোমবার আলিপুর আদালতে সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখার্জি, মনোজ নাগেল, অরবিন্দ চৌহান, কুণাল ঘোষ ও সোমনাথ দত্তকে হাজির করানো হয়৷‌ সি বি আই অভিযুক্তদের জেরা করার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আবেদন করেছিল৷‌ সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায় অভিযুক্তদের ৭ দিনের পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷‌ তবে দেবযানী মুখার্জি, সুদীপ্ত সেন, মনোজ নাগেল ও অরবিন্দ চৌহানের বাড়ির লোক ও তাদের আইনজীবী পুলিস হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন সন্ধে ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যম্ত দেখা করতে পারবেন৷‌ এদিন দুপুরে কড়া প্রহরায় অভিযুক্ত ৬ জনকেই আদালতে আনা হয়৷‌ সুদীপ্ত সেন ও কুণাল ঘোষের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন নরেশ বালোডিয়া ও সৌম্যজিৎ রাহা৷‌ তাঁরা এই দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানাননি৷‌ অন্য দিকে দেবযানী মুখার্জি, অরবিন্দ চৌহান ও মনোজ নাগেলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা৷‌ তিনি আদালতে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন করেন৷‌ পুলিস হেফাজতে রাখার আবেদনের বিরোধিতা করেন৷‌ দেবযানী মুখার্জি অসুস্হ৷‌ তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলছেন, তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোকক্ট আদালতে জানান অনির্বাণবাবু৷‌ অন্য দিকে সি বি আইয়ের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ইউ কে শর্মা৷‌ তিনি বলেন, এদের পুলিস হেফাজতে নেওয়া হলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে৷‌ এখনও এই তদম্তে অনেক কিছু বাকি আছে৷‌ জেরায় সেই সমস্ত তথ্য চলে আসবে বলে আদালতে জানান ইউ কে শর্মা৷‌ এদিকে সি বি আই সূত্রে জানা গেছে, সারদা-কাণ্ড নিয়ে যতগুলি মামলা রয়েছে, তা থেকে বেছে নিয়ে ৫৫টি মামলা নিয়েই প্রথম পর্যায়ে তদম্ত করবে সি বি আই৷‌ আরামবাগ, আলিপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর, ডায়মন্ডহারবার, কুলপি, বারাসত-সহ বিভিন্ন জায়গার মামলা৷‌ সারদা-কাণ্ডে নাটের গুরু সুদীপ্ত সেনই৷‌ তদম্তকারীরা এমনই বলছেন৷‌ সি বি আই-এর দাবি সুদীপ্ত সেন সব কথা এখনও বলেননি৷‌ তাই টাকা কোথায় গেল, সেটা তাঁর চেয়ে আর কেউ ভাল জানেন না৷‌ সুদীপ্ত সেন যে-সব কথা বলেননি, উল্টে বারেবারেই বলছেন, তাঁর অফিসের পদস্হ ম্যানেজাররাই তাঁকে ডুবিয়েছেন– এটিও সি বি আইয়ের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়৷‌ এদিন পুলিস হেফাজতে নেওয়ার পর সবাইকেই সল্টলেকে সি জি ও কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সি বি আই৷‌ সেখানে আলাদা আলাদা জেরা করা হয় একপ্রস্হ৷‌ আজ, মঙ্গলবার থেকে নির্দিষ্ট কতগুলি প্রশ্নের উত্তর অভিযুক্তদের ৬ জনের থেকেই জানতে চাইবে সি বি আই৷‌ সি বি আই জানতে চায় | আমানতকারীদের থেকে প্রতিদিন যে টাকা সংগৃহীত হত, তার হিসেব কোথায় কীভাবে রাখা হত? | এজেন্টদের কমিশনের টাকা দেওয়ার পর, আমানতকারীদের চড়া সুদে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব কীভাবে | কত জন আমানতকারী সারদা গোষ্ঠীতে টাকা লগ্নি করে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা পেয়েছেন | টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কী? | সুদীপ্ত সেন গোটা ব্যবসা নিজে দেখতেন, তা হলে ম্যানেজাররা কী কাজ করতেন | বিদেশে ব্যবসা করার উদ্যোগ নেওয়ার টাকা কোথায় পেয়েছিলেন | ভুয়ো কোম্পানি খোলার দরকার হল কেন? সি বি আই আপাতত এই ক'টি প্রশ্নেরই যথাযথ উত্তর জানতে চাইবে সুদীপ্ত সেনের কাছে৷‌ দেবযানী মুখার্জি আগেই সব জানিয়েছেন, সুদীপ্ত কী কী নির্দেশ দিতেন, এবং প্রতিদিন কেন গভীর রাতে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করতেন৷‌ গত বছর এপ্রিল মাসে পালিয়ে যাওয়ার আগেও মিটিং করেছিলেন৷‌ সুদীপ্তকে জেরা শেষ হলেই, প্রভাবশালীদের জেরার পালা৷‌




সিবিআই হেফাজতে কুণাল-সুদীপ্ত


duo

এই সময়: সারদা-কাণ্ডে প্রথমবার অভিযুক্তদের হেফাজতে পাওয়ার দিনই এই আর্থিক দুর্নীতিতে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে বলে উইটনেস-বক্সে উঠে অভিযোগ তুললেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার৷ শুধু 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র'ই নয়, সারদা-র 'নিয়ন্ত্রক' গোষ্ঠীর ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি থেকে আসা সিবিআই দল৷ সোমবার সুদীপ্ত সেন, কুণাল ঘোষ-সহ সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত ছ'জনকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাওয়ার আগে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার ও আইনজীবীদের এহেন অভিযোগের জেরে এক বছরের দীর্ঘ সময় ধরে চলা এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা কার্যত নতুন মাত্রা পেল৷ অন্য দিকে, সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত এবং সাসপেন্ডেড তৃণমূল সাংসদ কুণাল দু'জনেই এ দিন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একাধিকবার জানিয়েছেন, সিবিআই-কে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁরা৷ সিবিআই-কে দীর্ঘ চিঠি লেখা সুদীপ্ত ও কুণালের এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায় সিবিআই তদন্তে এবার শাসকদল এবং শাসকদল ঘনিষ্ঠ কেউ-কেউ সমস্যায় পড়বেন কি না, এ দিনের ঘটনার পর আবারও উঠেছে সে প্রশ্ন৷ ঘটনাচক্রে সুদীপ্ত অথবা কুণাল--কারও আইনজীবীর তরফেই এ দিন আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করা হয়নি৷


এ দিন সকাল ১০টা বেজে ৪৪ মিনিটে আলিপুর আদালতের পুলিশ লক-আপের সামনে একটি প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয় সুদীপ্তকে (ওই ভ্যানে তিনি একাই ছিলেন)৷ বিরাট পুলিশি আয়োজনে এরপর একে-একে দেবযানী মুখোপাধ্যায়, মনোজ নাগেল, অরবিন্দ সিং চওহান, কুণাল এবং সোমনাথ দত্তকে তোলা হয় লক-আপে৷ ১১টা বেজে ৩১ মিনিটে প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে হাসিমুখ কুণালের প্রশ্ন ছিল, 'আর্জেন্টিনার রেজাল্ট কী?' '২-১' উত্তর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দ্বিতীয় জিজ্ঞাসা, 'মেসি দিয়েছে তো?'


দুপুর ২টোর সময় অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হারাধন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হয় অভিযুক্তদের৷ শুরু হয় সিবিআই এবং অভিযু্ক্তদের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাদানুবাদ৷ অভিযুক্তদের চার আইনজীবীর তরফে মূলত দু'টি অভিযোগ করা হয়: (এক) সিবিআই-এর তরফে 'শোন অ্যারেস্ট'-এর যে আবেদন করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন৷ আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা (মনোজ, অরবিন্দ ও দেবযানীর আইনজীবী) ও শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায় (সোমনাথের আইনজীবী) দু'জনেই বারবার বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মামলাগুলিকে 'ট্রান্সফার' অর্থাত্‍ অন্যত্র সরানোর কথা বলা হয়েছে৷ ৪ মে সিবিআই সারদা-কাণ্ডে যে নতুন মামলাটি করে--আইনজীবীদের বক্তব্য অনুযায়ী--সেগুলি ইতিমধ্যে হওয়া ৫৫টি মামলার 'ক্লাব' (সম্মিলিত যোগফল)৷ প্রসঙ্গত, হেফাজতে থাকাকালীন যদি অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থা এক বা একাধিক অভিযুক্তকে নতুন করে গ্রেপ্তার করতে চায়, তখন 'শোন অ্যারেস্ট'-এর আবেদন করতে হয় আদালতে৷ (দুই) এমতাবস্থায় নতুন মামলা বা এফআইআর রুজু করার যৌক্তিকতা কোথায়? আইনজীবীদের বক্তব্য, সেই মামলাগুলির কোনওটিতে অভিযুক্তেরা পুলিশি বা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থেকেছেন, কোনও ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, কোনও মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন৷ সেক্ষেত্রে নতুন মামলা হলে আবার তাঁদের মক্কেলদের হেফাজতে যেতে হবে৷ অনির্বাণবাবু বলেন, 'তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ বাজেয়াপ্ত করার কারণ দর্শিয়ে সিবিআই-এর তরফে নতুন এফআইআর করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা স্ববিরোধী৷ কারণ এর অর্থ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্তকারী সংস্থাগুলি সে সব নথি বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তাহলে কি গত এক বছরে তদন্তই হয়নি?' এ দিন সুদীপ্ত ও কুণালের আইনজীবী হিসেবে যথাক্রমে উপস্থিত ছিলেন নরেশ বালোড়িয়া ও সৌমজিত্‍ রাহা৷


অভিযুক্তদের প্রথম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআই-এর আইনজীবীদের যুক্তি, সারদায় 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে৷ পুনরায় তদন্তের স্বার্থে তাই নতুন এফআইআর করা যায়৷ দিল্লি থেকে সিবিআইএ-র তরফে এসেছিলেন আইনজীবী ভি কে শর্মা ও তদন্তকারী অফিসার (আইও) ফণীভূষণ করণ৷ সিবিআই-এর বক্তব্য শোনার জন্য আইও-কে উইটনেস বক্সে ডাকেন ম্যাজিস্ট্রেট৷ নিজেদের বক্তব্যের সাপেক্ষে মোট তিনটি বক্তব্যের উল্লেখ করেন কারনাল৷ (এক) সারদা-কাণ্ডে 'বৃহত্তর ষড়যন্ত্র' হয়েছে৷ (দুই) টাকা শেষমেশ কোথায় গেল, তা এখনও জানা যায়নি এবং (তিন) সারদা-র 'নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী' (রেগুলেটরি বডি)-র ভূমিকা সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে৷


শেষমেশ ম্যাজিস্ট্রেট জামিনের আবেদন খারিজ করার পর ছয় অভিযুক্তকেই সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন৷ আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময় দু'টি পৃথক প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর সুদীপ্ত ও কুণাল দু'জনেই কার্যত একই সুরে কথা বলেছেন দু'বার৷ সুদীপ্ত বলেন, 'সঠিক তদন্ত হোক৷ মানুষ টাকা ফেরত পান৷ সিবিআই-কে সর্বোতভাবে সহযেগিতা করব৷ আপনাদের কাছে (সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে)-ও যদি কোনও তথ্য থাকে, সিবিআই-কে দিন৷' কুণাল বলেন, 'সিবিআই তদন্তই চেয়েছিলাম৷ আমি খুশি৷' সংবাদমাধ্যমকে যে নামগুলি বলেছেন, সেগুলি সিবিআই-কে বলবেন তিনি? সুদীপ্তর মতো তাঁরও উত্তর, 'যা বলার, সিবিআই-কেই বলব৷'


অবশেষে সিবিআই কব্জায় সুদীপ্ত, কুণালরা

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা, ১৭ জুন, ২০১৪, ০৩:৩০:০৬


5

আলিপুর পুলিশ আদালতে কুণাল ঘোষ। সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ

সুপ্রিম কোর্ট গত ৯ মে সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তভার দিয়েছিল সিবিআই-কে। তার ৩৯ দিনের মাথায়, সোমবার মূল অভিযুক্তদের হেফাজতে পেল ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। আলিপুর আদালতের নির্দেশ, মূল অভিযুক্ত সারদা-প্রধান সুদীপ্ত সেন-সহ ছ'জনকে সাত দিন হেফাজতে রাখতে পারবে সিবিআই। তাঁদের ফের আদালতে তুলতে হবে ২৩ জুন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৯৩টি মামলা চলেছে। সেই সব মামলায় এত দিন রাজ্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করেছে তাঁদের। আলিপুর আদালত নির্দেশ দেওয়ায় এ বার অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবে সিবিআই। ওই তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, এ-পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের করেছে তারা। হেফাজতে নিয়ে রাতেই সুদীপ্ত-সহ কয়েক জনকে জেরা করা হয়েছে।

সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত ছাড়া অন্য পাঁচ অভিযুক্ত হলেন সারদা গোষ্ঠীর অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়, সোমনাথ দত্ত, মনোজ নাগেল, অরবিন্দ চহ্বান এবং তৃণমূল সাংসদ তথা সারদার মিডিয়া গোষ্ঠীর কর্তা কুণাল ঘোষ। তাঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ তুলে এফআইআর-ও দায়ের করেছে তারা। সুদীপ্ত ও কুণাল সিবিআইয়ের হেফাজতে যেতে অরাজি ছিলেন না। তাই এ দিন তাঁরা আইনজীবী মারফত জামিনের আবেদনও জানাননি।

বিচারক হারাধন মুখোপাধ্যায় এই মামলার অন্যতম তদন্তকারী অফিসার ফণিভূষণ করণের কাছে জানতে চান, তিনি ওই ছয় অভিযুক্তকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে নিতে চাইছেন কেন?

তদন্তকারী অফিসার বলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সারদা গোষ্ঠী বাজার থেকে যে-টাকা তুলেছে, তা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়েছে এবং আর্থিক কেলেঙ্কারিতে সারদা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রকদের ভূমিকা কী ছিল, তা জানার জন্যই অভিযুক্তদের সিবিআই হেফাজতে নেওয়া দরকার। বিচারক জানিয়ে দেন, সাত দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার সময় অভিযুক্তদের কৌঁসুলিরা প্রতি সন্ধ্যায় মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন।

অন্যতম অভিযুক্ত কুণালকে এত দিন কখনও বিধাননগর আদালতে, কখনও বা জলপাইগুড়ি আদালতে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি কিছু বলতে চান। তাঁকে বলতে দেওয়া হোক। ওই সাংসদ বারে বারেই দাবি করেছেন, সিবিআই পুরো ঘটনার তদন্ত করলে তিনি অনেক কথা জানাবেন। আদালতের নির্দেশে তিনি খুশি বলে কুণাল এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন। বিচারকের এজলাস থেকে কোর্ট লক-আপে ফিরে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, "আমি আজ খুব খুশি। এই প্রথম আমি জামিনের আবেদন করিনি। সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকতে চাই। তদন্তে সিবিআই-কে সমস্ত রকম সাহায্য করতে চাই। তদন্তের স্বার্থে যা যা বলার, আমি সবই জানাব সিবিআই-কে।"

আদালত-চত্বরে কুণালকে প্রশ্ন করা হয়, সারদা কাণ্ডে জড়িত বিশেষ কারও নাম তিনি সিবিআই-কে জানাবেন কি না। ওই সাংসদ বলেন, "আমি সিবিআই-কে সব রকম সাহায্য করব।" গ্রেফতারের পর থেকে কুণাল বারে বারেই দাবি করছিলেন, সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দরকার এবং তিনি সিবিআইয়ের সামনে হাজির হয়ে অনেক কিছু বলতে চান। এ দিন দেখা গেল, আদালতে হাজির সুদীপ্ত-দেবযানীও সিবিআইয়ের আইনজীবীর সওয়াল মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।

আদালতে নথি পেশ করে সিবিআই জানায়, সারদা কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে ৩৯৩টি মামলা রয়েছে। তারা এর মধ্যে ৭৫টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ওই ৭৫টি মামলার মধ্যে থেকে ৫৫টি মামলাকে একত্র করে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই সংস্থা আদালতে জানায়, তদন্তের স্বার্থেই তারা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে চাইছে।

সিবিআইয়ের আর্জির বিরোধিতা করে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা জানান, রাজ্য জুড়ে যে-সব মামলা হয়েছে, সেগুলিতে অভিযুক্তেরা হয় জামিন পেয়েছেন অথবা তাঁদের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে বিচারও। অভিযুক্তেরা বিভিন্ন মামলায় একাধিক বার পুলিশি হাজতেও থেকেছেন।

অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আরও জানান, সিবিআই নতুন কোনও মামলা দায়ের করেনি। তারা বেশ কিছু পুরনো মামলা একত্র করে নতুন মামলার কথা জানাচ্ছে। সিবিআই এ ভাবে মামলা ঠুকে অভিযুক্তদের ফের পুলিশি হাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে না। এটা আইনবিরুদ্ধ। তা ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সিবিআই তদন্ত করবে। বিভিন্ন পুরনো মামলাকে একত্র করে তাদের নতুন মামলা দায়ের করতে বলা হয়নি।

সিবিআইয়ের আইনজীবী পাল্টা জানান, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশেই সিবিআই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তদন্তে নেমেছে। সেই তদন্ত করতে হলে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার।

এ দিন সাড়ে ১১টার মধ্যে অভিযুক্তদের জেল-হাজত থেকে আদালতের লক-আপে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় খোশমেজাজে ছিলেন কুণাল। সাংবাদিকদের কাছে তিনি জানতে চান, "আর্জেন্তিনার খেলার ফল কী?" উত্তর আসে "দুই-এক।" ফের প্রশ্ন কুণালের, "মেসি দিয়েছে তো?" উত্তর আসে, "হ্যাঁ, মেসিই দিয়েছে।"

বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ পৃথক ছ'টি প্রিজন ভ্যানের কনভয়ে অভিযুক্তদের সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের ওয়্যারলেস গার্ডের একটি গাড়িকেও কনভয়ের সঙ্গে পাঠানো হয় নিরাপত্তার খাতিরে। সিবিআই সূত্রের খবর, ডাক্তারি পরীক্ষার পরে রাতেই অভিযুক্তদের কয়েক জনকে এক দফা জেরা করা হয়। পরে এলাকার তিনটি থানায় ভাগ করে রাখা হয় ছ'জনকে।


সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Tag:  Saradha,  Supreme Court,  CBI,  Sudipta Sen,  Kunal Ghosh

Last Updated: May 9, 2014 10:58

সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টেরসারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত করবে সিবিআই। শুক্রবার এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করেছিল রাজ্য। গত এক বছরে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে বারবার নাম জড়িয়েছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। রাজ্য পুলিসের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইডি সক্রিয় হওয়ার পর পুলিসি তদন্তের ফাঁকফোকর আরও বেশি করে প্রকাশ্যে এসেছে। দেখে নেওয়া যাক কিছু বিশেষ মোড়-


২৩ এপ্রিল, ২০১৩

জম্মু-কাশ্মীরের শোনমার্গ থেকে গ্রেফতার হন সুদীপ্ত সেন।


২৪ এপ্রিল, ২০১৩

প্রকাশ্যে এল সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি। ছয়ই এপ্রিল দেওয়া চিঠিতে তিনি সিবিআই হস্তক্ষেপের আর্জি জানান। এই চিঠিতেই ফাঁস হয় তৃণমূলের দুই সাংসদ কুণাল ঘোষ ও সৃঞ্জয় বসুর নাম।


২৬ এপ্রিল, ২০১৩


সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে রাজ্য সরকার।


এরপর, শাসক-সারদা যোগাযোগের নানা তথ্য সামনে আসতে থাকে। মিডিয়ায় ফাঁস হয় শতাব্দী রায়, মদন মিত্রদের সারদা ঘনিষ্ঠতার কথা।


চাপ কাটাতে গত বছরের তেসরা মে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দলের কর্মিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,


কুনাল চোর ? মদন চোর ? টুম্পাই চোর ? আমি চোর ? মুকুল চোর ? আর তোমরা সব সাধু ?


সারদা-কাণ্ডে নাম জড়ানো দলের নেতাদের খোদ মুখ্যমন্ত্রী ক্লিনচিট দেওয়ায় পুলিসি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।


১৪ মে, ২০১৩

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে সামিল হওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।


১৯ জুন, ২০১৩

সিবিআই তদন্তের দাবি খারিজ করে আদালতের নজরদারিতে সিটের তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।


১৮ জুলাই, ২০১৩

সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকার, সেবি, ইডি সহ সব পক্ষকে নোটিশ পাঠায় শীর্ষ আদালত।


৩ মে সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বর মধ্য কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে সেই কুণাল ঘোষই প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন সারদার জাল ছড়িয়েছে শাসকদলের গভীরে।

সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি।


২৩ নভেম্বর, ২০১৩

মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ক্লিনচিট পাওয়া কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করল বিধাননগর কমিশারেট।


গ্রেফতারের পর কুণাল ঘোষ ফেসবুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, মদন মিত্র, শুভেন্দু অধিকারী, কেডি সিং-সহ ১২ জনের নাম লিখে বলেছিলেন, এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সারদা কারবারের এ টু জেড জানা যেতে পারে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় আগেই একটি বিস্ফোরক ভিডিও রেকর্ডিং করেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই ভিডিওয়ে কুণাল ঘোষের জবানিতে উঠে আসে একের পর এক তৃণমূল নেতার নাম। কুনাল ঘোষ ছাড়া শাসকদলের কোনও নেতাকেই জেরা করেনি পুলিস। সিট গঠনের এক বছর পরও রয়ে যায় নানা প্রশ্ন।


সারদা কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কারা। সিট কেন এখনও তা জানাতে পারল না?


কুণাল ঘোষকে গোপন জবানবন্দি দিতে বাধা দেওয়া হল কেন?


এক বছর হয়ে গেলেও কুণাল ঘোষকে কেন এখনও ডেকে পাঠাল না শ্যামল সেন কমিশন?


সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে নাম থাকা সকলকে কেন জেরা করল না পুলিস?


তদন্তে ইডি-র সঙ্গে অসহযোগিতা করা হল কেন? নথি পেতে কেন ইডি-কে যেতে হল আদালতে?


ইডি গ্রেফতার করলেও এক বছর ধরে কেন সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী পিয়ালী সেন ও ছেলে শুভজিত সেনকে ধরার চেষ্টা করল না সিট?



আমজনতার মনে উঁকি দেওয়া এইসব প্রশ্ন যে মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণেও তার প্রমাণ মিলেছে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে একাধিকবার সিটের তদন্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে,


সারদা-কাণ্ডের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে নজর না দিয়ে ছোটখাটো বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।


এতবড় বিষয়ে তদন্তে ইচ্ছাকৃত গড়িমসি করা হচ্ছে।


আমানতকারীদের থেকে তোলা সারদার টাকা কোথায় গেল?


সারদা কেলেঙ্কারিতে কারা লাভবান হয়েছেন তা জানতে আদৌ কি কোনও তদন্ত হয়েছে?


সিবিআই তদন্ত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। বিচারপতিরা সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন, সিবিআই তদন্তে কেন সরকারের এত আপত্তি? সুদীপ্ত সেনের স্ত্রী ও ছেলেকে ইডি-র জেরায় উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নাম। ইডি মাঠে নামার পর পুলিসি তদন্তের ফাঁকফোকর আরও বেশি করে প্রকাশ্যে এসেছে।

ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তে আপত্তি নেই বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে ওড়িশা, ত্রিপুরা ও অসম । ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা রাজি হলেও সারদা মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় নেই এ রাজ্যের। তাঁর আর্জি, পশ্চিমবঙ্গে সারদা মামলায় তদন্তভার থাকুক সিটের হাতেই। সারদা মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায় কিনা আজই তার উত্তর মিলবে। এই মামলায় রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।

First Published: Friday, May 09, 2014, 11:04


No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...