BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Thursday, October 13, 2016

বিয়ের রাতে ধর্ষিতা। পেশায় পরিচারিকা। তবু আজ বিশ্ববিখ্যাত লেখিকা এই বাঙালিনী---------

বিয়ের রাতে ধর্ষিতা। পেশায় পরিচারিকা। তবু আজ বিশ্ববিখ্যাত লেখিকা এই বাঙালিনী---------

Sarker Lipi added 8 new photos.

মোট ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর লেখা বই, যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি বিদেশি ভাষা। ফ্রান্স, জার্মানি এবং জাপানে রয়েছেন তাঁর বইয়ের পাঠক-পাঠিকা। সারা দেশে বিভিন্ন সাহিত্য উৎসবে তিনি আমন্ত্রিত হন তাঁর লেখা পাঠের জন্য।
এক দুঃস্বপ্নময় শৈশব কেটেছে তাঁর। কাজ করেছেন পরিচারিকা হিসেবে। সত্যি বলতে কী, এখনও পেশাগত পরিচয়ে তিনি একজন পরিচারিকাই। কিন্তু এটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় নয়। তিনি একজন স্বনামধন্য লেখিকা। নিজের বই নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট বা হংকং-এর মতো শহরে। মোট ২১টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে তাঁর লেখা বই, যার মধ্যে রয়েছে ১৩টি বিদেশি ভাষা। ফ্রান্স, জার্মানি এবং জাপানে রয়েছেন তাঁর বইয়ের পাঠক-পাঠিকা। সারা দেশে বিভিন্ন সাহিত্য উৎসবে তিনি আমন্ত্রিত হন তাঁর লেখা পাঠের জন্য। তিনি বেবি হালদার। 
বর্তমানে ৪১ বছর বয়সি বেবির জন্ম হয় কাশ্মীরে। বাবা পেশায় ছিলেন গাড়ি চালক, মদের নেশায় চুর হয়ে থাকা ছিল তাঁর স্বভাব। এই মদ্যপানের অভ্যাসের কারণেই বেবির মা স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে চলে যান। বেবির বয়স তখন মাত্র ৪ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে করেন বেবির বাবা। বেবিকে নিয়ে তাঁরা চলে আসেন মুর্শিদাবাদে, তারপর বসত গড়েন দুর্গাপুরে। মদ্যপ বাবা ও সৎ মায়ের হাতে ছোটবেলায় অনেক নির্যাতন সয়েছেন বেবি। মেয়ের বয়স যখন ১২, তখনই এক ২৬ বছর বয়সি পুরুষের সঙ্গে বেবির বিয়ে দিয়ে দেন বেবির বাবা। বিয়ের রাত্রেই স্বামীর হাতে ধর্ষিতা হন কিশোরী বেবি। ১৩ বছর বয়সে বেবির প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে আরও দু'টি সন্তানের জন্ম দেন বেবি। 
স্বামীগৃহে নিয়মিত মারধর ও যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২৫ বছর বয়সে তিন সন্তানকে নিয়ে বেবি চড়ে বসেন দিল্লির ট্রেনে। কিন্তু দিল্লিতে নিজের পেট চালানো সহজ ছিল না। বাধ্য হয়ে পরিচারিকার কাজ নেন তিনি। কিন্তু সেখানেও জোটে অসম্মান। যাঁর বাড়িতে কাজ করতেন তাঁর কাছ থেকে আসতে থাকে অশালীন প্রস্তাব। কাজ ছেড়ে দেন বেবি। নতুন কাজ নেন গুরগাঁও নিবাসী প্রবোধ কুমারের বাড়িতে। এর পরেই নতুন বাঁক নেয় বেবির জীবন। 
প্রবোধ কুমার শুধু প্রখ্যাত হিন্দি সাহিত্যিক মুন্সি প্রেমচাঁদের নাতি নন, তিনি নিজেও একজন সাহিত্যরসজ্ঞ। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন, মাঝেমধ্যেই নিজের কাজ থামিয়ে কৌতূহলী দৃষ্টিতে বেবি তাকিয়ে থাকেন প্রবোধের বইয়ের আলমারিগুলির দিকে। প্রবোধ বুঝতে পারেন, বইয়ের প্রতি টান রয়েছে বেবির। প্রবোধের আলমারিতে বাংলা বইয়ের সংখ্যাও নেহাৎ কম ছিল না। প্রবোধ সেই বইগুলি একটি একটি করে তুলে দিতে থাকেন বেবির হাতে। বেবি আগ্রহভরে পড়ে ফেলতে শুরু করেন প্রতিটি বই। স্কুলে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশোনা করা বেবিকে আরও ভাল করে লেখাপড়াও শেখান প্রবোধ। 
কিন্তু প্রবোধের মনে হয়েছিল, বেবির মধ্যে সুপ্ত রয়েছে এক লেখিকা সত্তা। সেই সত্তাকে উদ্বোধিত করতে চেয়েই একদিন বেবির হাতে খাতা-কলম তুলে দেন প্রবোধ। বলেন, নিজের কাহিনি লিপিবদ্ধ করতে। লেখার কথায় প্রথমটা একটু ঘাবড়েই গিয়েছিলেন বেবি। কিন্তু তারপর তসলিমা নাসরিন, আনা ফ্রাঙ্ক, ঝুম্পা লাহিড়ির লেখার ভক্ত বেবির মনে হয়, তাঁর লেখাই হয়ে উঠতে পারে তাঁর ভিতরে জমে থাকা যন্ত্রণা প্রকাশের মাধ্যম। ২০০২ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড 'আলো আঁধারি'। ২০০৬ সালে প্রবোধের উদ্যোগে সেই বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ পায় 'আ লাইফ লেস অর্ডিনারি: আ মেমোয়ার' নামে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সাড়া ফেলে দেয় বইটি। কয়েক বছর পরে প্রকাশিত হয় বেবির আত্মকাহিনির পরবর্তী খণ্ড— 'ঈষৎ রূপান্তর'। বই দু'টি লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয় বেবিকে। 
আজ বেবি স্বনামধন্য লেখিকা। তাঁর আত্মকাহিনি প্রশংসা কুড়িয়েছে বহু পাঠক ও সমালোচকের। কিন্তু এখনও প্রবোধের বাড়িতে পরিচারিকার কাজই করেন বেবি। তাঁর বক্তব্য, 'প্রবোধবাবু আমার নিজের বাবার মতোই। তাঁর বাড়িতে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা আমি ভাবতেই পারি না।' শুধু তাই নয়, বেবিকে কেউ 'লেখিকা' বললে তিনি বরং বিব্রতই বোধ করেন। বেবি বলেন, 'আমি সামান্য পরিচারিকা মাত্র'।
সে তিনি যা-ই বলুন, পাঠক তাঁকে চেনে এক অসামান্য আত্মকাহিনির লেখিকা হিসেবেই। নিজের প্রথম জীবনে অজস্র যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এখন পাঠক আর সমালোচকদের ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ তাঁর বেঁচে থাকা। নিজের জীবনকে কীভাবে সৎ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্ভাগ্যের অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, তারই এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত বেবি হালদার। সেই সঙ্গে বহু মানুষের অনুপ্রেরণাও তিনি। 
কুর্নিশ তাঁকে।


--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...