BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Thursday, October 31, 2013

বাসে আগুন, বেরোতে না পেরে জীবন্ত দগ্ধ ৪৪

বাসে আগুন, বেরোতে না পেরে জীবন্ত দগ্ধ ৪৪
Volvo bus fire AP
হায়দারাবাদ: রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে আগুন লেগে গেল বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদ-গামী একটি ভলভো বাসে৷ স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ দরজা খুলতে না পারায় বাসের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন কমপক্ষে ৪৫ জন যাত্রী৷


বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহবুবনগরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ তবে বাসের চালক, ক্লিনার এবং পাঁচ জন যাত্রী কোনওক্রমে জ্বলন্ত বাসের জানলা গলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন৷ মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরুর কালাসিপালিয়া এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ভলভো বাসটি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হায়দরাবাদের দিকে আসছিল৷ সে সময় বাসে মোট ৪৯ জন যাত্রী ছিল বলে খবর৷ 

তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বাসচালক জানিয়েছেন যে, ভোরের দিকে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই বাসটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে৷ এর জেরে বাসটির জ্বালানি ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে সেটিতে আগুন লেগে যায়৷ বাসটির ভিতরেও আগুন ছড়াতে শুরু করলে যাত্রীরা বেরোবার জন্য দরজার কাছে জড়ো হন৷ কিন্ত্ত সে সময় ভলভো বাসটির স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালিত দরজা কিছুতেই খোলা যায়নি৷ ফলে জ্বলন্ত বাসের মধ্যেই ৪৪ জন যাত্রীর অসহায় মৃত্যু ঘটে৷ পরে পুলিশকর্মী ও রাজস্ব আধিকারিকরা দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, বাসের পিছন দিককার 'এমারজেন্সি এক্সিট'-এর দরজার কাছেই বেশির ভাগ মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে আইবিএম, গুগ্ল-সহ কয়েকটি সফ্টওয়্যার সংস্থায় কর্মরত মোট পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন৷ রয়েছে দু'বছর ও দেড় বছর বয়সি দু'টি শিশুও৷ জানা গিয়েছে, ওই ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনের উদ্দেশ্যেই হায়দরাবাদে আসছিলেন৷ বাসচালক জানিয়েছেন, বাসের একটি টায়ার ফেটে যাওয়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি৷ এই দাবি সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ 

এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ বুধবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শোকাতুর পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন৷ পাশাপাশি, ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যের অধিকারিকদের দ্রুত কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি৷ অন্ধ্রের পরিবহন মন্ত্রী বত্‍সা সত্যনারায়ণ ঘোষণা করেছেন, নিহতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ নিহতদের নাম ঠিকানার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন৷ মহবুবনগরের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমার বলেন, 'বেঙ্গালুরু থেকে বাসে ওঠা ২৯ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ বাকি যাত্রীদের হিন্দুপুর ও অনন্তপুর থেকে বাসে ওঠানো হয়ে থাকতে পারে৷' 

দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি 'জব্বর ট্রাভেল্স' নামে এক বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ছিল৷ হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং পুনেতে তাদের অফিস রয়েছে৷ সংস্থার কর্ণধার ইমতিয়াজ খানের কথায়, 'বাসের চালক কিন্ত্ত এ কাজে একেবারেই নতুন নন৷ তিনি খুব ক্লান্ত ছিলেন বলেও তো শুনিনি৷ যাত্রীদের ব্যবহূত কাপড়চোপড় এবং প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে আগুন ধরে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বেড়েছে মনে হচ্ছে৷' এই ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত চালিয়ে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মহবুবনগরের জেলা কালেক্টর গিরিজা শঙ্কর এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন কিরণকুমার রেড্ডি৷ -সংবাদসংস্থা 

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...