BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Sunday, January 27, 2013

জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সব সংরক্ষন বিরোধী মন্চে রুপান্তরিত হল এক অব্রাহ্মণ বাঙ্গালি সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দীর সৌজন্যে৷তিনি বলেছেন ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল ওবিসি,তপশিলী জাতি ও উপজাতির মানুষরা৷ সংসদের বিগত শীতকালীন অধিবেশনের শেষ লগ্নে দিল্লী গণধর্ষণের জেরে সংসদ মুলতুবী করে দেওয়া হয় মেয়াদের দুদিন আগেই৷ ততক্ষনে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী পদোন্নতিতে সংরক্ষনে সুপ্রীম কোর্টের বাধা নিষেধ তুলতে প্রয়োজনীয় বিল কিন্তু রাজ্যসভায় গোড়া সংরক্ষন বিরোধী বিজেপির দলিত ভোট ব্যান্ক অঙ্কের প্রয়োজনে পাশ হয়ে গেছে৷আইন হওয়ার আগেই গণধর্শণে দেশ তোলপাড়৷ সংরক্ষন বিল শিকেয় তোলা হল৷এবারও সংরক্ষন বিল আটকানোর কাজ তাহলে শুরু হয়ে গেল৷ পলাশ বিশ্বাস

জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সব সংরক্ষন বিরোধী মন্চে রুপান্তরিত হল এক অব্রাহ্মণ বাঙ্গালি সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দীর সৌজন্যে৷তিনি বলেছেন ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল ওবিসি,তপশিলী জাতি ও উপজাতির মানুষরা৷ সংসদের বিগত শীতকালীন অধিবেশনের শেষ লগ্নে দিল্লী গণধর্ষণের জেরে সংসদ মুলতুবী করে দেওয়া হয় মেয়াদের দুদিন আগেই৷ ততক্ষনে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী পদোন্নতিতে সংরক্ষনে সুপ্রীম কোর্টের বাধা নিষেধ তুলতে প্রয়োজনীয় বিল কিন্তু রাজ্যসভায় গোড়া সংরক্ষন বিরোধী বিজেপির দলিত ভোট ব্যান্ক অঙ্কের প্রয়োজনে পাশ হয়ে গেছে৷আইন হওয়ার আগেই গণধর্শণে দেশ তোলপাড়৷ সংরক্ষন বিল শিকেয় তোলা হল৷এবারও সংরক্ষন বিল আটকানোর কাজ তাহলে শুরু হয়ে গেল৷ 

পলাশ বিশ্বাস

http://basantipurtimes.blogspot.in/


জয়পুর করপোরেট সাহিত্য উত্সব সংরক্ষন বিরোধী মন্চে রুপান্তরিত হল এক অব্রাহ্মণ বাঙ্গালি সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দীর সৌজন্যে৷তিনি বলেছেন ভারতবর্ষে দুর্নীতির জন্য দায়ী হল ওবিসি,তপশিলী জাতি ও উপজাতির মানুষরা৷ সংসদের বিগত শীতকালীন অধিবেশনের শেষ লগ্নে দিল্লী গণধর্ষণের জেরে সংসদ মুলতুবী করে দেওয়া হয় মেয়াদের দুদিন আগেই৷ ততক্ষনে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী পদোন্নতিতে সংরক্ষনে সুপ্রীম কোর্টের বাধা নিষেধ তুলতে প্রয়োজনীয় বিল কিন্তু রাজ্যসভায় গোড়া সংরক্ষন বিরোধী বিজেপির দলিত ভোট ব্যান্ক অঙ্কের প্রয়োজনে পাশ হয়ে গেছে৷আইন হওয়ার আগেই গণধর্শণে দেশ তোলপাড়৷ সংরক্ষন বিল শিকেয় তোলা হল৷এবারও সংরক্ষন বিল আটকানোর কাজ তাহলে শুরু হয়ে গেল৷


শনিবার জয়পুর সাহিত্য উৎসবের মঞ্চ প্রখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশিষ নন্দীর মন্তব্যকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। একটি আলোচনাচক্রে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষেরাই মূলত দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে মন্তব্য করলেন তিনি! তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকদের মধ্যেই প্রবল প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। দ্রুত এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বহুজন সমাজ পার্টি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আশিষ নন্দীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্থান পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


মন্তব্য বিতর্ক: বিক্ষোভের জেরে জয়পুর ছাড়লেন আশিস নন্দী
আশিস নন্দীর মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভ রাজস্থানে
জয়পুর: তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে জয়পুর ছাড়লেন বিশিষ্ট সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশিস নন্দী। তবে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সবদিক বিবেচনা করেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গীরজ মিনা। 

শনিবার রাজস্থানের জয়পুরে পাঁচ দিন ব্যাপী সাহিত্য উত্‍সবে তফলিশি জাতি-উপজাতি ও অন্য অনগ্রসহ শ্রেণি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন আশিস নন্দী। এই সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই দুর্নীতি বেশি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপরই দেশজোড়া সমালোচনার মুখে পড়েন এই সমাজবিদ। কংগ্রেস, বিজেপি, বসপা, সিপিআই সব প্রায় সব রাজনৈতিক দলই তাঁর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এসসি-এসটি রাজস্থান মঞ্চ। আশিস নন্দী গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে জয়পুরের রাস্তা। রবিবার সকালেও ওই সাহিত্য সম্মেলনে 'হিন্দি ইংলিশ ভাই ভাই' বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখার কথা ছিল তাঁর। সম্মেলনের বাইরে বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে তা বাতিল করতে হয়। এরপরই জয়পুর ছাড়েন আশিস নন্দী। 

গীরজ মিনা জানিয়েছেন, "এই বিষয়ের উপর তদন্ত চলছে। শনিবারের সম্মেলনের ভিডিও ফুটেজ আমরা পেয়েছি। তাঁর বক্তব্যের তিনি যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটাও আমাদের কাছে রয়েছে। সম্মেলনের উদ্যোক্তাদের থেকে আমরা খবর পেয়েছি যে আশিস নন্দী জয়পুর ছেড়েছেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষ হলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অফিসার এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি আপাতত ছুটিতে। এ কথা জানাজানি হতেই আন্দোলন আরও জোরালো চেহারা নেয়। 

গোটা ঘটনায় অবশ্য ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন আশিস নন্দী। তাঁর কথা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। আশিস নন্দী জানিয়েছেন যে তিনি বলতে চেয়েছিলেন, তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্য অনগ্রসর শ্রেণির কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু উচ্চবর্ণের দুর্নীতি ঢাকা পড়ে যায়।

আলোচনাচক্রটিতে আশিষ নন্দী বলেন ``যে সমস্ত মানুষেরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মূলত তাঁরা ওবিসি, এসসি অথবা এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত।`` 

পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে প্রবীণ সমাজতত্ত্ববিদ জানিয়েছেন তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন দলিত শ্রেণীর মানুষদের অপরাধ বেশি করে সামনে আসে। নিজের সাফাইয়ের সাক্ষ্য হিসাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ধনী ব্যক্তিরা বড়সড় দুর্নীতি করেও ছাড়া পেয়ে যান, কিন্তু খুব ছোট অপরাধকে বড় করে চিহ্নিত করতে চান।

কিন্তু তাঁর সাফাইয়ে বিন্দুমাত্র বিতর্কের অবসান হয়নি। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী আশিষ নন্দীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, রাজস্থান সরকার এবং সাহিত্য উৎসবের উদ্যোক্তারা যদি আশিষ নন্দীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন সেক্ষেত্রে তাঁরা দলীয় ভাবে পদক্ষেপ নেবেন।

আশিষ নন্দীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন সিপিআই নেতা ডি রাজাও। বিখ্যাত দলিত সাহিত্যিক চন্দ্রভান প্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন কিসের ভিত্তিতে এই রকম মন্তব্য করেছেন আশিষ নন্দী।


তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে আশিস নন্দী। গতকাল, জয়পুর সাহিত্য উত্‍সবে তিনি বলেন, "এইসব সম্প্রদায়ের মধ্যেই দুর্নীতি বেশি।" 

কংগ্রেস, বিজেপি, বসপা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশিষ্ট সমাজতাত্ত্বিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশিস নন্দীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন আশিস নন্দী। একইসঙ্গে, তিনি দাবি করেছেন তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে তা প্রকাশ্যে আসে, কিন্তু উচ্চবর্ণের দুর্নীতি ঢাকা পড়ে যায় - এমন কথাই বলতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সমাজতাত্ত্বিক আশিস নন্দী।

শনিবার একটি আলোচনাচক্রে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষেরাই মূলত দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে মন্তব্য করেন তিনি! তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকদের মধ্যেই প্রবল প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। দ্রুত এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বহুজন সমাজ পার্টি সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আশিষ নন্দীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজস্থান পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আলোচনাচক্রটিতে আশিষ নন্দী বলেন ``যে সমস্ত মানুষেরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মূলত তাঁরা ওবিসি, এসসি অথবা এসটি সম্প্রদায়ভুক্ত।``

পরে অবশ্য নিজের বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে প্রবীণ সমাজতত্ত্ববিদ জানিয়েছেন তাঁর বক্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি আসলে বলতে চেয়েছেন দলিত শ্রেণীর মানুষদের অপরাধ বেশি করে সামনে আসে। নিজের সাফাইয়ের সাক্ষ্য হিসাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ধনী ব্যক্তিরা বড়সড় দুর্নীতি করেও ছাড়া পেয়ে যান, কিন্তু খুব ছোট অপরাধকে বড় করে চিহ্নিত করতে চান।

কিন্তু তাঁর সাফাইয়ে বিন্দুমাত্র বিতর্কের অবসান হয়নি। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী আশিষ নন্দীর মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, রাজস্থান সরকার এবং সাহিত্য উৎসবের উদ্যোক্তারা যদি আশিষ নন্দীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেন সেক্ষেত্রে তাঁরা দলীয় ভাবে পদক্ষেপ নেবেন।


আশিষ নন্দীর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন সিপিআই নেতা ডি রাজাও। বিখ্যাত দলিত সাহিত্যিক চন্দ্রভান প্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন কিসের ভিত্তিতে এই রকম মন্তব্য করেছেন আশিষ নন্দী। 


আগামী লোকসভা নির্বাচন আসন্ন৷ মানুষের অর্থনৈতিক অস্তিত্ব ধ্বংস করে ডিজিটাল বায়োমেট্রিক নাগরিকত্বের আড়ালে একচেটিয়া করপোরেট আক্রমণে  জল জঙ্গল জমি আজীবিকা নাগরিকত্ব থেকে উত্খাত অভিযান চালানোর পরেও দ্বিতীয় পর্যায়ের আর্থিক সংস্কারের ঠিকে নিতে জোর লড়াই চলছে শাসক ব্রাঙমণ্যতান্ত্রিক কর্তৃত্বের পক্ষ বিপক্ষের মধ্যে৷ ক্ষমতাদখলের জন্য হিন্দুত্বের এই গৃহযুদ্ধে ফয়সলা হবে বহুজন সমাজের ভোটেই৷ তাঁদের মাথায় টুপি পরিয়ে রাখতেই হয়, ঠিক যেমনটি হয় বাংলার 27 প্রতিশত মুসলমানদের ক্ষেত্রে৷ দেব দেব করতেই হয়৷কিন্তু কিছুতেই দেব না৷ এখনও সুশীল সমাজ আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়নি৷ সুশীল সমাজের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন যে আসলে সংরক্ষন বিরোধী তা প্রমাণিত করলেন বৈদ্য বা কায়স্থ, প্রীতীশ নন্দীর সম্পর্কে ভাই আশীষ নন্দী৷ বাঙ্গালি অব্রাহ্মণরাই ভেদাভেদ ক্ষেত্রে সব চাইতে বেশী সক্রিয়৷ পবাংলার বাইরে বৌদ্য বা কায়স্থরা শাসক শ্রেণীতে নেই৷ কিন্তু বাংলায় বৌদ্ধময় ভারতের অবসানের পরে দ্বাদশ শতাব্দীতে ব্রাহ্মণদের আবির্ভাব বল্লাল সেনের সৌজন্যে হলেও ব্রাত্য বাংলায় ক্ষত্রিয় অনুপস্থিত৷ ইংরাজ শাসনকালে আবার স্থাই বন্দোবস্ত অনুযায়ী জমিদারী স্বত্বে কায়স্থ ও বৈদ্যরা শাসক শ্রেণীতে শামিল হয়৷ এঁদের স্বাধীনতার পূর্বে ব্রাহ্মণরা সুদ্র বলতেই অভ্যস্ত ছিল৷ বাংলা ভাগ করা হয় বহুজনসমাজের আন্দোলনেক কেন্দ্র বাংলাতকে ধুলিসাত করতেই৷ বাংলার ব্রাহ্মণ নেতাদের সংকল্প ছিল ভারত ভাগ হোক না হোক, বাংলা ভাগ হবেই৷ নেহরু, জিন্না ও গান্ধীকে বাংলা ভাগের জন্য দায়ী করনেওয়ালা অধিকাংশ ভারতীয়রাই এই বাঙ্গালি কারসাজি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়৷ পাঁচ কোটির বেশী তফশিলী বাঙ্গালিকে বাংলার ইতিহাস ভূগোল থেকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের একচেটিয়া সাসন চলছে বাংলায়, এবং ক্ষমতাভাগে জনংখ্যার তুলনায় ব্রাহ্মণ ত বটেই কায়স্থরা এবং বৈদ্যরা সবকিছু দখল করে নিয়েছে৷ জনসংখ্যায় সমায়োজনে বাংলায় তফসিলী জাতি মাত্র 17 ও তফসিলী উপজাতি মাত্র 7 প্রতিশত৷ 27 প্রতিশত মুসলমান, 3 প্রতিশত ব্রাহ্মণ ও পাঁচ প্রতিশত কায়স্থ ও বৈদ্য বাদে, থফসিলীদের বাদে সবাই কিন্তু ওবিসি৷ কিন্তু বাংলার ওবিসি আত্মপরিচয়ে লজ্জা বোধ করে এবং শাসকশ্রেণীর লেজুড় হয়ে থাকতে ভালবাসে৷ সিপিএম মল্ডল কমিশন রিপোর্ট রুপায়নের দাবিতে সবচেয়ে বেশী মুখর ছিল৷ কিন্তু কমরেড জ্যোতি বসুর মুখ্যমন্ত্রিত্বে  কখনো বাংলায় ওবিসির অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়নি৷ বুদ্দদেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ওবিসী সংরক্ষন দেওয়া হয়৷কিন্তু জাতি প্রমাণপত্রই পাওয়া যায়না৷বাংলায় 27 প্রতিশত মুসলমানদের 90 শতাংশই ওবিসি৷ কিন্তু হিন্দু মুসলিম ওবিসিদের জন্য মাত্র সতেরো শতাংশ সংরক্ষনের ব্যবস্থা হয়৷ বাংলায় টে েক কোটি বোকারের কথা স্বীকার করেন পরিবর্তন দেবী মমতা বন্দোপাধ্যায়, তার আশি শতাংশই কিন্তু হয় ওবিসি, না হয় দলিত নতুবা উপজাতি৷ এঁদের মধ্যে অধিকাংশ আবার চাকরির জন্য বিভিন্ন পরীক্ষায় পাশ করে বছরের পর বছর বসে আছেন যেহেতু লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলেও ইন্টারভিউএ ভূদেবতার মর্জিমুতাবিক এরাং সকলেই ছাঁটাই হয়ে যান৷ যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না বলে বছরের পর বছর সংরক্ষিত আসন খালি থাকে , তারপর তা জেনারেল হয়ে যায়৷ এই জন্যই বাংলায় সংরক্ষন অনুযায়া নিযুক্তি কখনো কুড়ি শতাংশও অতিক্রম করে না৷


সব চেয়ে মজার ব্যাপার হল এই যে দলিতদের ও উপজাতিদের মতই অধিসংখ্য ওবিসি কিন্তু চাষবাষের সঙ্গে যুক্ত যেমন মাহিষ্য ও সদ্গোপ৷ হিন্দুত্ব ও বর্ণব্যবস্থার  অনুশাসনের উকীলরা শ্রম বিভাজন ও পেশা কে জাতির আধার বলে৷ তাহলে পৌন্ড্র ক্ষত্রিয়, নমশুদ্র ও রাজবংশীরা আলাদা আলাদা জাতি হয় কেন আবার মাহিষ্য ও সদ্গোপ আলাদা আলাদা কেন চাষিদের অর্থাত এই দেশের আশি শতাংশ মানুষকে ওবিসি , দলিত ও উপজাতি অন্তর্গত হাজারো জাতিতে বিভক্ত করে বহুজন সমাজের নিরমাণের রাস্তায় স্থাই অন্তরায় সৃষ্টে করা হয়েছে যাবতীয় পবিত্র অথছ অশ্লীল ধর্ম গ্রন্থে লিখিত উদ্ভট সব আখ্যান দিয়ে৷ সব চাইতে মজার ব্যাপার হল যে চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত কিছু জাতিকে যেমন বিহার ও উত্তর প্রদেশে ভূমিহার ও উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়াণায় ত্যাগীদের ব্রাহ্মণ করা হয়েছে৷


ইতিহাস বলে যে দলিত, উপজাতিদের ও ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষদের পর যাবতীয় জোর জুলুম পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধেই হয় বা অব্রাহ্মম ঊচুঁজাতির দ্বারা হয়নব্রাহ্মমরা শুধু মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ করে৷ এই সংস্কার বদ্ধ মস্তিস্কই সমতা ও সামজিক ন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লবের ইন্ধন যোগায়৷ বাংলার শাসক জোটে শামিল অব্রাহ্মণ জাতিগুলোই কিন্তু এই ইন্ধনের ডিপো৷ আশীষ নন্দী শুধু জয়পুরে নয় বার বার প্রমাণ করেছেন৷


গ্যালপের অর্থনৈতিক কল্যাণসূচক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রশাসনিক তৎপরতার অভাব, মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চহার ভারতের প্রবৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায়৷ এতে আগামী দিনে সব থেকে মার খাবে মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক মানুষেরা৷


সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব, মুদ্রাস্ফীতি, চড়া সুদের হার ও দুর্নীতি সাম্প্রতিক কালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারকে করে তুলেছে নিম্নমুখী৷ এর পরিণামে ব্যাহত হচ্ছে বিনিয়োগ৷ বহু কোম্পানি তাদের প্রকল্প স্থগিত রেখেছে৷ কিংবা অন্যত্র বিনিয়োগ করছে৷ পরিণামে সঙ্কুচিত হচ্ছে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ৷

এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক আশীষ নন্দী ডয়চে ভেলেকে একটু ভিন্ন সুরে বললেন, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অচলাবস্থা বা চড়া হারে সুদ – সবই আগে ছিল, এখনো তাই৷ নতুন নয়৷ তা সত্ত্বেও ভারত টিকে ছিল, এখনো থাকবে৷ তবে হ্যাঁ, আর্থিক প্রবৃদ্ধির হারটা ৯-১০ শতাংশ হতে হয়ত অনেক সময় লাগবে৷

সমীক্ষায় বলা হয়, আগামী দিনে এর ফলে গত বছরের তুলনায় সব থেকে দুরবস্থার মুখে পড়তে পারে ভারতের মধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক শ্রেণি৷ সেই তুলনায় উচ্চবিত্ত শ্রেণির অবস্থাটা ভাল থাকবে৷

সেই নিরিখে ভারতের স্থান চীন ও ব্রাজিলে নীচে৷ জীবনের মানোন্নয়নের মাপকাঠি আয়, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান৷ সবকটি একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমনটাই মনে করেন গ্যালপের প্রধান জিম ক্লিফটন৷ তাঁর মতে, ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতে এর মোকাবিলার সম্ভাব্য উপায় হলো, অনুকূল বাণিজ্যিক পরিবেশ গড়ে তোলা, শিক্ষা ও সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর বিনিয়োগ বাড়ানো৷

জীবনের মানোন্নয়নের এক বড় দিক শিক্ষা৷ ভারতে ৬২ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হয়নি৷

মুম্বই-ভিত্তিক জিও-পলিটিক্যাল পাওয়ার ইনডেক্স সংক্ষেপে (জিপিও ) নামে আরেকটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনে করে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আর্থিক সংস্কারের গতিরোধ, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু সংসদের আশঙ্কা ভারতের ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতা খর্ব করবে৷

ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফায়দা ২০৩০ সাল পর্যন্ত৷ কিন্তু শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই জনশক্তিকে যদি কাজে লাগানো না যায়, তাহলে তা হয়ে দাঁড়াবে অভিশাপে৷ সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দী মনে করেন, ''আদিবাসীদের ছেড়ে দিন৷ তারা নিজের মত করে ঠিক বেঁচে থাকবে৷ তারা উন্নয়ন নিয়ে অত মাথা ঘামায়না৷ তারা চায় তাদের বাসভূমি জঙ্গল এলাকাটা যেন তাদের থাকে৷ তাদের জোর করে প্রোলেতারিয়েত বানিয়ে 'হোয়াইট-কলার' কাজে জোর করে ঢুকিয়ে দেয়াটা কাজের কথা নয়৷ তাদের বাসভূমিতে মাইনিং শুরু করে তাঁদের উদ্বাস্তু বানানোটাও কাজের কথা নয়৷''


  • হংকং-এ বসবাসরত ভারতের নাগরিক তারা চেল্লারাম ( ডানে ) অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সাথে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মিছিলে মোমবাতি ধরে আছেন। অনুষ্ঠানটি ভারতীয় দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লীতে ঘটে যাওয়া গণ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদের সারা ভারত জুড়ে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে।[এ্যান্টনি ডিকসন/এ এফ পি]

    হংকং-এ বসবাসরত ভারতের নাগরিক তারা চেল্লারাম ( ডানে ) অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সাথে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মিছিলে মোমবাতি ধরে আছেন। অনুষ্ঠানটি ভারতীয় দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হয়। দিল্লীতে ঘটে যাওয়া গণ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদের সারা ভারত জুড়ে এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে।[এ্যান্টনি ডিকসন/এ এফ পি]

    মঙ্গলবার(২৯শে ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে "ভারত কন্যার" মৃত্যু বিষাদের বন্যা বইয়ে দিয়েছে, একইসাথে নতুন করে আহবান জানানো হয়েছে নারীর বিরুদ্ধে চলা সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণের, যা ভারতের জন্য একটি অব্যাহত আঘাত, এছাড়া এটিদক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল.এর জন্যও প্রযোজ্য।


    মৃত নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সারা ভারত জুড়ে নতুন বছর উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। নাম প্রকাশ না করা ২৩ বছরের মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ১৬ই ডিসেম্বর গণ ধর্ষণের পর একটি চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়

    ভারতের সরকার এবং বেশিরভাগ রাজ্য প্রশাসন ২০১৩ সাল বরণ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক ঘন্টাধ্বনি বাজানো বাতিল করে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সব ধরণের অনুষ্ঠান বাতিলের নির্দেশ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি প্রধান, সোনিয়া গান্ধী বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন যখন মেয়েটির মৃতদেহ সিঙ্গাপুর থেকে একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় বিমানে করে পৌঁছে।

    সিং বলেন, "আমি মেয়েটির পরিবার এবং জাতিকে বলতে চাই, যদিও মেয়েটি তার জীবনের এ লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছে, এখন এটি আমাদের নিশ্চিত করার দায়িত্ব যে তার মৃত্যু বৃথা যেতে পারেনা"। "তার স্মৃতির প্রতি সত্যিকারের সম্মান দেখানো হবে যদি তার উপর চলা নৃশংস অত্যাচারের ফলে যে আবেগ এবং শক্তি সৃষ্টি হয়েছে, তা গঠনমূলক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত ও তরান্বিত করে"।

    অভিনেত্রী এবং সমাজকর্মী শাবানা আজমী মন্তব্য করে বলেন, "মেয়েটির মৃত্যুতে যে মাত্রায় শোক জানানো হয়েছে, তা অবিশ্বাস্য। আমি কখনোই এধরণের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখিনি"।

    দিল্লী ভিত্তিক জেন্ডার অধিকার বুদ্ধিজীবি, সেন্টার ফর সোশাল রিসার্চ এর পরিচালক, রঞ্জনা কুমারী আশা প্রকাশ করে বলেন যে এই ভয়াবহ ঘটনাটি সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটাবে।

    তিনি বলেন, "মেয়েটির স্মরণে ঘটে যাওয়া জাগরণ, শান্তিপূর্ণ, স্বতঃস্ফূর্ত এবং নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে রাষ্ট্রের ঔদাসীন্যের প্রতি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক প্রতিবাদ সমাবেশ ভারতের শহরাঞ্চলে সচেতনতা সৃষ্টির নতুন এক শুরুর ইঙ্গিত বয়ে এনেছে"।

    ভারতের বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো অনন্য এক ঐক্য প্রদর্শন করেছে এই গন ধর্ষণকে নিন্দা জানানোর মধ্য দিয়ে, একইসাথে অনেকেই সিং-এর প্রশাসনের প্রশংসা করেছে এই ট্রাজেডির ঘটনায় একটি শক্ত, সক্রিয় অবস্থান গ্রহণ করার জন্য।

    নতুন দিল্লী ভিত্তিক একজন শীর্ষস্থানীয় সমাজবিদ আশীষ নন্দী খবরকে বলেন, "এই গন ধর্ষণের প্রতি সরকার এবং সব রাজনৈতিক দলগুলোর দেখানো প্রতিক্রিয়া অসাধারণ"। সরকার মেয়েটির হত্যাকারীদের বিচারকাজ দ্রুত আইনে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এটি এছাড়াও যৌন বিষয়ক অপরাধ নিয়ন্ত্রণের শাস্তি আরো কঠিন করার বিষয়ে একটি পরিবর্তন আনার ব্যাপারে সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

    তিনি বলেন, ঘটনাটি এছাড়াও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের শক্তির বিষয়টিকে উপস্থাপণ করেছে।

    নন্দী বলেন, "এগুলিই শান্তিপূর্ণভাবে শহুরে ভারতের গণ বিক্ষোভ প্রকাশের ফলাফল। আগামীতে শহরের অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে এধরণের আরো প্রতিবাদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে"।

    ভারতফসিলী ওবিসিতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সুশীল কুমার সিন্ধ ঘোষনা করেছেন যে, দেশে ধর্ষণ আইনের ক্রমহারে সংশোধনী আনা হবে। মৃত্যুদণ্ড এবং দায়ীদের "রাসায়নিকভাবে পুরুষত্বহীন" করার ব্যাপারটি গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, "সব রাজনৈতিক দলগুলো এবং সামাজিক সংস্থাগুলোর কাছে মতামত চেয়ে একটি খসড়া পাঠানো হয়েছে"।

    একজন তরুণসহ মোট ছয়ব্যক্তিকে এই অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকার ৩রা জানুয়ারি দক্ষিণ দিল্লীর একটি আদালতে তাদের বিচারকাজ শুরু করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    সম্পাদক সমীপেষু...
    বাংলার জাতপাতের 'মিথ'
    আমার প্রবন্ধ পড়ে অনির্বাণ বন্দ্যোপাধায় তাঁর পত্রে (আ.বা.প ৯-১০) কয়েকটি মূল্যবান প্রশ্ন তুলেছেন। সেই প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। প্রথমত উনি উল্লেখ করেছেন যে, আমি আমার ২০০৪-এর একটি বইতে প্রকাশিত মত সাম্প্রতিক কালে পাল্টে নিয়েছি। আমার বই এত মনোযোগ দিয়ে কেউ পড়েন জেনে ভাল লাগল। এই প্রসঙ্গে বলি, আমার পূর্ব মত আমি অবশ্যই পাল্টেছি, খুব খোলাখুলি ভাবেই। এই পরিবর্তিত মত-সংবলিত দুটি প্রবন্ধ ইতিমধ্যেই ছাপা হয়েছে।
    ২০০৪-এ মনে হয়েছিল, বহুজন সমাজ পার্টি বা সমাজবাদী পার্টি মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে সমঝোতা না-করে বেশি দূর এগোতে পারবে না। পুরোনো ইতিহাসের ধারা তাই বলে। গত আট বছরে বসপা এবং সপা যে ভাবে জনসংগঠন বাড়িয়েছে, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে তা খানিকটা অভাবনীয়। অতীতের শিডিউল কাস্ট ফেডারেশন বা রিপাবলিকান পার্টির জনসংগঠনের ধারা থেকে এই সংগঠন সম্পূর্ণ ভাবে আলাদা। তাদেরও সমঝোতা করতে হয়েছে। তবে উল্টোটাও ঘটেছে অর্থাৎ মূলস্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকেও তাদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতার আবশ্যিকতা আগে ছিল না, এখন হয়েছে।
    শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় বক্তব্যটি আরও জরুরি এবং বিশদ মন্তব্যের দাবি রাখে। স্বাধীনতা-উত্তর পশ্চিমবঙ্গে জাতপাত সমস্যা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে। ২০০৪-এর বইতে এবং তারও আগে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত নমঃশূদ্রদের ইতিহাসে আমি দেখানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, ১৯৪৬-'৪৭-এর সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ এবং দাঙ্গার চাপে দলিতগোষ্ঠীগুলির প্রতিবাদী আন্দোলন হারিয়ে যাচ্ছে। খানিকটা মূলস্রোতে মিশেও যাচ্ছে বা। কিন্তু আমি এ-ও উল্লেখ করেছিলাম, তাতে বাঙালি সমাজে জাতপাতের সমস্যার সমাধান হয়নি মোটেই।
    কিন্তু ১৯৪৭-এর পর এই দলিত প্রতিবাদী আন্দোলন কেন দুর্বল হয়ে গেল, এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর তখনও আমি পাইনি। কারণ, স্বাধীনতা-উত্তর পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ইতিহাস নিয়ে গবেষণা না-করলে সে উত্তরটা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমার সাম্প্রতিক গবেষণা এই সময়ের উপর। এবং তার প্রাথমিক সিদ্ধান্তগুলি আমার পুরোনো মত খানিকটা পাল্টাতে বাধ্য করেছে বইকী। সম্প্রতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস আমার নমঃশূদ্র ইতিহাসের বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ বার করেছে। তাতেই আমার পরিবর্তিত মত প্রকাশিত হয়েছে। এখানে তার বিশদ পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। সংক্ষেপে দু'চার কথা বলতে পারি।
    পশ্চিমবঙ্গের দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিবাদী আন্দোলন যে স্বাধীনতার পরে হারিয়ে যাচ্ছে, তার প্রধান কারণ হল, দেশভাগ ও উদ্বাস্তু সমস্যা এবং আন্দোলন। বাংলার উদ্বাস্তুদের এক বিরাট অংশ বিশেষ করে যাঁরা ১৯৫০-এর পর এ-পারে এলেন, ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের লোক। এই জরুরি তথ্যটা উদ্বাস্তু ইতিহাসে খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যায় না। সবাই 'উদ্বাস্তু' এই নতুন আত্মপরিচয় লাভ করেন। দলিত আত্মপরিচয়টা আড়ালে চলে যায়। দেশভাগের আগে যে দলিত নেতারা জাতপাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন সংক্রান্ত আন্দোলন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। ফলে, দলিত আন্দোলন সাময়িক ভাবে পিছিয়ে পড়ল। কিন্তু জাতপাতের সমস্যা যে তাতে আদৌ কমল না, সেটা টের পাওয়া গেল ২০০৪ সালের শেষের দিকে। যখন প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বাচ্চাদের মধ্যাহ্নভোজ খাওয়া নিয়ে বির্তক বাধল। দলিত স্বেচ্ছাসেবীদের হাতের রান্না ব্রাহ্মণের ঘরের ছেলেরা মুখে তুলবে না, অনেক উদারপন্থী বা বামপন্থী বাঙালি সে সম্ভাবনাটা কখনও ভেবে দেখেননি।
    আসলে সমস্যাটা রয়েই গেছে। আমরা একটা 'মিথ' নিয়ে বাস করি যে, বাংলায় জাতপাত নেই। এটাকে মনে করি আমাদের বাঙালিয়ানার একটা প্রতীক। যেখানে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের লোকেদের চেয়ে আমরা আলাদা। তাই এই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাও বেশি হয়নি। তবে এই বিষয়ে ইদানীং যে ক'টি গবেষণাপত্র আমার চোখে পড়েছে, তার থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার ভাবে বেরিয়ে আসে। তা হল, ভূমিসংস্কার এবং পঞ্চায়েতি রাজ সত্ত্বেও জাতপাতের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার বিন্যাসের যে সম্পর্ক ঔপনিবেশিক বা তার আগের যুগে ছিল, তার মূলগত পরিবর্তন খুব একটা ঘটেনি। তাই মতুয়া মহাসঙ্ঘের জনপ্রিয়তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। খাস কলকাতায় বসপা-র জনসভার ভিড় অনেক উদারপন্থী/বামপন্থী বাঙালিকে অস্বস্তিতে ফেলে। মতুয়াদের সমর্থন পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বলে দেয়, অন্যান্য প্রদেশের রাজনীতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির পার্থক্যটা এমন কিছু বিরাট নয়। তবে পার্থক্য অবশ্যই কিছুটা আছে। জাতপাতভিত্তিক হিংসাশ্রয়ী ঘটনা এখানে বিরল। তার অবশ্য কিছু ঐতিহাসিক কারণও আছে। স্বল্প পরিসরে তার আলোচনা এখানে সম্ভব নয়। শ্রীবন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমি একমত যে, স্বাধীনতা-উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জাতপাত নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। আমার নিজের গবেষণা এখনও মাঝপথে। তার আগে প্রত্যয় নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দিতে যাওয়াটা ঠিক হবে না। 
    আরেকটি কথা। বর্তমানের উপর দাঁড়িয়েই ঐতিহাসিক অতীতের দিকে তাকান। পরিবর্তনশীল বর্তমান নতুন নতুন প্রশ্ন তুলে ধরে। আর ঐতিহাসিক সেই প্রশ্নগুলিকে অতীতের দিকে নিক্ষেপ করেন। তার উত্তর খোঁজেন। এ ভাবেই যুগে যুগে ইতিহাসের ব্যাখ্যা পাল্টায়। আশা করি, আমাদের এই নতুন বাস্তবতা পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক ইতিহাস নিয়ে নতুন করে ভাবাবে


Ashis Nandy booked for 'casteist' comment, BSP demands arrest

Social scientist Ashis Nandy was Saturday booked for linking Dalits, tribals and backward classes to corruption, even as his remarks at the Jaipur Literature Festival drew condemnation from political parties like the BSP and RPI which demanded action against him. 

Nandy said he was misunderstood, but Bahujan Samaj Party (BSP) leader Mayawati asked the Rajasthan government to take strong action against him, while Republican Party of India (RPI) chief Ramdas Athawale demanded that Nandy take back his comments. 

There were also protests by Scheduled Caste, Scheduled Tribe and Other Backward Classes (OBC) groups outside the festival venue - the Diggi Palace. 

Police said a first information report (FIR) was lodged against Nandy under the section 3(1) of the SC/ST Act, which was non-bailable and invited a 10-year jail term. The case was filed by a person identified as Ram Ratan Meena. 

Festival director Sanjoy K. Roy was also booked, police said. 

A police official at Jaipur's Ashok Nagar police station, where the complaint was lodged, however, told IANS that they would first investigate the incident and then decide on any action. 

Amid protests, police helped Nandy, who is in his late 70s, get out of the venue from a back door in the evening, a constable told IANS. 

Addressing a press conference in the evening, Nandy told reporters he was misunderstood. "As should be clear, there was neither any intention nor any attempt to hurt any community," he said. 

Roy said: "They have clarified their position and have understood that it was a misunderstanding. Controversies are easily created. Please be responsible." 

However, the BSP did not accept the clarification. 

Talking to media persons in Delhi, Mayawati said Nandy's comments were wrong, baseless and unfortunate. 

"Our party demands that the Rajasthan government should register a case and he should be sent to jail," she said. 

She said the comments reflected a casteist mindset and were made as part of a thought-out conspiracy to defame people from these communities. 

Mayawati said the organisers should also immediately "throw out" Nandy from the festival for his "castiest remarks". 

Asked if the party will raise the issue in budget session of parliament, she said the party will take into account the steps taken by the state government, the organisers and the "kind of apology" tendered by Nandy. 

Nandy stirred a row at a morning session, titled "Republic of Ideas", when he said: "It will be an undignified and vulgar statement. But the fact is that most of the corrupt come from the OBC, the Scheduled Castes and now increasingly STs. As long as it is the case, the Indian republic will survive." 

"I will give an example. The state of least corruption is West Bengal. In the last 100 years, nobody from the backward classes and the SCs and STs have come anywhere near power in West Bengal. It is an absolutely clean state," Nandy said. 

At the press conference, Nandy said he meant to endorse fellow panelist Tarun Tejpal's statement that corruption in India was "an equalising force". 

In a written statement, he said: "This is not what I meant or what I wanted to say. I endorsed the statement of Tarun Tejpal, editor of Tehelka, that corruption in India is an equalising force. I do believe that a zero corruption society in India will be a despotic society." 

"I also said if people like me or Richard Sorabjee (one of the speakers) want to be corrupt, I shall possibly send his son to Harvard giving him a fellowship and he can send my daughter to Oxford. No one will think it to be corruption. Indeed, it will look like supporting talent." 

"But when Dalits, tribals and the OBCs are corrupt, it looks very corrupt indeed," he added. 

"However, this second corruption equalizes. It gives them access to their entitlements. And so, as long as this equation persists, I have hope for the republic." 

Hoping this would end the matter, Nandy said he was sorry if some had misunderstood him. "As should be clear from this statement, there was neither any intention nor any attempt to hurt any community. If anyone is genuinely hurt, even if through misunderstanding, I am sorry about that, too." 

IANS 

The Jaipur Literature Festival today witnessed fireworks after political critic Ashis Nandy made a controversial comment on corruption and people belonging to OBC, SC and ST communities which drew a strong response from the audience.

At a panel discussion at the Festival, Nandy said, "Most corrupt people come from OBC, SC and ST communities".

Journalist Ashutosh, who was among the panelists, and most members from the audience took strong exception to the statement.

"This is the most bizarre statement I have heard. The Brahmins and the upper cast can do away with all the corruption but when a low caste person emulates the same thing it becomes so wrong. Such statement is not right," he said.

"Most of the people who are doing corruption are people from OBC, SC and ST communities and as long as it remains Indian republic will survive," Nandy said. His comments were met with boos from the audience.

However, Nandy later clarified that what he meant was that most of the people getting caught are people from OBC, SC and ST communities as they don't have the means to save themselves unlike people from upper castes.

"You catch a poor person selling a black ticket for Rs 20 and say corruption but rich people with corruption of millions get away," he said.

Speaking at the first session here, on 'Republic of Ideas' which discussed the idea of Indian Republic, author-journalist Tarun Tejpal said corruption is a class equaliser.

"Many people who came from wrong side of society subvert the rules and move ahead using loopholes. That is the only way they have as we made such class barriers," he said.

However, a member from the audience said that "corruption is the most abusive power. We can't agree to what you said".

Indian Constitution, the panelists observed has tried to do very well to safeguard the freedom of speech by compromising on certain aspects.

Richard Sorabji, an author with around 120 books to his credit said, "Compromise is very important for a Constitution. Indian Constitution tried to do very well with safeguarding of freedom of speech. People should be free to say what they want to say against religion but not with deliberate malice. This is a compromise missing in us".

"America will do well to adopt India's idea of free speech," he added.

Patrick French, whose latest book focuses on India, said that the problems India is facing today are not the creation of Constitution but by problem of bureaucracy.

Talking on the idea of India, he said, which neighbouring country you look upto and say you want to live in it. That's the idea of India. The fact that you can't read does not stop you from voting. It was a great idea of Indian Constitution".


Jaipur lit fest: Police seek video of Ashis Nandy's remarks

Jaipur lit fest: Police seek video of Ashis Nandy's remarks

A complaint under the Prevention of Atrocities Act was on Sunday filed by a citizen against author Ashis Nandy for his controversial comments that people from OBC, SC and ST communities were the "most corrupt", which he made at the Jaipur Literary Festival.

"The complaint was filed in Sarkarwada police station by Samadhan Jagtap seeking Mr. Nandy's arrest under the Scheduled Castes and the Scheduled Tribes (Prevention of Atrocities) Act", said an officer from Sarkarwada police station.

Earlier, an all-party delegation, comprising leaders of MNS, Shiv Sena, BJP, RPI and Dalit organisations, under the banner of Bahujan Samaj Sangharsh Samiti, submitted a memorandum to police seeking registration of complaint against the author.

"The delegation handed over the memorandum to ACP Ganesh Shinde at Sarkarwada police station seeking registration of the complaint against Nandy under Scheduled Castes and the Scheduled Tribes (Prevention of Atrocities) Act", Nashik district RPI president Prakash Londhe said.

The delegation also submitted the petition to Divisional Commissioner Ravindra Jadhav.

"We have received the memorandum. Police will decide on registration of offence under the Atrocities Act against Nandy after studying his comments", an officer from Sarkarwada police station has said.

Meanwhile, leaders of various political parties formed 'Bahujan Samaj Sangharsh Samiti' at a meeting held at Bhujbal Farm, NCP MP Sameer Bhujbal said in a press release.


JAIPUR: Police have sought video of author Ashis Nandy's controversial comments that people from OBC, SC and ST communities were the "most corrupt" made at the Jaipur Literary Festival even as he left the city skipping rest of the event amid protests demanding his arrest. 

"Investigation into the matter is going on. We have sought the video footage of yesterday's session in which he made the remarks and also his clarification to be put on record," additional commissioner of police Girraj Meena said. 

"We have been informed by the organisers that Nandy left the city today but proper action will be taken once the initial probe is over," Meena said. 

Nandy was to address a session on 'Hindi English Bhai Bhai' at the festival on Sunday morning but failed to turn up as the SC/ST Rajasthan Manch which had filed a police complaint against him held protests. The five-day festival is to end on Monday. 

According to police sources, the officer, who has been assigned the case, is on leave, an issue raised by the protesters. 

When asked if the investigating office is on leave, he said, "The probe is on and I will seek a clarification from the officer if required." 

Investigating officer Sumit Gupta, assistant commissioner of police (Ashok Nagar), did not respond to repeated calls. 

Janesh Singh, SHO Ashok Nagar police station, where the FIR was filed against Nandy and the organiser Sanjoy Roy on Saturday evening over the remarks, said that the statements of the complainant and the organiser would be recorded. 

Rajpal Meena of the SC/ST Rajasthan Manch, who lodged the complaint, along with his supporters protested on Sunday against Nandy and the organiser at Ambedkar circle. 

"We are demanding immediate arrest of Nandy for derogatory remarks against STs and the organisers of the festival for allowing him to make the controversial remarks," Meena said. 

"It is surprising that the IO is on leave. It gives impression that the police want to protect him but we are not going to sit quiet," he said. 

Local activists also protested near the entrance of the venue at the main road and shouted slogans against him. 

"It is a fact that most of the corrupt come from OBCs and Scheduled Castes and now increasingly the Scheduled Tribes," Nandy had said participating in a session at the Festival on Sunday.


  1. Ashis Nandy faces political backlash, apologises

    Zee News-10 hours ago
    Dalit corruption remark: Ashis Nandy faces political backlash, apologises Jaipur/New Delhi: Noted author Ashis Nandy on Saturday stoked a ...
  2. Ashis Nandy in bitter JLF caste row

    Times of India-18 hours ago
    JAIPUR: A huge row broke out at the Jaipur Literature Festival on Saturday with academic AshisNandy finding himself bang at the center of it.
  3. Ashis Nandy's statement draws flak from all fronts

    Times of India-15 hours ago
    The stinging reaction followed the uproar over Nandy's statement that appeared strange even to his followers while raising the hackles of ...
  4. Ashis Nandy booked under SC/SC Act for remark

    Newsbullet-9 hours ago
    In Pic: Ashis Nandy Jaipur: Sociologist and political critic Ashis Nandy today landed himself in controversy by blaming Dalits and other ...
  5. Ashis Nandy clarifies stand on dalit corruption remark, cites ...

    Times of India-26-Jan-2013
    JAIPUR: Leading political psychologist, scholar and social scientist Ashis Nandy clarified on Saturday that he did not mean to hurt the ...
  6. Ashis Nandy booked under SC/SC Act

    Daijiworld.com-11 hours ago
    Jaipur, Jan 27 (IANS): Renowned sociologist Ashis Nandy was Saturday booked here under the SC/ST Act for his comment at a session at the ...


No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...