BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Welcome

Website counter
website hit counter
website hit counters

Monday, May 25, 2015

Desh Becho Hegemony in Bangladesh!দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও সিন্ডিকেট করে বাপেক্সকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছে ,কেন এত অবহেলা?

As is is happening in India and all over the geopolitics,natural resources have been subjected to be sold by the Ruling Desh Becho Hegemony.This report describes identical phenomenon in Bangladesh taht we got from Dhaka.
Palash Biswas

দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও সিন্ডিকেট করে বাপেক্সকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছে ,কেন এত অবহেলা?
সাখাওয়াত হোসেন <hhintlbd988@gmail.com>

দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা সত্বেও সিন্ডিকেট করে বাপেক্সকে  ধ্বংসের মুখে ঠেলে  দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছে ,কেন এত অবহেলা?

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কম্পানি গ্যাজপ্রোম তিতাস অঞ্চলে পাঁচটি গ্যাসকূপ খনন করে। এর জন্য খরচ হয় এক হাজার ১৪ কোটি (প্রতিটির জন্য ২০০ কোটির বেশি) টাকা। অঞ্চলটি ছিল দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কম্পানি বাপেক্সের মালিকানায়। এর জন্য গ্যাজপ্রোমকে পুরো অর্থও পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ পাঁচ কূপ খননে বাপেক্সের মোট খরচ হতো ৪০০ কোটি টাকার মতো। পেট্রোবাংলার নীতিনির্ধারকরা ওই এলাকার কূপগুলো বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে খনন করায়। আর সেই টাকা ঋণ করে মেটায় বাপেক্স। এভাবে দেনার পাহাড় জমছে প্রতিষ্ঠানটির ঘাড়ে, যার পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে।
সরকারের নীতি হলো অভিজ্ঞতা থাকায় স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স আর সাগরের ব্লকগুলো দেয়া হবে বিদেশী কোম্পানিকে। কিন্তু স্থলভাগও এখন বিদেশী কোম্পানিকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। যেমন, এরই মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ২২ নম্বর ব্লকের জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। বাকি ব্লকগুলোতেও শিগগিরই ডাকা হবে। অথচ বাপেক্সকে বসে থাকতে হচ্ছে হাত গুটিয়ে।
রাষ্ট্রায়ত্ত একটি প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া যায় তার উদাহরণ হতে পারে বাপেক্স। অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও দক্ষতা ও যোগ্যতায় বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য অর্জন করেও দেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও স্থলভাগে গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ বিদেশী কম্পানিকে দেয়ার সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করা হয়েছে। বাপেক্সের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু এই অনুসন্ধান কাজ বাপেক্সকে দিয়ে অনেক কম খরচে করানো যেত। সরকারের নীতিমালাতেও তেমনটি বলা আছে।
বাপেক্সের দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। পুরনো আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ করেও প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে। একটি যোগ্য ও দক্ষ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি কেন আধুনিকায়ন হয় না, কেন পুরনো যন্ত্রপাতির অজুহাতে বিদেশী কোম্পানিকে কাজ দেয়া হয়, কেন এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধ করে? এসব প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলে ঘুরপাক খায়। একটি সক্ষম প্রতিষ্ঠানকে দিনে দিনে অক্ষমতার দিকে ঠেলে দেয়া কার কী উদ্দেশ্য সাধনের জন্য- সে প্রশ্নটিও অনিবার্য হয়ে পড়ে। ধারণা করা যেতে পারে, বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্যই বাপেক্সের মতো একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানকে দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে।
এ কথা তো মানতেই হবে, মুনাফার দিকে দৃষ্টি দিতে গিয়ে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা, জাতীয় সম্পদ কিংবা পরিবেশের ভারসাম্য ইত্যাদি বিসর্জন দিতে বহুজাতিক বা বিদেশী কম্পানিগুলো বিন্দুমাত্র ভাববে না। এর প্রমাণ তো আমাদের হাতে আছেই। অক্সিডেন্টাল ও নাইকোর মতো প্রতিষ্ঠান, যারা উন্নত প্রযুক্তির কথা বলে এদেশে এসেছিল, তাদের কারণে মাগুরছড়া ও টেংরাটিলার মতো পরিবেশ ও সম্পদবিনাশী একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাপেক্স কখনো এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হয়নি। তড়িঘড়ি করে বেশি গ্যাস উত্তোলন করতে গিয়ে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদনক্ষমতা নষ্ট করার মতো ঘটনা ঘটানোর রেকর্ডও দেশের এই প্রতিষ্ঠানের নেই। অথচ প্রতিষ্ঠানটিকে বছরের পর বছর উপেক্ষা করা হচ্ছে। একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটিকে কেন এত অবহেলা?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরকার মুখে বলছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালীকরণের কথা আর ভেতরে ভেতরে সিন্ডিকেট দিয়ে জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকায় বাপেক্সের কাজ দেয়া হচ্ছে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে। যে কাজ বাপেক্সকে দিয়ে করালে প্রতিটি উন্নয়ন কূপের পেছনে খরচ হতো ৬০ কোটি টাকা। সেই কাজই করানো হচ্ছে ২শ' কোটি টাকা দিয়ে। অথচ বাপেক্সের বর্তমানে যে ক্যাপাসিটি বা কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে একাজ বাপেক্স দিয়ে অনায়াসেই করানো যেত। বাপেক্স পেট্রোবাংলার সাবসিডিয়ারি কোম্পানি মাত্র। পেট্রোবাংলা যে সিদ্ধান্ত দেবে বাপেক্স সেটা পালন করবে। এর বেশি কিছু বাপেক্সের হাতে নেই। বাপেক্স চাইলেও এসব চুক্তির বিরোধিতা করতে পারবে না। কারণ বাপেক্সের কন্ট্রোলিং পাওয়ার পেট্রোবাংলার হাতে। আবার পেট্রোবাংলাকে নিয়ন্ত্রণ করছে মন্ত্রী-উপদেষ্টারা। তারা মূলত মীরজাফরের মতোই দেশ ও দেশের সম্পদ বিদেশীদের হাতে তুলে দিচ্ছে। জনগণকে চরমভাবে বঞ্চিত করছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)কে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, তেল ও গ্যাস উত্তোলনে বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিতে এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিটির অংশীদারিত্ব থাকতে হবে।
তেল, গ্যাস উত্তোলন ও উৎপাদনে নিজেদের সামর্থ্য অর্জনে বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী করা ও সংস্থার জনশক্তিকে প্রশিক্ষিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাসহ এর জনশক্তিকে বিদেশী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে, যেন তারা কাজের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং নিজেদের দক্ষ করে তুলতে পারে। অথচ বাস্তবে বাপেক্সকে সে ধরনের কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বা বাপেক্সকে কার্যকর করাও হচ্ছে না। 

প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, সমুদ্রভাগ তথা স্থলভাগে কোনো বিদেশী কোম্পানি আনা ঠিক হবে না। আমরা উৎপাদন-বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় দেশের কোনো গ্যাস ক্ষেত্র বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দেয়ার তীব্র বিরোধী। আমাদের মতে, সময় বেশি লাগলেও বাপেক্সকে দিয়েই এই কাজ করানো উচিত। বাপেক্সকে দিয়ে করালে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিদেশীদেরকে দিয়ে কাজ করালেই যে দ্রুত সে কাজ শেষ হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ তারা ব্লক নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে কাজ করে না- এমন নজির অনেক আছে। তাছাড়া বিদেশী কোম্পানি আনলে নিজের গ্যাস দেশের মানুষ ন্যায্যমূল্যে ভোগ করতে পারবে না। আমাদের গ্যাস আমাদেরকেই বেশি মূল্যে কিনতে হবে। আমরা মনে করি, প্রয়োজনে বাপেক্স অন্য কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অনুসন্ধান কাজ চালাতে পারে। অথবা অপেক্ষা করে দেশীয় কোম্পানিকে আরো দক্ষ ও যোগ্য করে সমুদ্র ও স্থল উভয় ভাগে তেল গ্যাস অনুসন্ধানে যাওয়া উচিত।

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...